শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না, আমেরিকার সঙ্গে তাদের এজেন্ট বিএনপি-জামায়াত বলছে। শেখ হাসিনার সরকার থাকলে রাশিয়ার নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি এখন বাংলাদেশে। সামরিক নিরাপত্তায় পাবনাতে নেওয়া হয়েছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে জাপানের সহায়তায়। এই বন্দর চালু হলে সিঙ্গাপুর বন্দরের স্বার্থ বিবেচনা নিতে হয় আমেরিকার। তাদের স্বার্থ জড়িত, বিনষ্টের কারণ শেখ হাসিনার সরকার। ভারতের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে পারছে না, সীমান্ত উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারছে না বলে! মৌলবাদ জঙ্গিবাদের বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছে, জুজুর ভয় দেখিয়ে ইসলামকে অপবাদ দিতে পারছে না। একসঙ্গে বোমা হামলার দিন শেষ। হেফাজত, জামায়াতকে ইস্যু করে বাংলাদেশে হলি খেলা হয় না, শেখ হাসিনার জন্য। এই সরকারের দীর্ঘস্থায়ী হলে আমেরিকার মহাপরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। বিশ্বের সকল শক্তিধর দেশ এখন শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে।
চীনের কারিগরি সহায়তায় পদ্মা সেতু, ফ্রান্সের কার্গো বিমান, তুরস্কের ড্রোন, জার্মানির ট্যাঙ্ক এখন বাংলাদেশ। বিশ্ব শিল্পাঞ্চলে পরিণত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চল। ভোলার গ্যাস ঢাকায় আনার জন্য কাজ করছে রাশিয়া, আমেরিকার মাথাব্যথার কারণ এখানে। গণতন্ত্রের মন্ত্র, মানবাধিকারের অজুহাত বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বাঙালি জাতি এই দুর্যোগ মোকাবেলা করবে ২০২৪ সালের নির্বাচন। শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে নৌকার জন্য ভোটের প্রয়োজন। যেমন তুরস্কের জনগণ ইটের জবাব পাথরে দিয়েছে। বাইডেনের সকল ষড়যন্ত্র তুর্কীরা ভোটের মাধ্যমে দিয়েছে। ৭১ এর বাঙালি সপ্তম নৌবহর ঠেকিয়েছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। মসজিদ-মাদ্রাসা, শিল্প, আশ্রয়ন প্রকল্প, দারিদ্র্য বিমোচনে শেখ হাসিনার সরকার দরকার হবে। বিদেশি দালাল ও ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করতে না পারলে শোষণের রাজনীতিতে ফিরে যেতে হবে। ব্রিটিশের দুইশ বছর, পাকিস্তানের চব্বিশ বছর, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরের একুশ বছর গোলামির জিঞ্জির ছিলো পায়ে। শেখ হাসিনার গণআন্দোলন, ভোট ও ভাতের অধিকারের সঙ্গে উন্নয়ন যুক্ত হয়েছে।
আমেরিকার মিত্রশক্তি বাংলাদেশের কব্জায়, অপশক্তির মিত্র বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসের পথে। শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করতে না পারলে, আমেরিকাও ধ্বংস হতে পারে! বাঙালি জাতি সীদ্ধান্ত নিতে হবে, ধ্বংস আমেরিকার জন্য নাকি বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনবেন? ইরাক-লিবিয়া-সিরিয়া হবেন শেখ হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ নিয়ে? ৫ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ৭ অক্টোবর বিমানের তৃতীয় টার্মিনাল, ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুর রেললাইন, ২৩ অক্টোবর মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত, ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলি টানেল উদ্বোধন আমেরিকা সইতে পারছে না। শেখ হাসিনা এতোসব উন্নয়নের জন্য আমেরিকাকে শেয়ার দিচ্ছে না, এটাই তাদের গাত্রদাহের কারণ!
লেখক : রবিউল আলম – ব্যবসায়ী ও সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট
