1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পুলিশ থেকে জাল টাকা কারবারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২

হুমায়ূন কবির ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। চাকরি চলে যাওয়ার পর মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে শুরু করেন জাল টাকা তৈরির রমরমা ব্যবসা। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা এজেন্টের মাধ্যমে এ টাকা ছড়িয়ে দিতেন সারা দেশে। এক লাখ টাকার বিনিময়ে পেতেন ১০ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) মোহাম্মদপুর থেকে হুমায়ূন কবিরকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানায়, শারদীয় দুর্গোৎসব সামনে রেখে মহাপরিকল্পনা ছিল চক্রটির। একাধিকবার গ্রেফতার হলেও শুধরায়নি হুমায়ূন। জেলখানায় গিয়েও তৈরি করেন নতুন নেটওয়ার্ক। প্রতিমাসে ৬০ লাখ টাকার নকল নোট সারা দেশে ছড়িয়ে দিতো চক্রটি।

পুলিশ সূত্রে, ১৯৯৫ সালে পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি নেন আটককৃত হুমায়ুন কবীর। ২০০৫ সালে তিনি চাকরিচ্যুত হন। ২০১২ সাল থেকে হুমায়ুন জাল টাকার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।  তার সহযোগী হিসেবে ইমাম, আলাউদ্দীন, সাইফুল ও মজিবরসহ বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে তারা।

ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, অবৈধভাবে কেউ ডলার মজুত করলে অথবা অবৈধভাবে জাল ডলার তৈরির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি বলেছে তার নিয়ন্ত্রণে অনেকে আছে, বিশেষ করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। এদের কেউ কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ আবার কেউ টঙ্গী এলাকায় থাকে। আবার ঢাকার বাইরেও অনেককে দিয়ে থাকে সে এ জাল টাকা। আবার যখন প্রচণ্ড ভিড় হয়ে থাকে ব্যাংকে, সেই ফাঁকা (তার কথামতো) ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সেখানেও এ জাল টাকা সে দিয়ে থাকে।

এদিকে জাল টাকার কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় পুলিশ।

ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির এ সময়ে কেউ যদি তা মজুত করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেউ যদি জাল ডলার তৈরি করে, তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ