1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শুভ জন্মদিন সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা

অধ্যাপক ড. আহমেদ আামিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা।

ষড়ঋতুর এই দেশে শরতের শিউলি শেফালির শুভ্রতা আর দিগন্ত বিস্তৃত শাদা শাদা নরোম কাশফুলের হাস্যোজ্জ্বল অবয়ব নিয়ে একদিকে সমগ্র বাংলাদেশ আজ মাতৃস্বরূপা হয়ে জেগে উঠেছে। অপরদিকে, আপনার নেতৃত্বগুণের ঔদার্য, প্রজ্ঞা আর মেধাবী সিদ্ধান্ত গ্রহণে দৃঢ়চেতা মনোভাব আপনাকে রাষ্ট্রনায়কের নির্দিষ্ট মেয়াদের সীমানা অতিক্রম করে অনন্য এক অদৃশ্য মুকুটে শোভিত করে তুলেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার প্রাজ্ঞ নৈপুণ্যে শুধু রাষ্ট্রনায়কের মুকুটই লাভ করেননি- বিশ্ব মানবতার অজেয় জননীর পদটিও আপনি অর্জন করেছেন অবলীলায়!
বিশ্বব্যাপ্ত অসহায় মানুষের হৃদয়ে আপনি ঠাঁই করে নিয়েছেন আপনার স্বভাবসুলভ স্বাচ্ছন্দ্যে। তাই বিচিত্র বর্ণিল

ক্যালেন্ডারের পাতা সেই ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ক্রমাগত উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে। প্রতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দিবসটি এক অনির্বচনীয় ও অনন্য বর্ণে খচিত হয়ে ওঠে আপামর বাঙালির ঘরে ঘরে সাঁটানো ক্যালেন্ডার পাতা- তারা অপার আনন্দে পতপত দোলে ওঠে! খুব বেশি বলা হবে না, যদি বলি ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে ওঠে এসে ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখটি নিজেই যেন আপনার কাছে এসে অবনত মস্তকে বলার প্রয়াস পায় ‘আমাকে সার্থক করার জন্য আপনাকে অভিবাদন, আপনাকে ধন্যবাদ, আপনার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা!’ এত অভিব্যক্তি, এত কথা, তবু কথা ফুরোয়না- ২৮ সেপ্টেম্বর তার অব্যক্ত বচন কোনো বাক্যেই যেন শেষ করতে পারে না! আর কী বলবে সে, কী করে শেষ করবে রাষ্ট্রনায়কের বন্দনা, কী করে শেষ করবে বিশ্ব মানবতার মহিয়সী জননীর বন্দনা! এই অভিব্যক্তি কী কখনো কোনো মুখের কথায় প্রকাশ সম্ভব হয়?

জননেত্রীর সফল নেতৃত্বের কাছে, দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদার মানবিক পটভূমির কাছে আমাদের প্রকাশক্ষম যে কোনো বক্তব্য-বচন বড়ই অপাঙ্তেয় হয়ে পড়ে, কতই না ক্ষীণ হয়ে পড়ে! তবু, অনুচ্চ ও ফিসফিস স্বরে হলেও এই কথা আজ বাংলার সর্বত্র ব্যক্ত যে, ২৮ সেপ্টেম্বর আপনার জন্ম হয়েছিল বলে এই ভূগোল বাংলা আজ সার্থক। সার্থক স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিতৃত্ববোধ। সার্থক বঙ্গজননী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব- বঙ্গবন্ধু মুজিবের আদরের রেণুর মাতৃত্ববোধও। সার্থক একদা মধুমতি-বাইগার বিধৌত গোপালগঞ্জের সৌম্যকান্ত ও নিভৃত গ্রাম টুঙ্গিপাড়া! সার্থক জল-জঙ্গলের দুঃখিনী বাংলা মায়ের প্রতিটি প্রান্তর, সার্থক নিখিল বিশ্বের মানবীয় রাজনীতির সামগ্রিক পরিমণ্ডল। রাষ্ট্রনায়কোচিত সাফল্যের দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় বিশ্বসভার উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বমানবতার পতাকায় আদৃত, আবৃত। বিশ্বের সমগ্র অঞ্চলের অসহায় মানুষের ভালোবাসায় আচ্ছন্ন। এরূপ আরো কথা! কত কী! কত বিচিত্র অভিব্যক্তি প্রকাশের অভিলাষেই যেন ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে ওঠে এসে ২৮ সেপ্টেম্বর জননেত্রীর পায়ে পায়ে চলে পেছনে অতিক্রম করেছে ৭৫টি বছর- প্লাটিনাম জুবিলি! ৭৫ পেরিয়ে বিশ্বনেতা আজ ৭৬ এ পদার্পণ করলেন। নতুন বছরেও সাধারণের ভালোবাসার শক্তিনিয়ে নেত্রী এগিয়ে যাবেন আলোর পানে, সম্মুখ পানে।

২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছিল বলে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ অলংকৃত করেছিলেন বলে, এদেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা পেয়েছিলেন বলে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর গুরু দায়িত্ব পালন করছেন টানা একযুগেরও অধিক সময় ধরে। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদেও সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করেছিলেন তিনি। সে সময় একটি প্রজন্ম ইতিহাসের ভ্রান্ত অভিযাত্রায় নিজেদের অভ্যস্থতাকে আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছিল। সক্ষম হয়েছিলেন ইতিহাসের প্রকৃত সত্য উদঘাটনেও। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন বলেই বাংলাদেশের গুণগত কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে- যা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে দান করেছে সমুন্নত মহিমা। জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিল রহিত করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্ভব হয়েছে, বিচার সম্ভব হচ্ছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধেরও। ইতোমধ্যে শীর্ষস্থানীয় ও কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতীয় জীবনের দীর্ঘদিনের কলঙ্ক মোচন সম্ভব হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। এই ভূগোল বাংলায় শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছিল বলেই ১৯৭৫ সালের পর থেকে পেছনের দিকে মুখ ফিরিয়ে চলা চিরদুঃখিনী এই রাষ্ট্রটি পুনরায় সঠিক গন্তব্যে পৌঁছার দিশা ফিরে পায়- পশ্চাদমুখী অনিচ্ছুক চলনে অভ্যস্থতা থেকে এই জাতিরাষ্ট্রকে শেখ হাসিনাই আলোর পথের অভিযাত্রী করে তোলেন। শেখ হাসিনার জন্ম না হলে সেই অন্ধকারের তামস ঘোরের মধ্যেই নিপতিত হতো বাঙালির ভূত-ভবিষ্যৎ!

প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠী সামগ্রিকভাবে এদেশকে এবং দেশবাসীর চিন্তা-চেতনা ও মননকে পেছনের দিকেই ঠেলে নিয়েছে। কারা আমাদের পশ্চাৎমুখী ও অধঃপতিত যাত্রায় বাধ্য করেছিল তাদের স্বরূপটি ইত্যবসরে উন্মোচিতও হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতা ভোগ করেছে কিংবা বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগী তারাই দেশবাসীর চিন্তা-চেতনা ও মননকে পেছনের দিকে ঠেলে নিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদেরকেও রাষ্ট্রীয় পদ, পদবি ও সম্মানে ভূষিত করেছে। পরাজিত শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর বিপরীতে স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়া অসংখ্য সেনা কর্মকর্তাকে কোর্ট মার্শালে বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশটিকে একদিকে যেমন মেধাশূন্য করা হয়েছে তেমনি মানসিকভাবেও করা হয়েছে পশ্চাৎপদ। আর জাতীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পঙ্গুত্বকেই দীর্ঘস্থায়ী করেছে স্বৈরশাসকেরা! মিথ্যা ইতিহাসের বেসাতি করে ক্ষমতায় টিকে থেকেছে কখনো বন্দুকের নলের ভয় দেখিয়ে কখনো ধর্মের ভ্রান্ত ধারণায় মানুষকে দুর্বল করার মধ্য দিয়ে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শরূপে গৃহীত চার মৌলনীতির অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ। যা এদেশের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উৎসমূল থেকে বাহিত। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তাকেও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহনশীলতা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে স্বৈরশাসকেরা তাকেও টার্গেট করেছিল। মোটকথা পঁচাত্তর-উত্তর দীর্ঘ সময় পরিক্রমায় উল্টোপথেই বিগত কয়েক যুগে আমাদের শিক্ষব্যবস্থার মধ্যেও তৈরি হয়েছে পশ্চাৎপদতা, যুক্ত হয়েছে পেছনপানে চলার দানবীয় তাণ্ডব। আমাদের সংস্কৃতিও আজ অনেকটাই দ্বিধাগ্রস্ত এবং বাধাগ্রস্ত। ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির যে ক্ষেত্র জিয়াউর রহমান এদেশে তৈরি করেন সেখানে মহীরূহের মতো বৃদ্ধি পায় উগ্র সাম্প্রদায়িকতা! তারই অবলেশরূপে মধ্যপ্রাচ্যীয় পোশাক-আশাক সংস্কৃতির লালনপালনে শ্রেণিবিশেষের মনোযোগ বেড়ে যায়- তৈরি হয় বৈষম্য। এই বৈষম্য ও বিদ্বেষকে পুঁজি করে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কিছু মহল তাদের ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়নেও তৎপরতা চালায়। বলার অবকাশ রাখে না, তাদের এই অপতৎপরতা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপ্রসূত। স্বাধীনতার চার মৌল স্তম্ভের অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষতা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদকে এইসব গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা সহজে গ্রহণ করেনি- যেমনটি গ্রহণ করেনি সমাজতন্ত্র বা গণতন্ত্রকেও।

১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে সামরিক কিংবা ছদ্মসামরিক শাসনামলে এদেশের মানুষের যতটা না আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়েছে তারচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যীয় ঠাঁট-বাট, চাল-চলন, সংস্কার-সংস্কৃতি। ফলে, দূরাগত সংস্কার-সংস্কৃতির আগ্রাসনের কবলে পড়ে ক্রমশ ম্লান হতে থাকে আবহমান বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতি। বাঙালিত্বের বিশেষত বাঙালি সমন্বয়বাদী মুসলমানিত্বের পরিচয় ছাপিয়ে ভিন্দেশীয় মুসলমানিত্ব আমাদের মননে-মগজে প্রবেশ করে। যে ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ সংবিধান স্বীকৃত তার ওপর অস্ত্র চালিয়ে একটি অত্যাধুনিক সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হয়। এসব প্রয়াসের বিরুদ্ধেও শেখ হাসিনার সংগ্রামী মনোভাব আমরা লক্ষ করি। তিনি জন্মেছিলেন বলেই, তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এখনো অসাম্প্রদায়িক চেতনা বুকে ধারণ করে সম্মুখের দিকে এগিয়ে চলেছে।

১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য ও আদর্শ সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল তা ছিল বাঙালির এগিয়ে যাওয়ারই দুর্বার প্রচেষ্টা। এই এগিয়ে যাওয়াকে ১৯৭৫ সালের আগস্টে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু স্তব্ধই নয়- তখন থেকে দেশ এক অতল অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। সেই অন্ধকারকে পেছনে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার পুনরায় সম্মুখপানে জাতির গন্তব্য নির্ধারণ করেন। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে যে, যুদ্ধাপরাধের বিচার শেষ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পুনরায় সঠিক পথের সন্ধান ফিরে পেয়েছে। সঠিক পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। এদেশের নবপ্রজ লক্ষ কোটি তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে ছুটে চলেছি, ছুটে চলেছি সম্মুখের পানে- আলোর পানে। আমাদের এই অভিযাত্রায় অপরাজেয় আলোর দিশারী জাতির জনকের স্বপ্নবাজকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের এই জয়যাত্রা রুখে দাঁড়ায় তেমন সাধ্য নেই কারো। জননেত্রী শেখ হাসিনার দেখানো উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের স্বপ্ন প্রতিটি বাঙালির বুকের গভীরে আত্মবিশ্বাস ও অহংকারের সাথে দীপ্তিমান। সেই দীপ্তি কেবল কথায় নয়- কাজেও তার প্রমাণ রেখে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, সেই সাথে রয়েছেন লক্ষ কোটি মানুষ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্মের প্রচেষ্টায় তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সাফল্য এসেছে কৃষি ও শিল্পখাতেও। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিগত কয়েক বছর যাবৎ ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার তিনি ঘোষণা করেছেন ২০৩০ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে ৫০% নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার। যা বিশ্বের কোনো নেতাই এরূপ অকুণ্ঠ ঘোষণা দিতে পারেননি! শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান। মানুষের গড় আয়ুও বিগত কয়েক বছর ধরে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। জীবনমানের সামগ্রিক উন্নতি ঘটছে ফি-বছর। ‘শেখ হাসনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’- কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুসহ বাস্তবায়নের সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি। অন্যান্য মেগা প্রকল্পসমূহ এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সবগুলো মেগা প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশের চেহারাই পাল্টে যাবে সন্দেহ নেই।

সাম্প্রতিককালের বৈশ্বিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যেও দেশের অর্থনীতিও এতদ-অঞ্চলের অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহের তুলনায় শক্তিশালী এক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে, এখনো মজবুত সেই ভিত্তি। বহু কাঙ্ক্ষিত ও বহু স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতি আরো বেগবান হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত এও অত্যুক্তি হবে না যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ কবে স্বাধীন হতো তা যেমন কেউ বলতে পারেন না তেমনি শেখ শেখ হাসিনার জন্ম না হলে পদ্মা সেতু কবে নির্মিত হতো তাও কেউ বলতে পারে না! শেখ হাসিনার বিকল্প নেতৃত্ব বাংলাদেশে বিরল। তার শূন্যতাও পূরণ হওয়ার নয়!

বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনকে সামনে রেখে কত কথাই না আমাদের মনে পড়ে। কোনো কথাই শেষ করা যায় না। এত কাজ, এত সাফল্য, এত অর্জন কোনটা রেখে কোনটার কথা বলবো! সেই প্রয়াসের চেয়ে বরং জননেত্রীর উদ্দেশ্যে আবারো ‘শুভ জন্মদিন হে প্রিয় নেত্রী, হে রাষ্ট্রনায়ক’ বলে ইতি টানাই শ্রেয়। শুভ জন্মদিন প্রিয় নেত্রী, আপনার নেতৃত্বের হাত ধরে আমাদেরকে পৌঁছে দিন এক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশে। আপনার জন্মদিনে এটিই আমাদের একান্ত চাওয়া। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা।

লেখক : ড. আহমেদ আামিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ