1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিজয়ের মাস শুরু, পহেলা ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২

শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ আর কয়েক লাখ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ মাসেই জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ধরা দেয় হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা।

বাঙালির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয় এ মাসে।

বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।

বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হওয়ার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এ অর্জন হওয়ায় বেদনাবিধুর এক শোকগাঁথার মাসও এ ডিসেম্বর।

এ মাসেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের সহযোগিতায় হানাদার গোষ্ঠী দেশের মেধাবি, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেওয়ার এ ধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোনো নজির বিশ্বে নেই।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল, স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে।

১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,’ বলে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেখানেই পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজী।

বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তার ডাকে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র জনযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি 

১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালন করতে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের কার্য নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল আলম ও মহাসচিব সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামসহ অনেক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন অনেক বছর ধরে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করে আসছে। জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২০২১ সালে দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জোর সুপারিশ পেশ করে। কিন্তু এখনও এ সংক্রান্ত কোনো সরকারি ঘোষণা দেয়া হয়নি।’

তারা আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির উদ্দেশে একটি দিবস পালনের যৌক্তিকতা রয়েছে।’

সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম নেতৃবৃন্দ ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে দিনটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ ’৭১ ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ পালন করবে। কেন্দ্রিয়ভাবে ঢাকায় এবং সকল জেলা, মহানগর ও প্রাতিষ্ঠানিক কমিটিগুলো সারাদেশে দিবসটি একযোগে পালন করবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ