খাগড়াছড়িতে অভাবের তাড়নায় নিজের সন্তানকে বিক্রি করতে চাওয়া মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।
রোববার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মা সোনালী চাকমার হাতে সঞ্চয়পত্র করার জন্য ১ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
এ সময় সোনালীর ছেলে রামকৃষ্ণ চাকমার ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ও পড়ালেখার সুবিধা নিশ্চিত করতে সমাজসেবা পরিচালিত সরকারি শিশু পরিবারে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
এ ছাড়া সোনালীকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত গৃহহীনদের জন্য ঘর প্রকল্পের আওতায় ঘর তৈরি করে দেয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। পাশাপাশি সোনালীর শারীরিক পরীক্ষা করে তার সুচিকিৎসা ও মানসিক ভারসাম্যহীন হলে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
সোনালী ও তার সন্তানের বিষয়টিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। এ সময় খাগড়াছড়ি সমাজসেবার উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম, ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজন চাকমা, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া ও সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার অভাবের তাড়নায় নিজের ছয় বছর বয়সী ছেলে রামকৃষ্ণ চাকমাকে বিক্রির উদ্দেশে খাগড়াছড়ি বাজারে নিয়ে যান মা সোনালী চাকমা। এ সময় তিনি ছেলের মূল্য হাঁকেন ১২ হাজার টাকা। পরে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পায় রামকৃষ্ণ।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে এবং গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি আসতে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে।