1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের প্রথম চৌদ্দ লেনের মহাসড়ক

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩

চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম চৌদ্দ লেনের দ্রুত গতির মহাসড়ক পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত পথ পাড়ি দিয়ে এ যাত্রার আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনটাই আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এরইমধ্য প্রায় শতভাগ কাজ শেষ; চলছে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। বিশেষ ব্যবস্থা থাকায় ভারি বৃষ্টিতেও এ পথে হবে না জলজট। তাছাড়া নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনেও এই প্রকল্প রাখবে বিশেষ ভূমিকা।

আরও এক স্বপ্ন ছোঁয়ার হাতছানি সামনে। প্রস্তুত আরও একটি পথ অপেক্ষা উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতার। আর তাইতো শেষ সময়ে এসে এখন চলছে তুলির শেষ আঁচড় টুকুও। কুড়িল থেকে কাঞ্চন দেশের প্রথম চৌদ্দ লেনের সড়ক। দুইপাশে এক’শ ফুট লেক আর পাঁচটি অ্যাডগ্রেডে ইন্টারসেকশন এ পথকে দিয়েছে এক নান্দনিক রুপ।

চালুর আগে ইন্টার সেকশনের নীচে পানি জমা নিয়ে নানা কথা হলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে এসব জায়গায় বিশেষ পাম্প। দেশের পঞ্চাশ বছরের বৃষ্টির পরিমাণ নিয়ে গবেষণা করে যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে রেকর্ড ছাপিয়ে বৃষ্টি হলেও এই পথে শঙ্কা নেই জলজটের। তাছাড়া পূর্বাচলের এই পথ ঢাকা উত্তরের জলাবদ্ধতা নিরসনেও ভূমিকা রাখবে।

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এম এম আহসান জামিল বলেন, ঢাকা উত্তরের জলাবদ্ধতা নিরসন, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম-সিলেটসহ বিভিন্ন শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার সমন্বয় বা উন্নয়ন সেটা আমরা করতে পেরেছি। পরিবেশের বিষয়টিও দেখভাল করা হচ্ছে। প্রতিটি ইন্টার সেকশনের নীচে দুইটা করে চৌবাচ্চা আছে বৃষ্টির পানি ধারনের জন্য। প্রতিটিতে ৪ লাখ গ্যালন সমপারিমাণে পানি ধরবে।

চলতি মাসের শেষেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সবথেকে বড় দৃষ্টিদন্দন দ্রুতগতির এই পথ পাড়ি দিয়ে উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা করবেন। এ নিয়ে প্রকল্প পরিচালক এম এম আহসান জামিল বলেন, যেহেতু এটি একটি দেশের প্রধান ও বড় সড়ক; আশা করছি এটির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানিকতা গ্রহণ করবেন তিনি।

রাজউকের অধীনে এই সড়কের কাজ সম্পন্ন করছে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।

একনজরে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে হতে যাচ্ছে আধুনিক ঢাকার নতুন গেইটওয়ে। দেশের প্রথম ১৪ লেনের মহাসড়ক, যার ৮টি এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। নান্দনিক এ সড়ক ধরেই তৈরি হচ্ছে পূর্বাচল স্যাটেলাইট সিটির নকশা। মহাসড়কের দুপাশে রয়েছে ১০০ ফিট খাল।

সাড়ে ১২ কিলোমিটার এ সড়কে থাকবে পাঁচটি অ্যাডগ্রেড ইন্টারসেকশন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনে নির্মিত এ সড়কপথে শেষ সময়ে চলছে লাইটপোস্ট আর রোড মার্কিংয়ের কাজ। এদিকে, কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ১২.৩০ কিলোমিটার সড়কে প্রথম ভাগে কুড়িল হয়ে বালু নদী পর্যন্ত ১২ লেনে হবে ৫.৫২ কিলোমিটার সড়ক। প্রধান সড়ক আট লেন, প্রধান সড়কের লেন হবে ৩.৬৫ মিটার; সাথে থাকবে সাড়ে তিন মিটারের চার লেনের সার্ভিস সড়ক।

বালুনদী থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ১০ লেনের সড়ক হবে ৬.৬৩ কিলোমিটার। প্রধান সড়ক ছয় লেন, আর সার্ভিস সড়ক চার লেন। প্রকল্পের শেষ পর্যায়ে যুক্ত হবে আরো দুটি লেন। সব মিলিয়ে পুরো পথ হবে চৌদ্দ লেনের।

তবে শুরু থেকে শেষ, পুরো পথে পাঁচটি অ্যাডগ্রেড ইন্টারসেকশন সার্ভিস লেনকে যুক্ত করবে মূল সড়কের সঙ্গে। তবে এটি যে দৃষ্টিনন্দন নকশায় করা হয়েছে, তা সবার আগে নজর কাড়বে। এছাড়া এ সড়ক কেবল ঢাকার গেইটওয়েই নয়, দিয়েছে পূর্বাচল স্যাটেলাইট সিটির আগামীর পথের তকমাও। এছাড়া পুরো পথে ছটি ফুটওভার ব্রিজের নকশাও এ পথকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমন সড়ক শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেও প্রথম। এ পথ শুধু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজই করবে না, পরবর্তীতে যেকোনো সড়ক কিংবা মহাসড়ক নির্মাণে এ পথ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ