মৌলভীবাজারের ৯৩টি বাগান থেকে প্রতিদিন তোলা হচ্ছে সাড়ে ৪৬ কোটি কেজি চাপাতা। রাতদিন চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। পাতা সামলে রাখা ও প্রক্রিয়াজাত করতে হিমশিম খাচ্ছে বাগান কর্তৃপক্ষ। বাড়তি আয়ে শ্রমিকরা খুশি হলেও গুণগত মান নিয়ে শঙ্কার কথা বলছেন গবেষকরা।
চায়ের কচি পাতায় ভরে উঠছে দু-হাত। মৌলভীবাজারের সব কটি চা বাগানে ব্যস্ত সময় পার করছেন চা শ্রমিকরা। যেন কারো সঙ্গে কথা বলার সময় নেই। ভোর থেকে সবাই সমান তালে করছেন চাপাতা সংগ্রহের কাজ।
একেকটি বাগান থেকে সাধারণ অবস্থায় ২৫-৩০ হাজার কেজি চাপাতা তোলা হলেও বর্তমানে প্রতিটি বাগান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫০ লাখ কেজি সংগ্রহ হচ্ছে। একজন শ্রমিক প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০ কেজি চাপাতা তুলছেন। অধিক পরিমাণ কাঁচা পাতা সংগ্রহ করায় নিয়মিত মজুরি ১৭০ টাকার পাশাপাশি অতিরিক্ত আয় হচ্ছে আরও ২৭০ টাকা পর্যন্ত।
শ্রমিকরা বলছেন, প্রচুর পাতা পাওয়া যাচ্ছে। যিনি আগে ২১ কেজি পাতা তুলতেন, তিন এখন ৫০ কেজি তুলছেন। আরেক নারী শ্রমিক বলেন, ১০০ কেজি পর্যন্ত পাতা সংগ্রহ করেছি। সন্ধ্যা পর্যন্ত পাতা তোলা হচ্ছে। বাগানে কোনো ঝামেলা নেই।
কারখানাগুলোতে চাপাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও চা উৎপাদনে রাতদিন চলছে কর্মব্যস্ততা। তবে বেশি উৎপাদন হলেও চায়ের গুণগত মান নিয়ে শঙ্কার কথা বলছেন চা গবেষকরা। চা গবেষক আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, অনেক পাতা আসছে, যেগুলো চা তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য নয়। কিন্তু শ্রমিকরা ঠিকই লাভবান হচ্ছে।
জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৯৩টি চা বাগান রয়েছে। আর বর্তমানে এসব বাগান থেকে প্রতিদিন ৪৬ কোটি ৫০ লাখ কেজি কাঁচা চা পাতা তুলছেন শ্রমিকরা।