1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার’ প্রণয়নের জন্য ইউনেস্কোতে প্রশংসিত বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২

ইউনেস্কো আয়োজিত মন্ডিয়াকল্ট ২০২২ সম্মেলনে উদ্ভাবন অর্থনীতি খাতে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন বিশ্বনেতারা।

শনিবার (১ অক্টোবর) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে শুক্রবার বিশ্বনেতাদের গৃহীত চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানো হয়।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক নীতিমালা গঠনের ওপর বিশ্বনেতাদের ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত মন্ডিয়াকল্ট ২০২২-এর পর্দা নামল। টেকসই উন্নয়নে সংস্কৃতির ভূমিকাকে প্রতিষ্ঠিত করার বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ১৫০টি দেশ থেকে ১৩৬ জন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের নেতা, কূটনীতিক, সংস্কৃতিকর্মী, সংগঠক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলে ফ্রান্স ও ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা ও প্রথম সচিব মো. ওয়ালিদ বিন কাশেম অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে ‘উদ্ভাবন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দানের আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি গত ২০২০ সালে উদ্ভাবন অর্থনীতি খাতে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ প্রণয়নের জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে উদ্ভাবন অর্থনীতি একটি নবায়নযোগ্য নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবহেলিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূহকে সুরক্ষা প্রদানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী খালিদ নিরাপদ, দায়িত্বশীল ও নিয়ন্ত্রিত সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বেনেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সম্মেলন শেষে বিশ্বনেতাদের গৃহীত চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি উদ্ভাবন অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সহমত পোষণ করা হয় এবং এ বিষয়ক পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে চিহ্নিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সংস্কৃতিবিষয়ক পাঠদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ ছাড়াও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব দেশে সংস্কৃতি নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োজন মোতাবেক হালনাগাদ করার আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত ২০০৬ সালে জাতীয় সংস্কৃতি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল, যা বর্তমানে যুগোপযোগী করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

২০১৫ সালে জাতিসংঘে গৃহীত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত বিশদ কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো এ সম্মেলনের আয়োজন করে। ১৯৮২ সালে সবশেষ মেক্সিকোতে এই মাপের সংস্কৃতিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজিত হয়।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ