1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আউটসোর্সিংয়ের আড়ালে প্রতারণা, গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দুবাইয়ে বসে অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের নাম করে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। বাংলাদেশিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে হাতিয়ে নেওয়া হয় কোটি কোটি টাকা। এই চক্রের মূলহোতাদের একজন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সম্রাট, আরেকজন সাতকানিয়ার মান্নান। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পর প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার তিনজন হলেন দুবাইয়ে অবস্থান করা সম্রাটের ভাই আল ফয়সাল, তার মা আরেফা বেগম এবং তাদের আরেক সহযোগী নিজাম উদ্দিন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) স্পিনা রাণী প্রামাণিক বলেন, একজন ভুক্তভোগীর মামলায় এজাহারভুক্ত দুইজন এবং তদন্তে পাওয়া আরও একজনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ৪টি মোবাইল ফোন।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতার আল ফয়সালের ছোট ভাই সম্রাট দুবাই থেকে আউটসোর্সিংয়ের নামে দুটি ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে। এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন সম্রাটের মা আরেফা বেগম, তার ভাই আল ফয়সাল। তারা আত্মসাৎ করা অর্থ তাদের প্রতিবেশী বেলালের কাছে জমা করেন।

জানা গেছে, প্রতারকচক্রের সদস্যরা হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস পাঠান ভুক্তভোগীদের কাছে। এসএমএসে উল্লেখ করা হয়, আপনি চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম কাজ করে বাড়তি আয় করতে পারবেন। পরবর্তীতে সরল বিশ্বাসে অনলাইন আউটসোর্সিং কাজে যোগ দেন ভুক্তভোগীরা। টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদান করতো চক্রটির সদস্যরা। কাজ করার এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীদের জানানো হতো আপনি অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুল করেছেন, যার কারণে আপনার কিছু পয়েন্ট কাটা গেছে। আপনার অ্যাকাউন্টের জমা হওয়া টাকা তুলতে হলে তাদের প্রি-পেমেন্ট করতে হবে। সেই মোতাবেক ৬৮ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দেন তারা। পরবর্তীতে আবার তাদের কাজে ভুল হয়েছে বলে আরও এক লাখ টাকা দিতে বলে। এভাবে ধাপে ধাপে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৫ লাখ, ১৬ লাখ, ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এভাবে দেশের বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে প্রতারকচক্রটি। তদন্তে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে গত দুই মাসে এক কোটি ৫৭ লাখ ও আরেকটি অ্যাকাউন্টে দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গে


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ