1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ইনডেমনিটি আইন : বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার বিচার নিয়ে যত টালবাহানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ইতিহাসের নৃশংসতম এ হত্যার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর ও মন্ত্রিসভার সদস্য খন্দকার মোশতাক নিজেকে ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি।

খুনিদের হাত ধরে ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করতে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জারি করেন কুখ্যাত একটি অধ্যাদেশ। যার নাম ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ। এতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত অথবা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত কারো বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা যাবে না। এমনকি কোর্ট মার্শালেও তাদের বিচার করা যাবে না। খুনিদের বিরুদ্ধে সব ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পথ রুদ্ধ হয় ইতিহাসের নিষ্ঠুর এ অধ্যাদেশে।

অবৈধ ও স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাকের এই অধ্যাদেশকে আনুষ্ঠানিক আইনে পরিণত করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই সংসদে পাস হয় মানবাধিকারবিরোধী ইনডেমনিটি আইন। দেশে শুরু হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতি। শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কৃত করা হয় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের। দূতাবাসে চাকরির পাশাপাশি মহান জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে জাতির পিতার খুনিরা। দায়মুক্তি ও পুনর্বাসিত হয়ে সদম্ভে খুনের কথা স্বীকার করে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন খুনি ফারুক ও রশিদরা।

১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বহীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর পর খুলে যায় জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথ। কলঙ্কমুক্তির পথে এগিয়ে যায় বাঙালি জাতি। আওয়ামী লীগের আমলেই বিচারিক ও উচ্চ আদালত থেকে রায় আসে খুনিদের দণ্ড কার্যকরের। এরপর ক্ষমতার পালাবদলে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আবারও হোঁচট খায় মামলাটি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে শেষ হয় সব বিচার প্রক্রিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন হত্যার তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হয়েছিল। দুবছরের কম সময়ে বিচারকাজ শেষ হয় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধী হত্যার। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যার বিচার শেষ করতেও লাগেনি যুগের পর যুগ। চার বছরেরও কম সময়ে শেষ হয় এ বিচার। অথচ যে বঙ্গবন্ধু একটি দেশ উপহার দিলেন, তার হত্যার বিচার শুরু করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২১ বছর। ৩৪ বছর পর হয়েছে খুনিদের কয়েকজনের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ