1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

উদ্বোধনের অপেক্ষায় যে সকল মেগা প্রকল্প

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঘনিয়ে এসেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে বর্তমান সরকার দেশে চলমান মেগা প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করতে চাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার যানজট নিরসনে গৃহীত ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে শনিবার। আংশিক শেষ হওয়া এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ধারাবাহিকভাবে আরও বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- মেট্রোরেল প্রকল্পের বাকি অংশ, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলী টানেল), খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্প, আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃদেশীয় রেল সংযোগ প্রকল্প, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রকল্পটির অংশ বিশেষের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার বুকে নির্মিত এ উড়াল পথের প্রথম ফেজ অর্থাৎ কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর সর্বসাধারণের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে আগামীকাল রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায়। সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন, এ পথ ব্যবহার করে মাত্র ১০-১২ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেটে পৌঁছানো যাবে। তবে, এজন্য গুণতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল।

রাজধানীর বিমানবন্দরের পাশে কাওলা থেকে চিটাগাং রোড এলাকার কুতুবখালী পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেজ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় এটি এখন জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ফেজ তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত অংশের কাজ চলমান।

২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পটির মেয়াদকাল শেষ হবে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে। সার্বিকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজিকরণ, আধুনিকায়ন হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জিডিপিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

মেট্রোরেল

২০ অক্টোবর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। গত ৭ জুলাই আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ট্রেনের পরীক্ষামূলক যাত্রার উদ্বোধন করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন। ওইদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১৬ সেপ্টেম্বর এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রোডের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষ্যেও সাভারে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ হতে নগরবাসী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে পারবেন মাত্র ৩৮ মিনিটে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কর্ণফুলী টানেল

রাজধানীর বনানী সেতু ভবনে গত ১৪ আগস্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। আগামী অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টানেলের উদ্বোধন করবেন।

জানা যায়, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের মূল কাজ শেষ হয়েছে। ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন হলে টানেলের যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দরকে সরাসরি আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা ছাড়াও সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ৩৫ ফুট প্রস্থ এবং ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহন সহজেই টানেলের মধ্য দিয়ে চলতে পারে। টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। যার সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের অ্যাপ্রোচ রোডের পাশাপাশি ৭৪০ মিটারের একটি সেতু রয়েছে, যা মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে

বাংলাদেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করতে যাচ্ছে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। রাজধানীর বুকে ১২ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ১২ লেনের এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে নতুন শহর পূর্বাচলের সঙ্গে যুক্ত হবে নগরীর বাকি অংশ।

এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া বলেন, দৃষ্টিনন্দন এ এক্সপ্রেসওয়ের পাশাপাশি উভয় পাশে কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন করা হচ্ছে। এতে শুধু যানজট নয়, বসুন্ধরা ও খিলক্ষেত এলাকার জলাবদ্ধতারও নিরসন হবে।

রাজউক জানায়, সরকারি অর্থায়নে নির্মিত এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা। যা ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় অনুমোদনের আট বছর পরে শেষ হচ্ছে।

ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল

আগামী ৭ অক্টোবর (শনিবার) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৮ আগস্ট দুপুরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।

তিনি বলেন, আগামী ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সফট ওপেনিং করবেন। এখন পর্যন্ত টার্মিনালের ৮২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী সফট ওপেনিং করবেন। সফট উদ্বোধনের আগে প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) করা হয়েছে। তবে এ টার্মিনালের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন হবে মডার্ন টার্মিনাল বিল্ডিং। দুই লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের বিল্ডিংয়ের ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া।

কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্প

চলতি বছরই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর পরিকল্পনা সরকারের। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নির্মাণ করা হয়েছে ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। আগামী সেপ্টেম্বরে ট্রায়াল রান শেষ হবে। তারপর দ্রুতই বহুল কাঙ্ক্ষিত এ রুটে যাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল চালু হলে পর্যটকদের যাতায়াত ভোগান্তি কমাবে, সাশ্রয় হবে যাতায়াত খরচও। তাই পর্যটক সমাগম বাড়বে। যা কক্সবাজারের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, সেপ্টেম্বর মাসে এ রেল সংযোগের উদ্বোধনের কথা থাকলেও কালুরঘাট সেতু সংস্কার ও বান্দরবানের পাহাড়ি ঢলে রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ প্রকল্পের উদ্বোধন পিছিয়ে যাচ্ছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, দ্রুততম সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঠিক করা হচ্ছে। এরপর খুব দ্রুত সময়েই উদ্বোধনের তারিখ জানতে পারবেন।

আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ প্রকল্প

বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের পুরো অংশে সফলভাবে চালানো হয়েছে ‘গ্যাং কার’ বা ‘ট্র্যাক কার’। ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেলের ইঞ্জিন। গত ২২ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন দিয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যাত্রা করে ট্র্যাক কারটি। এর আগে ট্র্যাক কারটি আখাউড়ার শিবনগর এলাকায় জিরো লাইনে পৌঁছায়।

প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি মাসেই ট্রেন দিয়ে ট্রায়াল রান দেওয়া হবে। রেললাইন দেখার জন্যই ট্র্যাক কার চালানো হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। এরপর ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্প চতুর্থবারের মতো মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এতে মোট ব্যয় হচ্ছে ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

খুলনা-মোংলা রেললাইন

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্মাণাধীন খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত নতুন রেলপথ চলতি বছরের ডিসেম্বরে চালু হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। গত ১ আগস্ট নির্মাণাধীন খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের সময় রূপসা রেল সেতু এলাকায় তিনি এ কথা বলেন।

নতুন এ রেলপথ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে- উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আগামী বছর জুনে চালু হলে ট্রেনে কুষ্টিয়া হয়ে খুলনায় যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। কাজেই তখন থেকেই আমরা লাইনটির উপকার পাব। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ কৃষি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বরের পরে যেদিন সময় দেবেন সেদিন উদ্বোধন করা হবে।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৯৬ শতাংশ। আর ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি হয়েছে ৭৯ শতাংশ। ভাঙ্গা-যশোর পর্যন্ত অংশের অগ্রগতি হয়েছে ৭৯ শতাংশ। এ অংশের উদ্বোধন করা হবে ২০২৪ সালের জুনে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প

আগামী সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারেন—  এমনটি জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। গত ২৪ জুন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাক্রমে ৩০ নভেম্বর ২০১৭ এবং ১৪ জুলাই ২০১৮ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের শুভ উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম দেশ হিসেবে নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রথম ইউনিটের ফাউন্ডেশনের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে সুপার স্ট্রাকচার কংক্রিটের ঢালাই কাজ চলছে। অপরদিকে, প্রথম ইউনিটের নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর ভেসেলের মলটেন কোর ক্যাচার রূপপুরে এসে পৌঁছেছে। আশা করা যায়, ২০২৩ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ১২০০ মেগাওয়াট অর্থাৎ ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়া সরকার ঋণ দিচ্ছে ১ হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার (১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন), যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি (ডলারপ্রতি ১০৮ টাকা ধরে)। এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প।

 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ