প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজিবি) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেপ্তার জঙ্গির নাম মো. মাসুদ আহমেদ শাকিল ওরফে সুমন (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এটিইউ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এটিইউ জানায়, এটিইউয়ের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হুজিবির সদস্য মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। মাসুদ সিলেটে ২৩ বছর ধরে বিচারাধীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক নম্বর পলাতক আসামি। গ্রেপ্তার মাসুদ ব্যবসার ফাঁকে তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হতেন।
২০০০ সালে এহতেশাম নামের একজনের সঙ্গে শাকিলের পরিচয় হয়। এহতেশামের মাধ্যমে তার পরিচয় হয় ডা. আরিফ আহমেদ রিফা ও আবু ওবায়দার সঙ্গে। যারা সবাই হুজিবির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। হুজিবির এই সদস্যরা সিলেটের সুরমা ভ্যালি হোটেলে প্রায়শই অবস্থান করে নাশকতার পরিকল্পনা করতেন। হুজিবির সদস্যরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সিলেটে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বোমা হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এটিইউ আরও জানায়, হামলার আগের দিন ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে জনসভাস্থল আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের পার্শ্ববর্তী ফাজিল চিশতে এলাকায় ডা. আরিফ আহমদ রিফার বাসায় বোমা তৈরি এবং হস্তান্তর করতে গিয়ে বিস্ফোরণে দুই জঙ্গি নিহত হন। আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে হুজিবির সক্রিয় সদস্য মাসুদ আহমেদ শাকিল ও আবু ওবায়দাকে জনগণ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে মাসুদ আহমেদ শাকিল এক নম্বর আসামি করে মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে সিলেট মহানগরীর কোতয়ালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন মামলা দায়ের করা হয়।
পরে ২০০১ সালের ২ অক্টোবর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে মো. মাসুদ আহমেদ শাকিল ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন। মো. মাসুদ আহমেদ শাকিল জামিনে গিয়ে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পলাতক ছিলেন। এন্টি টেরোরিজম ইউনিট গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারির মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
