1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অশান্ত বিশ্বে বাংলাদেশের অসাধারণ উত্থান

ড. প্রণব কুমার পান্ডে : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

একটি সদা পরিবর্তনশীল এবং অশান্ত বিশ্বে বাংলাদেশ সহনশীলতা, অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। অসংখ্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশ বিশ্ব মঞ্চে একজন গতিশীল খেলোয়াড়ে রূপান্তরিত হয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অর্জন থেকে শুরু করে কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থান পর্যন্ত বাংলাদেশ এমন একটি উত্থান অভিজ্ঞতা করেছে যা বিভিন্ন অনুঘটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ও প্রশংসা অর্জন করেছে। এই নিবন্ধে আজকের অশান্ত এই বিশ্বে বাংলাদেশের উত্থান সম্পর্কে অনুসন্ধান করার মাধ্যমে এই সাফল্যের পেছনের কারণগুলো আলোচনা করা হয়েছে।

গত এক দশকে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। দেশের গড় বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশের ওপরে ছিল, যা এই দেশকে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটিতে পরিণত করেছে। এই টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে শক্তিশালী উৎপাদন খাত, সমৃদ্ধ তৈরি পোশাক শিল্প এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কারণে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের অন্যতম চালিকাশক্তি হলো মানব উন্নয়নের ওপর সরকারের ফোকাস। সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় প্রচুর বিনিয়োগ করেছে যার ফলে স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্যের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হয়েছে। তাছাড়া, উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন প্রচারের উদ্যোগগুলো একটি প্রাণবন্ত স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলেছে, যা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশ প্রায়ই একটি ফ্রন্টলাইন রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে।  নিচু ব-দ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, ঘূর্ণিঝড় এবং চরম আবহাওয়ার প্রভাবের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বর্তমান সরকার এসব চ্যালেঞ্জের কাছে নতি স্বীকার না করে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমনে সক্রিয় পন্থা গ্রহণ করেছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, বন্যা-প্রতিরোধী অবকাঠামো নির্মাণ এবং জলবায়ু-সহনশীল কৃষি অনুশীলনের প্রচারের মতো উদ্ভাবনী সমাধান বাস্তবায়ন করেছে। তাছাড়া, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নবায়ণযোগ্য শক্তির উৎসগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ কেবল কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করেনি, বরং দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে।

তবে, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে উন্নয়নের গতিপথকে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। অতিমারি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের  অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। কোভিড-১৯ এর বিপর্যয়কর প্রভাব থেকে বাংলাদেশ  যখন অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই রাশিয়া ও ইউক্রেন এর যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট  ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি হয়েছে যা বাংলাদেশের সামনে গুরুতর চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করেছে। কোভিড-১৯ অতিমারি দ্বারা সৃষ্ট অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ এবং রুশ-ইউক্রেনীয় যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ অসাধারণ সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে এবং সাফল্যের আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো সক্রিয় এবং কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকার দ্রুততার সাথে ভাইরাসের বিস্তার রোধে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল, যার মধ্যে ছিল ব্যাপক ভিত্তিক পরীক্ষা, জনগণের কাছে তথ্য প্রেরণ এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারণা। কঠোর লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে সরকার।

তাছাড়া, স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো দ্রুত সম্প্রসারণ এবং চিকিৎসা গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে সরকার সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। অতিমারি মোকাবিলায় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে ছিল অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত এবং স্বল্পমূল্যের ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সরকার, স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার এবং জনসাধারণের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ অতিমারির ভয়াল প্রভাব প্রশমিত করতে এবং নাগরিকদের রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের মধ্যে জনগণের জন্য পর্যাপ্ত কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাপী টিকাকরণ প্রচেষ্টায় সাফল্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ভ্যাকসিন সংগ্রহ, বিতরণ এবং প্রশাসন পরিচালনায় অসাধারণ দক্ষতা এবং দৃঢ়তা দেখিয়েছে। যখন বিশ্বের  প্রধান অর্থনীতিগুলো তাদের নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন জোগাড় করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল, তখন বাংলাদেশ সরকার জনসংখ্যাকে সুরক্ষিত করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে। কার্যকর পরিকল্পনা, আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা এবং একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামোর মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকাদানে বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য জনস্বাস্থ্য এবং জনগণের মঙ্গলের প্রতি তার অঙ্গীকারের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালীন অর্থনীতির গতি বজায় রাখার জন্য সরকার টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস-এর মতো রফতানিমুখী শিল্পসহ ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোকে সমর্থন করার জন্য দ্রুত উদ্দীপনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করেছে। অতিরিক্তভাবে, সরকারের পক্ষ থেকে দেশীয় শিল্পকে শক্তিশালী করতে, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে এবং স্থানীয় ব্যবহারকে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগের (এসএমই) প্রচারে বাংলাদেশ সরকারের ফোকাস বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আগেই বলা হয়েছে, অতিমারি পরবর্তীতে রুশ-ইউক্রেনীয় যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদেশকে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে। তবে, সূক্ষ্ম অর্থনৈতিক নীতি এবং বিচক্ষণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ সফলভাবে এই অস্থির সময়কে অতিক্রম করেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পতন এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, বাংলাদেশের সহনশীল অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধার এবং প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে।

দেশের সহনশীল রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) স্থির প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। সরকার আর্থিক সহায়তা এবং বিশ্ব বাজারে প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত করতে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও সহযোগিতা করেছে। বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে মিলিত এই কৌশলগত উদ্যোগ বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক বাধা মোকাবিলা করতে এবং এর প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম করেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের উত্থান ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক প্রভাবেও স্পষ্ট। বাংলাদেশ একটি সক্রিয় বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেছে এবং আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা বাড়াতে এবং ভিন্ন ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী  বিশ্ব শান্তি, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নের একজন শক্তিশালী অনুঘটক হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছেন।

জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি সবচেয়ে বড় সৈন্য প্রদানকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাছাড়া, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে মানবিক নেতৃত্ব প্রদর্শন করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক সংযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান বাড়ানোর লক্ষ্যে গঠিত বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর (বিসিআইএম-ইসি) এ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি আঞ্চলিক সংহতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশকে মূল খেলোয়াড়ে পরিণত করার সম্ভাবনা রাখে।

তাছাড়া, সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন (সার্ক) এবং বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (অর্থাৎ “বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ) (বিমসটেক) এর মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশটির আঞ্চলিক প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং বাণিজ্য, শক্তি, এবং নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতাকে সহজতর করেছে।
অনেকেই প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেন এই মর্মে যে, বর্তমান সময়ের অস্থির বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কীভাবে এই সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছে? আজকের অশান্ত বিশ্বে বাংলাদেশের উত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর  শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। কোভিড-১৯ অতিমারির চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও তাঁর নেতৃত্ব বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং জাতির কল্যাণে অটল অঙ্গীকার বাংলাদেশকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

আজকের অশান্ত বিশ্বে বাংলাদেশের উত্থানকে কেবল অর্থনৈতিক অর্জন এবং জলবায়ু সহনশীলতার মানদণ্ডে  সংজ্ঞায়িত না করে কোভিড-১৯ অতিমারির সফল ব্যবস্থাপনা এবং রুশ-ইউক্রেনীয় যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করার সক্ষমতার দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা উচিত। অতিমারির বিরুদ্ধে দেশটির সক্রিয় এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া, সূক্ষ্ম অর্থনৈতিক নীতির গ্রহণের সক্ষমতা এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং প্রতিকূলতার মুখে সহনশীলতা প্রদর্শনের সাহস জুগিয়েছে। বাংলাদেশ যখন তার অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে, এটি অন্যান্য জাতির জন্য একটি অনুপ্রেরণা এবং মডেল হিসাবে কাজ করছে যা প্রমাণ করে যে দৃঢ় সংকল্প, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়েও সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

লেখক: ড. প্রণব কুমার পান্ডে – অধ্যাপক, লোক প্রশাসন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ