ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন ও জাতিসংঘের প্রতিনিধি। সোমবার (৭ আগস্ট) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ওয়াশিংটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এবং মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দপ্তরে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এসব কথা বলেন।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা আইন সংস্কার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারকে স্বাগত জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে নতুন খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন পর্যালোচনায় নিজেদের ভাবনা যোগ করার সুযোগ দিতে উৎসাহিত করি যাতে এটি আন্তর্জাতিকমান পূরণ করতে পারে।’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে শুনিছি, তা সত্য হলে আমি খুশি।’
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। আইনটিকে ভালোভাবে যাচাই করার মতো কারিগরি জ্ঞানসম্পর্কিত ব্যক্তি না আমি। কিন্তু এই পরিবর্তনেই আমি খুব খুশি। আইনে কী পরিবর্তন করা হয়েছে, তা আমাদের ভালো করে দেখতে হবে। তবে ঘটনা হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এখন আর নেই, সেখানে নতুন আইন প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।’
এ সময় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মানবাধিকার ইস্যু নিয়েও তার কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তন নিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, ‘আমি টেকিনক্যাল পার্সন না, সাইবার নিরাপত্তা আইনটি দেখিনি। তবে তারা যা করেছে, তা সত্যি হলে প্রশংসনীয়।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যে নতুন আইনটা হয়েছে সেটা তিনি (গোয়েন লুইস) এখনও সম্পূর্ণভাবে দেখননি। সেটা তিনি দেখননি বলেই সম্পূর্ণভাবে মন্তব্য করতে পারছেন না। আইনে যে পরিবর্তন এসেছে সেটা উনি শুনেছেন। যেটা শুনেছেন সে পরিবর্তন যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা ভালো ও খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।’