1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ঢাকায় হবে সার্কুলার এলিভেটেড ওয়ে: শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকায় সার্কুলার ওয়াটার ওয়েজ নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছি। পাশাপাশি পুরো ঢাকায় হবে সার্কুলার এলিভেটেড ওয়ে। শনিবার রাজধানীর বিমাবন্দর এলাকার কাওলা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজকের ঢাকা বদলে গেছে। যানজট দূর করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। এরই মধ্যে মেট্রোরেল করেছি। যোগাযোগের জন্য মেট্রোরেলের সঙ্গে পাতাল রেল করছি। ঢাকায় সার্কুলার ওয়াটার ওয়েজ নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছি। জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই পুরো ঢাকা ঘিরে সার্কুলার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করে দেবো।

পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে অপচয় রোধের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি অনুরোধ করবো বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। ঘর থেকে বের হতে ফ্যান ও লাইটের সুইচ অফ করবেন। পানিরও অপচয় রোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন করে রিজার্ভ গেল কোথায়, জনগণের সেবায় সে টাকা খরচ করেছি। টিকা কিনতে খরচ করেছি। এখন খাদ্য মন্দায় খাদ্য কিনে আনছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ দারিদ্রের হার ১৮ ভাগের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।করোনায় ধনী দেশ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন দিয়েছে, আমরা দিয়েছি বিনামূল্যে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে আমরা তা করেছি।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলে দেশ ছিল পিছিয়ে। আওয়ামী লীগের আমলে এগিয়ে গেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। খালেদা জিয়ার আমলে ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিল। আর আমরা এবার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের আদর্শ ও চেতনায় বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সেটা ধারণ করে এবং জনগণের সেবা করে যাচ্ছে। আজ দেশের মানুষ ভুমি ও গৃহ পাচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। বস্তিবাসীদেরও ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট দিচ্ছি। তারা সুন্দরভাবে বাঁচবে। খালি বড়লোকরা ফ্ল্যাটে থাকবে, গরীবরা থাকবে না, এটা হতে পারে না।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের ফলে সমস্ত মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তাদের আন্দোলনে হাজার হাজার গাছ কেটেছে, রাস্তা কেটেছে। তারা ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করেনি। খুনিদের দল জনগণের কল্যাণ কখনো করতে পারে না। করেওনি। একই দিনে ৬৪ জেলায় ৫০০ বোমা হামলা করল। স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তার (খালেদা জিয়া) বিদেশে চিকিৎসার দাবি নিয়ে অনশন করে। তারা কয়টা থেকে অনশন শুরু করেছে? বাসা থেকে কী দিয়ে নাস্তা করে এসেছে, কী দিয়ে গিয়ে খাবে? কয় ঘণ্টার অনশন? নাটক করার তো একটা সীমা থাকে। তারা অনশন করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে চায়, নেবেটা কে? যে ছেলে মাকে দেখতে আসে না, সে? এ আশা দুরাশা।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতই অসুস্থ। তিনি নাকি মারা যাবেন! হ্যাঁ বয়স হয়েছে, আবার অসুস্থ। কিন্তু এত অসুস্থ হলে তার ছেলে তাকে দেখতে আসে না কেনো? এটা কেমন ছেলে?

তিনি বলেন, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে জিয়া বা খালেদা জিয়ার কোনো অবদান নেই। বরং তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করেছে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে যে দেশের উন্নতি হয়, এটা আজ আমরা প্রমাণ করেছি। গত ২৯ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা দেশের মানুষের জন্য কী করেছে? কিছুই করেনি। যা করেছে আওয়ামী লীগই করেছে।

জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এরা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা আর স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় বসানোর কাজ করেছে। তাদের জন্ম হয়েছে হত্যার মধ্য দিয়ে। ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে। আমার বাবার সঙ্গে দায়িত্বরত অফিসারদেরও হত্যা করেছে। জিয়া ও এরশাদের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত। ওই অবৈধ দখলদারদের দোসর বিএনপি-জামায়াত আজ বাংলোদেশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের উন্নতি সহ্য করে না।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মাত্র দেড় মাসে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। জনগণের আন্দেোলনের মাধ্যমে আমরা এ দেশের মানুষের ভোটার অধিকার নিশ্চিত করেছি। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার করেছি। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা অংশ নেন।

এর আগে বেলা সোয়া ৩টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীতে ক্ষমতাসীনদের জনসমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে স্বাগত জানান। এসময় নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। এ জনসভা গত শনিবার হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তারিখ পরিবর্তন হয়। ফলে আজ কাওলায় হয় সমাবেশ।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

জুলাই থেকে ১০ শতাংশ বাড়তি বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা

বাংলাদেশে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিশ বছরের খতিয়ান

ডিমের চাহিদা অর্ধেকে নামায় আতংকিত সিন্ডিকেট

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এলইডি বাল্বের স্টার লেবেলিং করবে সরকার

কৈলাশটিলা কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হবে ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস 

‘বিচারের জন্য কাউকে যেন চোখের পানি ফেলতে না হয়’

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় প্রস্তুত ৭৪৩ সাইক্লোন সেন্টার

করোনা রোগীদের শয্যা প্রাপ্তিতে ছাত্রলীগের মানবিক টিম

নেচার ফটোগ্রাফিতে বাংলাদেশী আরিফুজ্জামান রোজেলের বিশ্বজয়

শিশুর পাকস্থলী দিয়ে ১৯৩০ পিস ইয়াবা পাচারের চেষ্টা, আটক ৬ রোহিঙ্গা