1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশের মাটিতে আজোয়া খেজুর চাষ করে সাফল্য

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩

মরুভূমির চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় উৎপাদিত ফল খেজুর বগুড়ার নন্দীগ্রাম মাটিতে ফলানো অনেকটা কল্পনার মতো। তবে সেই অসাধ্যকে সাধন করেছেন বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আমড়া গোহাইল গ্রামের চাষি আলহাজ্ব আবু হানিফা। তাঁর গাছে এখন বাধা বাধা মরুভূমির আজোয়া খেজুর ঝুলছে। এ বাগানে সাথী ফসল হিসেবে তিনি চাষ করেছেন আম, বড়ই ও জাম্বুরা।

নিজ বাড়ির সাথে পতিত ৯ শতক জায়গায় সারিবদ্ধভাবে লাগানো ১৩টি সৌদির আজোয়া খেজুরগাছ তাকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। গত বছর একটি গাছে অল্প কিছু খেজুর পেলেও এবার দুইটি গাছে বেশ খেজুর ধরেছে। শুধু তাইনা খেজুর বাগানের পাশাপাশি তিনি গত বছরের সংগ্রহ করা বীজ থেকে চারাও তৈরি করছেন। আবু হানিফার বাগানে এ খেজুর দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করছে।

খেজুর চাষি আলহাজ্ব আবু হানিফা জানান, হজ্জ করতে গিয়ে সৌদিতে আমি অনেক খেজুর বাগান ঘুরে দেখি। তখনি আমার খেজুর চাষের ইচ্ছে জাগে। পরে আজোয়া জাতের খেজুরের ১৬টি বীজ সংগ্রহ করি। সেই বীজ ২০১৯ সালে মাটিতে রোপণ করি। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে গাছগুলো। সেই গাছগুলোর মধ্যে একটিতে গত বছর অল্প কিছু ফল ধরেছিল। এবার দুইটি গাছে ভালো ফল ধরেছে। ২০-২৫ দিনের মধ্যে খেজুরগুলো পরিপূর্ণ ভাবে পেকে যাবে। পরের বছর হয়তো আরও কিছু গাছে ফল আসবে। নিজের বাগান বৃদ্ধি ও চারা বিক্রি জন্য এখন আমি আজোয়া ও মরিয়ম জাতের খেজুরের বীজ সংগ্রহ করে চারা তৈরি করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, আমি আবু হানিফার খেজুর বাগানে মাঝে মাঝে যাই। নন্দীগ্রাম উপজেলায় তিনিই প্রথম সৌদির আজোয়া খেজুর চাষ করছেন। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সব রকমের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়। সে এখন খেজুরগাছে চারাও উৎপাদন করছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ