1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জি-২০ ছিলো শেখ হাসিনা সামিট : ওয়ালিউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, জি-২০ সম্মেলনে প্রথম বক্তা ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাংলাদেশ তো জি-২০’র সদস্য নয়। তাহলে কীভাবে সম্ভব হলো তা? এখানেই শেখ হাসিনার ম্যাজিক। নেতৃত্বগুণ প্রকাশ পায়। শেখ হাসিনা এখন একজন বিশ্বনেতা। তিনি যে নাম-ডাক করেছেন জি-২০ সম্মেলনে গিয়ে, এটা বাংলাদেশের জন্য বিরাট অর্জন। আমাদের জন্য অনেক বড় সুনাম।

ওয়ালিউর রহমান বলেন, বিগত ৭-৮ মাসে কতোজন কূটনীতিক বাংলাদেশে এসেছেন? ১০, ২০, ৩০ কিংবা ৪০ জন। বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন এসেছেন। কথা বলেছেন। অনেকেই ভয় দেখিয়েছেন। বিশেষ করে বিএনপি আমেরিকা বা পশ্চিমাদের প্রতিটি সফরকে কেন্দ্র করে সরকারকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনে গিয়ে দেখিয়েছেন, এসবের কোনো কিছুই বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি। শেখ হাসিনা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য যা দরকার তার সবই করছেন। তার জাতীয় স্বার্থ কী? যে ব্যাপারগুলোতে বাংলাদেশকে ভয় দেখানো হচ্ছিলো বিভিন্নভাবে, সেগুলোকে তিনি স্কেপ করেছেন। একইসঙ্গে ওভারকামও করেছেন।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজের হাতে সেলফি তুলেছেন। কথা বলেছেন। এর মধ্যে আন্তরিকতা ছিলো। বাইডেনকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে তোমার ধারণা কী? তিনি বললেন, আই অ্যাম ভেরি হাই ওপিনিয়ন অ্যাবাউট দ্য প্রাইম মিনিস্টার অব বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা। কেন বলেছেন? কারণ তিনি সম্মান দেখিয়েছেন। তিনি জানতে পেরেছেন, শেখ হাসিনা সম্পর্কে। বাইডেন তার সম্পর্কে এতো কথা শুনেছেন হোয়াইট হাউজে বসে। তবুও তিনি সম্মান প্রাপ্য, সেটাই তাকে দিয়েছেন, যা তিনি ডিজার্ভ করেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেড় ঘণ্টার একটা মিটিং করেছেন। একসঙ্গে চা-কফি খেয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা জি-২০তে অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানে অনেক সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছেন দেশের জন্য। জি-২০ তে অনেক বড় একটা অংশ ছিলো বাংলাদেশ, সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক হাঁটু ঘেরে বসে কথা বলেছেন। শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। আমি বিশ্বর অনেক জায়গায় বহু সামিটে গিয়েছি। কিন্তু এমন বিরল দৃশ্য কখনো দেখিনি। এ সবই জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের গুরুত্ব বোঝাতে যথেষ্ট। শেখ হাসিনা একটা বিরাট ঢেউ তুলে এসেছেন জি-২০ সম্মেলনে। তার কথাবার্তা, চিন্তাধারায়।

ফান্সের প্রেসিডেন্টও এসেছিলেন। তিনি বিশ্বের অত্যন্ত শক্তিধর একটি দেশের প্রেসিডেন্ট। কেন এসেছিলেন? নিশ্চয় তার স্বার্থ আছে। বাংলাদেশেরও তো স্বার্থ ছিলো। এ যে সবাই বাংলাদেশকে সম্মান করছে। কেন করছে? কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণ।

বিশ্বে এখন একটি অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। আমরা ছোট দেশ। ছোট ইকোনোমিতে হাইয়েস্ট। এটা কে করেছে? শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে ছাড়া তো কারও পক্ষে তা অর্জন করা সম্ভব নয়। ফলে শেখ হাসিনাকে সম্মান দেখাতে বিদেশিরা আসছেন। আগামীতে আরও আসবেন।

 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ