1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ছড়িয়ে পড়ছে পদ্মা সেতুর কানেক্টিভিটির জৌলুস

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

পদ্মা সেতু দিয়ে এখন রেল ও সড়ক পথে একযোগে রাতদিন যান চলাচল করছে। প্রতিদিন রেলপথে ছুটছে চার জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন; আর সড়কপথে চলছে ৩০ সহস্রাধিক যান। পদ্মা সেতুর কানেক্টিভিটির এ জৌলুস ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।

সেতুর নিচতলায় ট্রেন আর ওপর তলায় মোটরযান (বাস-ট্রাক-কার) চলায় খুশি পদ্মার দুপাড়ের মানুষ। উভয় পথে একযোগে রাতদিন চলাচল করছে এসব যান। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর পদ্মাপাড়ের উচ্ছ্বসিত মানুষ যেন বিশেষ সময় পার করছে।

বাণিজ্যিক ট্রেন চলছে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বেনাপোল রুটে। শিগগিরই ভাঙ্গা থেকে মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ হয়ে কমিউটারসহ আরও কয়েক জোড়া ট্রেন চালুর কথা জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে বদলে যাচ্ছে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থা।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেনের মতে, এটি এখন দেশের অর্থনীতিতে বড় আশীর্বাদ। আর সড়ক ও রেল উভয় পথেই ট্রান্স এশিয়া নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যাচ্ছে এ সেতু।

পদ্মা সেতু দিয়ে চলতি বছরের পয়লা নভেম্বর শুরু হয় বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল; আর গত বছরের ২৬ জুন থেকে সেতুর সড়ক পথ চালু হয়।

দক্ষিণের সঙ্গে ঢাকার যে সড়ক যোগাযোগ, এরপর ট্রেন যোগাযোগের মধ্যদিয়ে চারদিকে এর সুফল ছড়াতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বেনাপোল থেকে ঢাকা এবং খুলনা থেকে ঢাকা – এ দুই পথে যে ট্রেন চলাচল করছে এর ফলে যাত্রীরা সুফল পাচ্ছেন। অন্যদিকে মোংলার সঙ্গে খুলনার কানেক্টিভিটি হচ্ছে রেলপথে, আর সেটি হলে এ পদ্মা সেতু দিয়ে সহজ হবে পণ্য পরিবহন।

প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, এক সময় এ অঞ্চল যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডিফিকাল্ট একটি এলাকা ছিল। নৌপথ বিশেষ করে লঞ্চে চলাচল করতো বরিশালের লোকজন। এখন পদ্মা সেতুর কারণে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে গেছে। রেলও কাজ করছে।

তিনি বলেন, পুরনো পথ দিয়ে ভাঙ্গা হয়ে খুলনা ও বেনাপোল থেকে ঢাকায় রেল আসছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে ভাঙ্গা থেকে যশোর সরাসরি রেললাইন নির্মাণ শেষ হবে। তখন খুলনা থেকে ঢাকার দূরত্ব চার ঘণ্টায় নেমে আসবে। মোংলা বন্দর কানেক্ট হয়ে গেছে খুলনার সঙ্গে। ঢাকার কাছে একটি আইসিটি ও পণ্য পরিবহনের রুট তৈরি হবে। রফতানিযোগ্য পণ্য ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরে যাবে। আবার মোংলা থেকে ঢাকায় চলে আসবে। একই সঙ্গে এ লাইনটি ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের অংশ।

বেনাপোল থেকে ঢাকা হয়ে আখাউড়া ও আগরতলা হয়ে ইন্ডিয়াসহ অন্যান্য দেশে চলে যেতে পারবে। একই সঙ্গে ট্রান্স-এশিয়ান আরেকটি রুট হচ্ছে কক্সবাজার থেকে রামু, ঘুমধুম হয়ে মিয়ানমার। এ লাইনগুলো যখন চালু হয়ে যাবে, তখন দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের একটা হাব হবে বাংলাদেশ। বিদেশি পণ্য পরিবহনের রুট হবে এটি। শিল্পায়ন থেকে শুরু করে কৃষিপণ্য পরিবহনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, পদ্মা সেতুর রেলপথে চালাচলে এরই মধ্যে দুটি ট্রেন চালু হয়েছে। একটি মোংলা থেকে, আরেকটি বেনাপোল থেকে। আরও দুটি ট্রেন চালু করা হবে। একটি খুলনা থেকে, আরেকটি রাজশাহী থেকে। এছাড়া ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে, যাতে অফিসগামী মানুষের সুবিধা হয়। যেটা এখন নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও জয়দেবপুরবাসী পাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, রেললাইনের আশপাশের এলাকার জলাভূমিগুলো উন্নত হয়ে যাবে। এখানে বাড়িঘর, কলকারখানা, হাসপাতাল গড়ে উঠবে। বসতি, দোকানপাট, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ হবে। ৫-১০ বছরের মধ্যে এ এলাকায় ব্যাপক পরিবর্তন চলে আসবে।

অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রদীপ কুমার বলেন, পদ্মা সেতু ও এর রেললাইন ১০০ বছরের জন্য ডিজাইন করা। সেভাবেই রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ লাইন কখনও বাদ হবে না। এটা কয়েকশ বছর চলবে। আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লাইনের মতো এখানেও অদূর ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু করা হবে। বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু হলে সময়, ভাড়া ও দূষণ কমবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ