1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সাইবার অপরাধ রুখতে কেন্দ্রীয় ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩

সাইবার অপরাধ, ব্ল্যাকমেইল ও বুলিং থেকে কিশোর-কিশোরীদের বাঁচাতে এবং এই অপরাধ প্রতিরোধে তৎপরতা বাড়াচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কমিটিতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিবকে সভাপতি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালককে (ডিজি) সদস্যসচিব করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী থাকবেন এ কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে। পাশাপাশি কমিটির সদস্য করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশসহ ২৫ মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তরের প্রধানদের।

উপজেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সভাপতি ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের এ কমিটিতে ওসি, সমাজসেবা কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক নেতা, সাংবাদিকসহ ১৩ জন প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে রাখতে হবে। দেশের সব উপজেলায় একই পদক্রম অনুযায়ী থাকবে কমিটি।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব (সংস্থা-৩) মো. আব্দুল আলীম তালুকদারের সই করা আলাদা দুই প্রজ্ঞাপনে এ কমিটি গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

কেন্দ্রীয় কমিটির কাজের পরিধি

সারাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সাইবার অপরাধ থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জেলা সাইবার কমিটির কাজ পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ বাস্তবায়নে তৎপর থাকতে হবে।

জনসেচতনতা তৈরিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। সাইবার ট্রাইব্যুনালে চলমান কিশোর-কিশোরীর সংশ্লিষ্টতা থাকা মামলা পর্যালোচনা ও আইনি সহায়তা দিতে হবে। এছাড়া প্রতি তিন মাস পর পর কমিটিকে নিয়মিত সভা করতে হবে।

উপজেলা কমিটির কাজের পরিধি

স্কুল কলেজের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সাইবার সচেতনতা বাড়াতে সভা-সেমিনার ও কর্মশালা করতে হবে। সাইবার অপরাধ, বুলিং ও ব্ল্যাকমেইল প্রতিরোধে করতে হবে সচেতনতামূলক কাজ। ভুক্তভোগীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দিতে হবে।

সাইবার অপরাধ, বুলিং, ব্ল্যাকমেইলিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিশোর-কিশোরীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। উপজেলা কমিটিতে প্রতি মাসে অন্তত একটি সভা করতে হবে। সভার কার্যবিবরণী জেলা কমিটির মাধ্যমে পাঠাতে হবে কেন্দ্রে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ