1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ইইউ’র প্রতিনিধি দলের হাতে তারেকের দুর্নীতির খবর!

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলকে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ড. ইনাম আহমেদ চৌধুরীর বিএনপি ছাড়ার খবর জানায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইনাম আহমেদ চৌধুরীর কাছে গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়নের শর্তে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করে। টাকা দিতে পারবে না, মনোনয়নও পাবে না তাই বিএনপির সাবেক এ নেতা ইনাম আওয়ামী লীগে এসে যোগদান করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এ তথ্য জানান।

সোমবার (১০ জুলাই) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির রাজধানীর গুলশানের বাসভবনে বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের (ইইউ) সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য অ্যাম্বাসেডর জমির, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মি আহম্মেদ, উপকমিটির সদস্য তারিক হাসান শোওমি ও ইমরানুল হাই শফি।

দেড় ঘণ্টার এ বৈঠকে নানা বিষয়ে জানতে চেয়েছে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আওয়ামী লীগ জবাব দিয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসবে প্রত্যাশা করে আওয়ামী লীগ ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান জানান।

সূত্র জানায়, শাম্মী আহমেদ এ প্রতিনিধি দলকে বলেন, আজকে ইনাম আহমেদ উপস্থিত থাকলে উনি নিজেই তার সঙ্গে করা অন্যায় আচরণটি তুলে ধরতেন। আগামী ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি থাকবেন তার মুখ থেকেই জানতে পারবেন এ ঘটনা।

সূত্র আরও বলেন, বৈঠকে শাম্মী দাবি করে বিএনপি নির্বাচন চায় না কখনোই, তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এসে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। বড় অঙ্কের টাকা খেয়ে একেক আসনে একাধিক প্রার্থী দেওয়ায় নিজেরা মারামারি করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন মানে তাদের কাছে মনোনয়ন বাণিজ্য। মূলত নির্বাচনে তারা বিশ্বাস করে না, ব্যাকডোওে ক্ষমতায় আসতে চায় বিএনপি।

বৈঠক সূত্র জানায়, ইইউ প্রতিনিধি দল সুষ্ঠু নির্বাচন পরিকল্পনা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নেতাদেও কাছে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অ্যাম্বাসেডর জমির বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়ার নজির শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেখিয়েছে। সর্বশেষ পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন তার বড় নজির। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটির ভোটে নিজের দলের প্রার্থীর পরাজয় ঘটেছে।

সূত্র মতে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন এখন স্বাধীন। নির্বাচনের সময়ে সরকার শুধু রুটিন কাজ করবে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এসময় ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আনলে জমির বলেন, বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। তাই নির্বাচন বর্জন করেছিল। জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ মেরেছে তখন। দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে।

সূত্র অনুযায়ী তিনি বলেন, সেসময়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা প্রস্তাব ও উদ্যোগ গ্রহণ করেও বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ব্যার্থ হন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় ভোটের অধিকার রক্ষার আন্দোলন করেছে। নির্বাচন আসলে আবার ভোটও করেছে। আওয়ামী লীগ কখনো ভোট বর্জনের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ এদেশে প্রো-পিপল রাজনীতি করে।

সূত্র আরও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ইইউ প্রতিনিধি দলকে শাম্মী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল। বিএনপি ক্ষমতায় এসে ক্ষমতা ধরে রাখার চক্রান্ত করে এ পদ্ধতিকে বিতর্কিত করেছে। ১৯৯৬ সালে এক তরফা নির্বাচন করেছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের আন্দোলনে ২৮ দিনের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা বিএনপি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। পাঁচ বছর শেষ করে কোনো আন্দোলন করতে হয়নি, রক্তপাত হয়নি, ক্ষমতা ছেড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র দাবি করে, তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছে। ক্ষমতায় ধরে রাখতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান করার জন্য নিজের দলের বিচারপতি কে এম হাসানের বয়স বাড়ানো হয়েছে। প্রায় দেড় কোটি ভুয়া ভোটার করেছে। আওয়ামী লীগের গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতায় আসে অনির্বাচিত সরকার। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বড় বিজয় অর্জন করে ক্ষমতায় আসি আমরা। বিচার বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এখানে আমাদের কিছু করার নাই। সংবিধান সুরক্ষার দায়িত্ব, গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার দায়িত্বও সরকারের।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠক সিরিয়াস কিছু না। ওদের সঙ্গে আমাদের প্রধান বৈঠকটা আগামী ১৫ জুলাই দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে হবে। সেই দিন আপনাদের পুরো ব্যাপারটা জানানো হবে।

সৌজন্যমূলক আলাপ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকটাই পরিচিত হওয়ার মতোই। নির্বাচন নিয়ে তেমন কথা হয়নি। ওনারা হয়তো পরবর্তীতে আরও দলের সঙ্গে বসবেন কথা বলবেন।

সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কোন আলাপ হয়েছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে শাম্মী আহমেদ বলেন, এটা আমাদের এজেন্ডায় ছিল না। কোন দল আসবে না আসবে এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এগুলো নিয়ে তাদের আলোচনা করা আমার জায়গা থেকে শোভন মনে করি না। এগুলো নিয়ে আলোচনা হয় নাই।

ইইউ প্রতিনিধি আপনাদের কোনো প্রস্তাব দিয়েছে কীনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা কোনো প্রস্তাব আমাদেরকে দেয়নি। যেহেতু আমাদের আনুষ্ঠানিক বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত আছে। তাই এখানে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ