1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

হাওড় উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান

সেলিম আহমদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পিতার মতো হাওড়াঞ্চলের প্রতি সবসময়ই বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। ১৯৯৮ সালের ৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইনে এক জনসভায় তিনি হাওড় ও জলাভূমি এলাকার উন্নয়নে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড’ এবং বোর্ডের ‘কার্যনির্বাহী কমিটি’ গঠন করা হয়।

শোকের মাস আগস্ট এলে গোটা দেশই মহান নেতা ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে। হাওড়াঞ্চলবাসীর কাছে এই শোক আরও গভীর, স্বজন হারানোর বেদনা জাগানিয়া। কারণ, হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠ বাঙালি এমন এক ভৌগোলিক এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যার সঙ্গে হাওড়াঞ্চলের ভৌগোলিক সাদৃশ্য ব্যাপক। হাওড়াঞ্চলের মতোই গোপালগঞ্জ অঞ্চল বিল ও নদী অঞ্চল। যে কারণে বঙ্গবন্ধু নিজেকে প্রায়ই ‘পানির দেশের মানুষ’ হিসেবে পরিচয় দিতেন।

বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ আমাদের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। সেখানে কিশোর শেখ মুজিব থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠার পথরেখা চিহ্নিত হয়ে আছে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আমরা দেখি, তিনি চল্লিশের দশকে তরুণ ছাত্রনেতা হিসেবে তাঁর তৎকালীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাজস্থানে গিয়েছিলেন ঘুরতে। সেই মরু অঞ্চলে একটি লেক দেখে তাঁর নিজের দেশের কথা মনে হয়েছিল। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন- ‘পানির দেশের মানুষ আমরা। পানিকে বড় ভালোবাসি। আর মরুভূমির ভিতর এই পানির জায়গাটুকু ছাড়তে কত যে কষ্ট হয় তা কি করে বোঝাব!’

আমাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসমাপ্ত আত্মজীবনী ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর নিজের ভাষ্য সংবলিত আরও দুটি গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে। এর একটি ‘আমার দেখা নয়াচীন’। পঞ্চাশের দশকে, ১৯৫২ সালে তিনি শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে গণচীন সফর করেন পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে। ওই সময় তাঁর সঙ্গে মাও সে তুংয়ের সাক্ষাৎ হয়েছিল। আমরা দেখি, ঐ সফরে গিয়েও বঙ্গবন্ধু নিজেকে ‘পানির দেশের মানুষ’ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। সেখানকার হ্যাংচো লেকে ঘুরতে গিয়ে নৌকা চালনায় বঙ্গবন্ধুর দক্ষতা থেকে স্থানীয় একজন মাঝি অবাক হয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থে লিখেছেন- ‘এক মাঝি জিজ্ঞাসা করল, আপনাদের বাড়ি কোন্ দেশে? দোভাষী সঙ্গে ছিল, বললাম, পূর্ব পাকিস্তান। মুখের দিকে চেয়ে রইল। মনে হলো কোনোদিন নামও বোধহয় শোনে নাই, তাকে বুঝাইয়া বললাম, তারপর সে বুঝলো। তাকে বললাম, আমরা পানির দেশ, বৎসরে ৬ মাস আমরা পানির মধ্যে বাস করি।’

বঙ্গবন্ধু সেই পঞ্চাশের দশকে লিখেছিলেন- ‘বছরে আমরা ৬ মাস পানির মধ্যে বাস করি’- এর সঙ্গে হাওড়াঞ্চলের পরিস্থিতি একেবারে মিলে যায়। হাওড়াঞ্চলের আমরা বছরে ছয় মাস পানির মধ্যে থাকি। যে কারণে এখানের প্রবাদই রয়েছে- ‘ছয় মাস নাও, ছয় মাস পাও’। বস্তুত হাওড়াঞ্চলের মতোই গোপালগঞ্জের বিল অঞ্চল হচ্ছে মাছের জন্য বিখ্যাত। হাওড়ের মতো সেখানেও নৌকা ছাড়া চলাচলের পথ নেই।

বঙ্গবন্ধুর শৈশব কেমন কেটেছিল- এ বিষয়ে লিখেছেন তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থে শেখ হাসিনা লিখেছেন- ‘আমার আব্বার শৈশব কেটেছিল টুঙ্গিপাড়ার নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে, মেঠোপথের ধুলোবালি মেখে। বর্ষার কাদাপানিতে ভিজে।’

শৈশবে, কৈশোরে, তারুণ্যে বঙ্গবন্ধুর যে পানির সঙ্গে, বিল ও নদীর সঙ্গে মিতালি, সেটা তিনি পরিণত রাজনৈতিক জীবনেও ভোলেননি। বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ব্যবস্থাপনা ছাড়া পানি সম্পদ বন্যার মতো দুর্যোগ বয়ে আনে। আজকেও আমরা হাওড়াঞ্চলে দেখি, পানি ও নদী ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো না হওয়ার কারণে প্রায় প্রতিবছরই হাওড়বাসীকে বন্যায় ভুগতে হয়, কখনো কখনো সর্বস্বান্ত হতে হয়। এই বাস্তবতা বঙ্গবন্ধু সাড়ে পাঁচ দশক আগেই বুঝেছিলেন।
সত্তরের নির্বাচনেই বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ‘হাওড়যাত্রা’ শুরু করেন। ৬ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাকে বিস্তারিত সফরসূচি ছাপা হয়। এতে বলা হয়- ‘ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেট জেলার পল্লী এলাকাসমূহে সপ্তাহব্যাপী সফরের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল (রবিবার) রাতে চট্টগ্রাম মেলযোগে ভৈরব রওয়ানা হইয়াছেন। গতকাল রাত্রি ১ টায় ভৈরব পৌঁছার পর রাত্রি ২টায় লঞ্চযোগে তাঁহার কুলিয়ারচর রওয়ানা হওয়ার কথা।’

শেখ মুজিবের সফরসূচি হলো- ৫ অক্টোবর, সোমবার সকাল ৯ টায় কুলিয়ারচর উপস্থিতি; ১০ টায় কুলিয়ারচরে, বিকাল ২টায় চাতলপুরে এবং বিকাল ৫টায় নাসিরনগরে জনসভা। ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৮টায় অষ্টগ্রাম; দুপুর ১২টায় নিকলী এবং বিকাল ৪টায় ইটনায় জনসভা। ৭ অক্টোবর বুধবার সকাল ৯টায় আজমিরিগঞ্জ এবং বিকাল ৪টায় ডেরাই-এ জনসভা। ৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার- সকাল ১১টায় জয়কলাশ (সুনামগঞ্জ); বিকাল ৩টায় জামালগঞ্জ এবং সন্ধ্যা ৬টায় গোলকপুরে জনসভা। ৯ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৯টায় জাগলাজুর; সকাল ১১টায় রাজাপুর এবং বিকাল সাড়ে ৩টায় ধরমপাশায় জনসভা। ১০ অক্টোবর, শনিবার সকাল ৮টায় মোহনগঞ্জে জনসভা এবং ট্রেনযোগে ময়মনসিংহ ফেরার পথে শেখ মুজিবকে বারহাট্টা, ঠাকুরাকোনা; নেত্রকোনা এবং শ্যামগঞ্জে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হইবে।’ বঙ্গবন্ধুকে নেত্রকোনা রেলস্টেশনে ১০ অক্টোবর বিশাল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ইত্তেফাকের আলোকচিত্র দিয়ে ক্যাপশনে লেখা হয়- ‘আওয়ামী লীগ-প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান প্রদেশের হাওড় এলাকায় সপ্তাহব্যাপী ঝটিকা সফর শেষে গত শনিবার ঢাকা প্রত্যাবর্তনের পথে মোহনগঞ্জ হইতে ট্রেনযোগে ময়মনসিংহ আগমনের সময় বিভিন্ন স্টেশনে তাঁহাকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। বস্তুত এই উপলক্ষে রেললাইনের দুই পার্শ্বের জনজীবনে এক অভূতপূর্ব প্রাণচাঞ্চল্যের সঞ্চার হয়।

মোহনগঞ্জ হইতে ময়মনসিংহ পর্যন্ত সুদীর্ঘ পথের প্রতিটি স্টেশনেই নারী-পুরুষসহ হাজার হাজার মানুষ বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষা করিতে থাকে এবং প্রতিটি স্টেশনই স্বতঃস্ফূর্ত জনসভায় পরিণত হয়। নেত্রকোনা স্টেশনে তাঁহার সংবর্ধনার অনুরূপ একটি দৃশ্য।’ (দৈনিক ইত্তেফাক, ১২ অক্টোবর, ১৯৭০। বঙ্গবন্ধুর সপ্তাহব্যাপী হাওড়যাত্রা নিয়ে ১৩ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধুর একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন- ‘এই ভাটি অঞ্চলই সারা পাকিস্তানের মানুষের আহার জুটাতে পারত যদি সর্বগ্রাসী বন্যা রোধ করা হতো।’ বঙ্গবন্ধুর সেই বক্তব্য আজও হাওড়বাসীর জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশিত আলোচিত্রের ক্যাপশনে লেখা হয়- ‘জামালগঞ্জে আওয়ামী লীগ-প্রধান শেখ মুজিবের একটি বিরাট জনসভার একাংশ। শুকনা ময়দানে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় নদীতে নৌকা ভাসাইয়া হাজার হাজার লোক আওয়ামী লীগ-প্রধানের বক্তৃতা শ্রবণ করে।’ হাওড়বাসী আজও বঙ্গবন্ধুকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। যে কারণে হাওড়াঞ্চল হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।

সত্তরের নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ-প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেডিও ও টেলিভিশনে নির্বাচনী ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পান। ২৮ অক্টাবর ১৯৭০ সালে সম্প্রচারিত সেই ভাষণে তিনি বলেছিলেন- ‘পানি সম্পদ সম্পর্কে গবেষণা এবং নৌপ্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য অবিলম্বে একটি নৌ-গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করা প্রয়োজন।… বন্যা নিয়ন্ত্রণকে অবশ্যই প্রথম কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে একটা সুসংহত ও সুষ্ঠু বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা আশু প্রয়োজন।’ শুধু দুর্যোগ মোকাবিলায় পানি সম্পদের ব্যবস্থাপনা নয়; মহান মুক্তিযুদ্ধে পানি সম্পদের অবদান সম্পর্কেও আমরা সবে মাত্র গবেষণা শুরু করেছি।

কিন্তু বিশ্বের অন্যতম প্রধান দূরদর্শী রাজনীতিক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তর সালেই পানিসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যে কারণে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বলেছিলেন- ‘আমরা ওদের পানিতে মারবো।’ একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা দেখেছি, শুষ্ক দেশ থেকে আসা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিল ও হাওড় অঞ্চলগুলো দখলে নিতে পারেনি। আমাদের ভাটি বাংলায় যে কারণে গড়ে উঠেছিল দুর্ধর্ষ অনেক মুক্তিবাহিনী।

স্বাধীনতার পরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাওড়কেন্দ্রিক উন্নয়ন ভাবনা শুরু করেন। হাওড় ও জলাভূমি এলাকার জনগণের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে হাওড় উন্নয়ন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনাই বাস্তবায়ন হতে হতে ১৯৭৭ সাল লেগে গিয়েছিল। কিন্তু হাওড় উন্নয়ন বোর্ড গঠন হলেও যে স্বপ্ন নিয়ে এই সংস্থা গঠন করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, তার কিছুই সম্ভব হয়নি। হাওড়াঞ্চলের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু বিশেষভাবে নজর দিয়েছিলেন।

পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে এই অঞ্চল থেকে মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা শাহাদাত বরণ করলে হাওড়াঞ্চলে উন্নয়নের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়। হাওড়বাসীর জীবনমান সেই তিমিরেই থেকে যায়। আর হাওড় উন্নয়ন বোর্ডও অকার্যকর একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ১৯৮২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর খুঁড়িয়ে চলতে থাকা বোর্ডটিও বিলুপ্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পিতার মতো হাওড়াঞ্চলের প্রতি সবসময়ই বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। ১৯৯৮ সালের ৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইনে এক জনসভায় তিনি হাওড় ও জলাভূমি এলাকার উন্নয়নে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড’ এবং বোর্ডের ‘কার্যনির্বাহী কমিটি’ গঠন করা হয়। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব গ্রহণের পর হাওর এলাকার জনজীবন, জীবিকা, পরিবেশ, প্রতিবেশ উন্নয়নে ২০১২ সালে ‘হাওড় মহাপরিকল্পনা’ প্রণীত হয়। আর হাওড় ও জলাভূমি এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ডকে অধিদপ্তর ঘোষণার নির্দেশনা দেন।

আজ বঙ্গবন্ধু নেই; কিন্তু আমাদের মধ্যে আছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাওড়ের মতো সুবিস্তীর্ণ হৃদয়ের অধিকারী তিনি। হাওড় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এখন হাওড় নিয়ে তাঁর নীতি ও কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন নিবেদিতপ্রাণ ও নিরলস নেতাকর্মী। আমাদের মহান নেতা, হাওড়াঞ্চলের স্বজন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য শোককে বুকে ধারণ করে হাওড়বাসীকে যোগ্য নেতা ও কর্মী গঠনের শক্তি সঞ্চার করতে হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক হিসেবে হাওড়ের উন্নয়নযজ্ঞে শামিল হতে দ্বিধা করবেন না।

লেখক: সেলিম আহমদ – চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জ ফাউন্ডেশন ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ