রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫৩ তম চালানের মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙর করেছে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি সাপোডিলা’।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে এসে জাহাজটি ভিড়েছে। পরে বিকেলের পালা থেকে পণ্য খালাস শুরু করা হয়। এবারের চালানে ৩২৪৩.৩৫৪ মেট্রিক টন মেশিনারিজ রয়েছে।
লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘মেসার্স ইন্টার পোর্ট শিপিং এজেন্সি’ লিমিটেডের কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৬ জুলাই রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে জাহাজটিতে মেশিনারিজ পণ্যগুলো বোঝাই করা হয়। পরে বেলজিয়াম হয়ে চারটি সাগর পথ পাড়ি দিয়ে রুশ পণ্য নিয়ে প্রথমে ভারতের কলকাতায় আসে। সেখান থেকে ট্রানজিট হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে সরাসরি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ‘এমভি সাপোডিলা’ নামের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী বিদেশি বাণিজ্যিক এ জাহাজটি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ পণ্যগুলো খালাস করতে জাহাজটি ১৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দুপুর ২টার দিকে মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে এসে পৌঁছায়। রূপপুরের পণ্য নিয়ে আসা এ জাহাজটি রাশিয়া থেকে মোংলা বন্দরে পৌঁছাতে এক মাস ১৫ দিন সময় লেগেছে বলেও জানায় শিপিং এজেন্ট’র প্রতিনিধিরা।
তারা আরও জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জন্য এবারের ৫৩ তম চালানে আনা ৯৩৪টি প্যাকেজে তিন হাজার ২৪৩ দশমিক ৩৫৪ মেট্রিক টন মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ রয়েছে। বন্দর জেটিতে নোঙরের পর শুক্রবার বিকালের পালা থেকে পণ্য খালাসের কাজ শুরু করে শ্রমিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স অভিরত এজেন্সি লিমিটেডের প্রতিনিধিরা।
তারা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ জাহাজের মেশিনারিজ পণ্যগুলো খালাস করতে সময় লাগবে মাত্র ৩/৪ দিন বলে জানায় তারা। খালাস করা কিছু মেশিনারিজ পণ্য বন্দর জেটির পৃথক সেডে মজুদ করে রাখা হবে। আর কিছু নদীতে রাখা বার্জে লোড করা হবে। পরে পণ্যগুলো গাড়ি বোঝাই করে সড়ক পথে ও নৌপথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৫৩টি জাহাজ বোঝাই করে রাশিয়া থেকে মোট ৮৮ হাজার ১৪১ মেট্রিক টন পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস করা হলো।
স্থানীয় মেসার্স ইন্টার পোর্ট শিপিং এজেন্সির প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ মামুন বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা পণ্য নিয়ে যতগুলো বিদেশি জাহাজ বাংলাদেশে আসছে তার সব কটি জাহাজই মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে। এখানে জাহাজ আসলে দ্রুত খালাস কাজ সম্পন্ন করা যায় এবং পদ্মা সেতুর হওয়ার ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছে দেয়া যায় বলেই দেশের সব কটি মেঘা প্রকল্পের মালামাল মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস করা হয়েছে। আশা করি আগামীতেও এ প্রকল্পের যতগুলো জাহাজ আসবে তাও মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২৬ জুলাই ৫২তম চালানে ৪৪২ প্যাকেজে ১২৭০.৪০ মেট্রিক টন বিভিন্ন মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ নিয়ে মোংলা বন্দরে খালাস করেছিল বিদেশি জাহাজ ‘এমভি ইসানিয়া’।
