1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিএনপির সমাবেশ,হরতাল ও অবরোধঃ কী পেল জনগণ?

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৩

সরকার পতনের দাবী নিয়ে কয়েকবছর ধরেই বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের প্রতিটি কর্মসূচী ছিল নামসর্বস্ব। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি তথাকথিত “শান্তিপূর্ণ” সমাবেশের ডাক দেয়। সেই সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে হাসপাতালে আক্রমণ, রাজপথে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সাংবাদিক ও নারীকর্মীদের উপর হামলা ও প্রধান বিচারপতির বাসভবন আক্রমণ করে। বিএনপির সহিংসতার কারণে নিহত হন এক পুলিশ সদস্য।

বিএনপির সমাবেশ ডাকার যে রাজনৈতিক অধিকার তাতে সরকার পূর্ণ সম্মান দেখিয়েছিল। কিন্তু সমাবেশের দিন থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের শরীরী ভাষা ছিল মারমুখী। সমাবেশের আগের রাতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল বোমা পাওয়া যায় বিএনপি কর্মীদের কাছে। ঢাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের লাঠিসোটা হাতে নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। সেখানেই সুস্পষ্ট হয়ে যায় সমাবেশে কি করতে চায় বিএনপি! সমাবেশের দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যে বর্বরভাবে পিটিয়ে হত্যা করলো এবং শরীরে আগুন দেয়ার চেষ্টা করলো তা বোধহয় ইসরাইলি বর্বরতাকেও হার মানায়।

রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশের কর্মসূচি দেয় জনগণের দাবী আদায়ের জন্য। কিন্তু বিএনপির এই সমাবেশে দেশের জনগণের জন্য কিছু ছিল না। ছিল উগ্রতা,কর্মীদের আক্রণাত্মক করে ঢাকার রাস্তায় জ্বালাও-পোড়াও করতে উৎসাহিত করা। সমাবেশে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি করে বিএনপি । বিএনপি যখন জনগণকে পাশে পায়নি তখন জনগণকেই নিজেদের শত্রু মনে করে এমন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল।

সমাবেশে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবার সহিংস কর্মসূ্চি দিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। ২৯ অক্টোবর হরতাল ও টানা ৩ দিন বিএনপি-জামাতের অবরোধ কর্মসূচী জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যিত হয়েছে। তবে তারা এখন চোরাগোপ্তাভাবে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা আটকে রাখছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, এক দিনের হরতাল/অবরোধে দেশের প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এই ধরণের কর্মসূচির ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে চাপ পড়ে। দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগ বন্ধ থাকার কারণে দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে এই ধরণের সহিংস কর্মসূচি।

যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর অর্থনীতি এমনিতেই টালমাতাল অবস্থায়। যার ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ । এমতাবস্থায়, বিএনপির এসব কর্মসূচি দেশের জনগণকে আরো ভোগান্তিতে ফেলছে। এসব কর্মসূচি থেকে দেশের জণগণের কোন প্রাপ্তি নেই। অবশ্য কখনোই বিএনপি দেশের জনগণের চিন্তা করেনি। তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। বিএনপি যদি তাদের এই ধারা অব্যাহত রাখে দেশের জনগণকে তারা কখনোই তাদের পাশে পাবেনা। এই ধরণের কর্মসূচি কখনোই বিএনপিকে জনগণের সমর্থন এনে দেবেনা। এমন সহিংস কর্মসূচির ফলে বিএনপির রাজনীতি আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ