বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরীকে লাল-সবুজ জার্সিতে খেলানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাত্কারের হামজা জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তার বাবা বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
হামজার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয় নিশ্চিত করেছে বাফুফে।
এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, “আমরা নিজেরাই চেষ্টা করব। আমরা তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমেও চেষ্টা করছি। ফেডারেশন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করার পর থেকে বিষয়টি এগিয়ে চলছে। এখন এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবো না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের পক্ষ থেকে আগ্রহ এবং উদ্যোগের কোনো ঘাটতি নেই। সে (হামজা) যোগ দিলে আমাদের জাতীয় দলের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী হবে। আমরা তাকে পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”
তিন বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সময় হামজা প্রথমে বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের জার্সিতে খেললে তার ভালো লাগবে।
গত মাসে বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ পুর্নব্যক্ত করেন ২৫ বছর বয়সী এই তারকা।
ইংলিশ পেশাদার ফুটবল লিগ খেলা প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশি আনোয়ার উদ্দিন এমবিই’র সঙ্গে আলাপকালে এবার তিনি এ কথা বললেন।
তিন বছর আগে এই মিডফিল্ডার তার আগ্রহ প্রকাশ করার পরপরই হামজার দল লেস্টার সিটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বাফুফে। কিন্তু সেই সময়ে কোনো সাড়া না পেয়ে গত মাসে লেস্টারকে আবারও ইমেইল করে বাফুফে ।
এবার অবশ্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি মেইল প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন “তারা আগে কখনো আমাদের ইমেইলের প্রাপ্তি স্বীকার করেনি, কিন্তু এবার তারা উত্তর দিয়েছে। তারা উত্তর দিয়েছে যে তারা আমাদের মেইল পেয়েছে এবং কোনো প্রতিক্রিয়া থাকলে আমাদের জানাবে। আমরা সোমবার তাদেরকে আরও একবার নক করেছি।”
বাংলাদেশি এবং গ্রেনাডিয়ান ঐতিহ্য ধারণ করা হামজা চৌধুরী ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল খেলা তিনিই একমাত্র ব্রিটিশ-বাংলাদেশি।