1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নীলফামারীতে আগরবাতি তৈরিতে আলোকিত সহস্রাধিক নারীর জীবন

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩

সারাদিন সংসারের কাজ শেষে আগরবাতি তৈরি করে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের সহস্রাধিক নারী। বিনা পুঁজিতে শুধুমাত্র দুটো কাঠের পিঁড়িতে মহাজনের দেয়া কয়লা, কাঠের ভুসির ও বিজলার ছালের পাউডারের পেস্ট বানিয়ে বাঁশের কাঠিতে লাগিয়ে আগরবাতি তৈরি করছেন তারা। এতে প্রতিদিন জনপ্রতি আয় করছেন ৬০ থেকে ১০০ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বড় কয়েকটি শিল্প কারখানা থাকলেও ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পে সমৃদ্ধ সৈয়দপুর উপজেলা। দেশের একমাত্র রেলওয়ে কারখানাকে কেন্দ্র করে সৈয়দপুর কৃষির পাশাপাশি ব্যবসা ও শিল্পে এগিয়ে আছে। আজও এর পরিবর্তন হয়নি। শহর গ্রামজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন পণ্য তৈরির ছোট ছোট কারখানা। এরই অন্যতম একটি হলো আগরবাতি। একসময় সৈয়দপুর পৌর এলাকার নিম্নআয়ের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে আগরবাতির তৈরি করা ছিলো অন্যতম সমর্থক উপার্জনের পথ। সে সময় এখানে আগরবাতিতে সেন্ট লাগিয়ে নিজস্ব ব্রান্ডে বাজারজাতের কয়েকটি কারখানাও ছিলো।

সময়ের পরিবর্তনে এই ব্যবসার প্রসার কিছুটা কমে গেলেও এখনো আগরবাতি তৈরিতে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করছেন নারীরা।

সরেজমিনে সৈয়দপুর শহরের পাড়া-মহল্লায় গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির আঙিনা বা দরজার সামনে বসে ছোট মেয়ে বা নারী কাঠের পিঁড়িতে বসে আরেক পিড়ির ওপর হাত দিয়ে ঘষে আগরবাতি বানাচ্ছেন। মাহাজনরা আগরবাতি তৈরির উপকরণ বাড়িতেই দিয়ে যান। এসব উপকরণ নিয়ে অবসর সময়ে বাড়ির নারী সদস্যরা আগরবাতি বানাতে বসে যান।

প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ হাজার আগরবাতি বানাতে পারেন তারা। এ থেকে আয় হয় ৬০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া কিছু আধুনিকতার ছোঁয়াও লেগেছে এই শিল্পে। আনেকে স্থানীয়ভাবে ছোট ছোট মেশিন তৈরি করে সেটা দিয়েও আগরবাতি তৈরি করছেন। আয়ের পরিমাণ সামান্য হলেও ছোট খাটো বিপদে কারো কাছে হাত পাততে হয় না তাদের।

সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া, মুন্সীপাড়া, গোলাহাট, বাঁশবাড়ী এলাকার ময়মুনা, নাহার, তাসনিমা, মুন্নি, তামান্না বলেন, এটা কোনো চাকরি না, আমরা বাড়ির কাজ; স্কুল শেষ করে বাড়তি সময়ে আগরবাতি বানাতে বসি। দুই থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত বানাতে পারি। এতে যা আয় হয় তা দিয়ে আমরা নিজেদের টুকিটাকি খরচ ও স্কুলের খাতা-কলম কিনি। কারো কাছে হাত পাততে হয় না।

একই এলাকার নাছিমন ও হাসিনা হাবিবা বলেন, বসে না থেকে কাজ করি। যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারের ছোটখাট সমস্যা মিটাতে পারি।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের উপ-ব্যবস্থাপক হুসনে আরা খাতুন বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের আমরা সব সময় প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আগরবাতির ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে আসলে কারিগরি প্রশিক্ষণসহ সবধরনের সহযোগীতা দেব।

আগরবাতি সৈয়দপুর শহরে ক্ষুদ্র আয়ের একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। প্রায় ৭০ বছর থেকে সৈয়দপুরে আগরবাতি তৈরির সঙ্গে ১০ থেকে ১২ হাজার নারী জড়িত থাকলেও বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন হাজারে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

সরকারি ব্যবস্থাপনায় আরও ৪৯ কোটি টাকা ফেরত পাচ্ছেন হাজিরা

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে : প্রকল্পগুলো মুজিববর্ষের উপহার: শেখ হাসিনা

করোনাকালে প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের যত উদ্যোগ

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

হাতেগোনা কয়েকটি সংবাদপত্র ছাড়া সব পত্রিকা বোগাস: অর্থমন্ত্রী

প্রচারণা শেষ, এখন অপেক্ষা ভোটের!

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল দুই গ্রহাণু

আগুনে ঘর পুড়া ৭টি অসহায় পরিবারের পাশে অধ্যক্ষ শামীম ফেরদৌস টগর

পদ্মা রেলসেতু : ৭ সেপ্টেম্বর চলবে পরীক্ষামূলক ট্রেন

রূপপুরে জ্বালানি লোড-আনলোডের জন্য স্থাপিত হলো ট্রান্সপোর্ট লক

জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড