1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফরিদপুরে শেখ হাসিনার জনসভায় জড়ো হচ্ছে দুই লাখ মানুষ

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেলপথে ভাঙ্গা জংশন হয়ে পৌঁছাবেন ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে। যোগ দেবেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায়। প্রধান অতিথি হিসেবে সেখানে ভাষণ দেবেন তিনি।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ভাঙ্গাজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। রং-বেরঙের ব্যানার আর ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে সড়কের আশপাশ। জনসভায় প্রায় দুই লাখ লোকের সমাগম ঘটবে বলে আশা আয়োজকদের।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ। তিনি সার্বিক প্রস্তুতির খোঁজখবর নেন। এসময় সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা যায়।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টায় প্রথমে মাওয়া রেলস্টেশনে পৌঁছে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচলের। এরপর বিকেল ৩টার দিকে রেলপথে পৌঁছাবেন ভাঙ্গা জংশনে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ভাঙ্গার মানুষের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। এখানে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখতে মানুষ ক্ষণ গুনছে।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আমাদের এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। পদ্মা সেতু হয়ে রেল চলাচল শুরু হলে আমাদের এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে।’

ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান তারা বলেন, ‘ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ভাঙ্গার এ জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা আশা করছি প্রায় দুই লাখ মানুষ জনসভায় যোগ দেবেন। যদিও ভাঙ্গার স্টেডিয়ামে এতো লোকের সংকুলান হবে না, তারা জনসভাস্থল ছাড়িয়ে আশপাশে অবস্থান করবেন।’

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন। এখন সড়কপথের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরু হচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অনন্য কীর্তি। আমরা এখন সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরা তার কাছে আর কিছু চাই না। আমরা চাই তিনি আবারও আমাদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিবেন। আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেবে।’

এদিকে ভাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসভাস্থল ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সড়কের সংস্কার ও প্রশস্ত করা হয়েছে। জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন। এরইমধ্যে ভাঙ্গায় জনসভার মঞ্চ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে।

মাওয়া-ভাঙ্গা রেলওয়ে প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সাজসজ্জা ও ভেন্যুর প্রস্তুতিসহ যা যা করা দরকার আমরা সব করেছি। দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভায় যোগদান কর্মসূচির পুরো বিষয়টি দেখভাল করছে এসএসএফ। নিরাপত্তার কোনো সমস্যা আমরা দেখছি না।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে। আগামী বছরের জুনে যশোর পর্যন্ত রেল চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১০ অক্টোবর কমলাপুর থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে যাবে। পদ্মা সেতুর আগে মাওয়া স্টেশনে হবে সুধী সমাবেশ। সেখানেই উদ্বোধনের কার্যক্রম হবে। এরপর ট্রেনে উঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাঙ্গায় যাওয়ার কথা রয়েছে।

পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৩ মে অনুমোদন করা হয়। সেসময় এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ২২ মে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ রেলপথ নির্মাণের কাজ করছে চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ২৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। বাকি অর্থ ব্যয় করছে বাংলাদেশ সরকার।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ