1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

চর এলাকায় ফসলের উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দেশের চরাঞ্চলের পতিত জমিতে ফসলের উৎপাদন পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের চরাঞ্চলের জমিতে খরা-সহনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন ফসলের জাত, উপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে। এতে ওই অঞ্চলের উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ বাড়বে পাঁচ শতাংশ। এর ফলে শস্য বৈচিত্র্য ও কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জাতীয় পুষ্টির চাহিদাপূরণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এ লক্ষ্যে  ‘বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের সশ্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ২০৯ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের সাতটি বিভাগের ৩৫টি জেলার ১২১টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে এই প্রকল্প। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। প্রকল্পটি ২০২৮ সালের ৩০ জুন নাগাদ শতভাগ বাস্তবায়ন করা কথা রয়েছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেকে) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের চর এলাকার উপযোগী আখ, পাট, কালোজিরা, ভূট্টা, মিষ্টি আলু, সূর্যমুখী, মরিচ, মটরশুটি, মুগ, সরিষা, মসুর, সয়াবিন, তরমুজ, মাল্টা, পেয়ারা ও আম চাষের ফলন বাড়ানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও পতিত জমি ব্যবহারের মাধ্যমে চরাঞ্চলের শস্যের নিবিড়তা ১৪০ শতাংশ থেকে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত হবে। এ ছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও ফসলের আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে চর এলাকার কৃষি উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানো, উপকারভোগীদের পুষ্টিমানের উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার লক্ষ্যেই প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মাঠদিবস ও সেমিনার বা ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে। প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী করা হবে। সোলার আলোক ফাঁদ ও এলএলপি বিতরণ, এবং ফার্মারস ফ্যাসিলিটিস শেড নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের আরএডিপিতে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করে পরিকল্পনা কমিশন। কমিশন বলেছে, সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বর্ণিত ফসল উপখাতের উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বাড়ানো এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২ এ বর্ণিত টেকসই কৃষির প্রসার এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৩ এ বর্ণিত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সঙ্গতিপূর্ণ।

প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের চরাঞ্চলের জমিতে খরা সহনশীল ও স্বল্পজীবনকালীন ফসলের জাত, উপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে। এর ফলে শস্য বৈচিত্র্য ও কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জাতীয় পুষ্টির চাহিদাপূরণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এ কারণে প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

এমন পরিস্থিতিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অনুদানে মোট ২০৯ কোটি ২১ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০২৮ মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেকের সদয় বিবেচনা ও সানুগ্রহ অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে দেশের চর অঞ্চলের পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতেই প্রকল্পটি নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আশা করছি, প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের চরাঞ্চলের জমিতে খরা সহনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন ফসলের জাত, উপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এতে দেশের পতিত জমি ব্যবহারের মাধ্যমে চর অঞ্চলের শস্যের নিবিড়তা ১৪০ শতাংশ থেকে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত হবে। এর ফলে শস্য বৈচিত্র্য ও কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জাতীয় পুষ্টির চাহিদাপূরণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ