1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাংলাদেশের সময় এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে অটোমান সাম্রজ্যের পতনের পরে, অঞ্চল ভাগাভাগির জন্য পেনসিল ও স্কেল নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোন অঞ্চল কার নিয়ন্ত্রনে থাকবে তা ঠিক করে ব্রিটেন ও ফ্রান্স সাথে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। নিজেদের সুবিধার জন্য সোজাসুজি দাগ কেটে নতুন মানচিত্র তৈরী করে তাঁরা। যদিও তারা কেউ মধ্যপ্রাচ্যে সশরীরে যায় নি। তারা আক্ষরিক অর্থেই মানচিত্রের উপর ভাগাভাগি করেন। এই সাইক-পিকো চুক্তি বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের ম্যাপের আকার ঠিক করে দেয়।

আইস যুগের পরে আদিম মানুষ হাতিয়ার তৈরী ও আগুনের ব্যবহার শিখে।ফলে তাদের জীবনযাত্রা অনেকটা সহজ হয়ে যায় এবং দলবদ্ধভাবে পশু শিকার করে নিজেদের মধ্যে পশুর মাংস ভাগাবাটি করতে শিখে।
ওসমানী সাম্রাজ্যের পতনের পর আরব অঞ্চল ভাগাবাটির ১০০বছর পেরিয়ে গেলেও,ঔপনিবেশিক ও শক্তিধর দেশগুলো এখন নতুন কায়দায় ব্যবসা-বাণিজ্য ভাগাবাটি নিয়ে ব্যস্ত। সাম্রাজ্যবাদ মার্কিনিরা সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন অজুহাতে সভ্য জাতি গোষ্ঠির নাম ব্যবহার করে দরিদ্র দেশেগুলিকে সুকৌশলে শাসন-শোষন করছে। বিশ্ব মোড়ল হিসাবে তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে তাঁবেদার সরকার বসিয়ে শাসন পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।ডিজিটাল যুগে শাসন-শোষন পদ্ধতিও ডিজিটাল যা সাধারন মানুষের বুঝার বাহিরে।

তাদের কাছে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী প্রাধান্য পায় না,যার দ্বারা তাদের স্বার্থ উদ্ধার হবে সেই ব্যক্তিই তাদের পরিকল্পিত দেশের মনোনীত শাসক। তাঁরা বিশ্বের গরীব দেশেগুলিতে গণতন্ত্রের চার্চার অভাব ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন তুলে।ক্ষমতার অপব্যবহার,ভোটগ্রহন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভিসা নীতি আরোপ ও বিভিন্ন রকম স্যাংশন এবং বিভিন্ন ভাবে স্নায়ু চাপ দিয়ে বাণিজ্যিক অবরোধ দিয়ে চলেছে তাঁরা।

ঔপনিবেশিক শাসকদের চরিত্র অনেকটা একই রকম।আজ আমেরিকা আগামী কাল চীন পরশু ব্রাজিল বা অন্য কেউ। সময়ের সাথে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন নতুন খেলোয়াড আসে যারা ঔপনিবেশিক ও সাম্রজ্যবাদী শক্তি নামে পরিচিত।

বিশ্ব মোড়ল বা মহাজনদের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য , অর্থব্যবস্থা ও পরিচালনা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা।

চীনে কোন গণতন্ত্র বা মানবাধিকার আছে?সেখানে আমেরিকার ভিসা নীতি ও স্যাংশন কোথায়? বরং বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চর্চা চীনের চেয়ে অনেক বেশী।

তবে বিশ্বসমাজ ও রাজনীতিতে একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে।গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে এক সময়ের শাসিত উপনিবেশক যাঁদের নতুন নাম বৈশ্বিক দক্ষিণ।যার প্রতিফলন আমরা সস্প্রতি ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সস্মেলনে কিছুটা আঁচ করতে পেরেছি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বব্যবস্হা ও অর্থনৈতিক নেতৃত্ব নিজেদের হাতের মুঠোয় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর মিত্রদের নিয়ে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও ডব্লিওটিও গড়ে তোলে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরিকল্পিত পৃথিবীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গতিপথ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

একের পর এক যুদ্ধে জড়িয়ে আমেরিকার নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।সময়ের সাথে সাথে বৈশ্বিক নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। যে শূন্যতা পূরণ করতে পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্হার বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টি হতে চলেছে। এদের সাথে যুক্ত হয়েছে দক্ষিনের উদিত রাষ্ট্র বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ যোগ দিবেই না কেন,যেখানে পশ্চিমা দেশগুলিতে ১২শতাংশ মানুষ বসবাস করে কিন্তু বাকী ৮৮ শতাংশ মানুষ বৈশ্বিক দক্ষিণের বাসিন্দা।

তাছাড়া আমরা দেখেছি কোভিড-১৯ সংকটের সময় ধনী রাষ্ট্রগুলির উদ্ভাবিত টীকা দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলিকে ভিক্ষা হিসাবে দিলেও তা উৎপাদনের অনুমতি না দেওয়ার ব্যপারে তাঁরা অনড় ছিল। ব্রিটিশদের ১৯০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন ও ২৩ বছরের পাকিস্তানি দুঃশাসনে বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত-নিষ্পেষিত হয়েছে। কিন্তু বাঙালির ইতিহাস বীরত্বের ইতিহাস। দুরন্ত সাহসে উজ্জীবিত আমাদের এই জাতি।

মার্টিন লুথার কিং এর কথায় বলতে হয়- শিখতে হয় মাথা নিচু করে, বাঁচতে হয় মাথা উঁচু করে। জয় বাংলা।

লেখক : মাহবুবুর রহমান – সাধারণ সম্পাদক, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ