1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফিলিপাইনের আনারসে স্বপ্ন দেখছে মধুপুরের চাষিরা

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩

ফিলিপাইন থেকে আনা এমডি-২ জাতের আনারস চাষ করে স্বপ্ন বুনছেন মধুপুরের চাষিরা। দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এই আনারস বিদেশে রপ্তানির স্বপ্নও দেখছেন তারা। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ২০২১ সালে এমডি-২ সুপার সুইট সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে চারা এনে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেন। মাত্র দুই বছরেই নতুন জাতের আনারস কৃষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এ বছর অনেক কৃষকের বাগানে আনারসের ফলন ভালো হয়েছে। নতুন এ জাতের আনারসকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছেন মধুপুরের দুই শতাধিক কৃষক।

টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের কিছু অংশ নিয়ে মধুপুরের গড়। এ এলাকার ভূ-প্রকৃতি, আবহাওয়া ও জলবায়ু আনারস চাষের বিশেষ উপযোগী। আদিবাসী এক গারো নারীর হাতে প্রথম শুরু হয় মধুপুরে আনারস চাষ। ধীরে ধীরে হানি কুইন ও জায়েন্ট কিউ জাতের আনারস চাষ বিস্তার লাভ করে এ অঞ্চলে। সারাদেশে মধুপুরের আনারস খ্যাতি লাভ করলে মধুপুর হয়ে ওঠে আনারসের রাজধানী। সুপার সুইট জাতের এমডি-২ আনারস অন্যান্য জাতের চেয়ে অধিক সুমিষ্ট এবং পুষ্টি গুণও সমৃদ্ধ।

ফিলিপাইনের কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক ডিলার্ড তার স্ত্রী মিল্লির প্রথম বর্ণ এম এবং ডিলার্ড-এর ডি মিলে এমডি-২ আনারসের নামকরণ করেন। এ আনারসে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাস। মানব দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ, হাড়ের গঠন, দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষা, চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, হজমশক্তি বৃদ্ধি ও রক্ত জমাটে বাধা দেয়। হৃৎপিণ্ডে অক্সিজেন যুক্ত রক্ত সরবরাহ কাজে সহায়তা ও ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে ইদিলপুর, আউশনার, মহিষমারা, গারোবাজার, পিরোজপুর ও ধরাটি গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নানা গুণে সমৃদ্ধ এ আনারস চাষে আগ্রহের শেষ নেই কৃষকের। গাছের ধরন, আনারস ও চারা মধুপুরের আনারসের চেয়ে ভিন্ন। গাছের পাতা সতেজ। চারা বের হচ্ছো গাছের গোড়া দিয়ে।

পীরগাছা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, বিতরণকালে চারাগুলো ছিল ফ্যাকাসে। দেশীয় চারার চেয়ে নিম্ন মানের। তিনি ভেবেছিলেন এ চারা ভালো হবে না। ৫ হাজার চারা রোপণ করে স্বাভাবিক যত্ন করেছেন। তার বাগানের আনারস পাকতে শুরু করেছে। তিনি প্রথমে আনারস খেয়ে আত্মতৃপ্তি পেয়েছেন। স্থানীয় বাজারে ১০০ আনারস এনে প্রথমে দুটি আনারস কেটে বাজারের লোকজনকে খাওয়ালে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে যায়। এভাবে কয়েক দিনেই তার বাগানের পাকা আনারসগুলো বিক্রি হয়ে যায়। তিনি আরো জানান এ নতুন জাতের আনারসের বাড়তি কোনো যত্ন নিতে হয় না।

মহিষমারা গ্রামের বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক ছানোয়ার হোসেন জানান, তিনিও এ জাতের আনারস চাষ করেছেন। এ বছর ফলন মোটামুটি ভালো। তবে তিনি আশা করছেন আগামী বছর আনারসের গাছগুলো এ দেশের আবহওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে এ নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ