আওয়ামী লীগ করার কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে (৩৮) রগ কেটে হত্যা হত্যা করেছে বিএনপি জামায়াতের দুর্বৃত্তরা। মৃত্যুর আগে বিএনপি জামায়াতকে দায়ী করে স্বীকারোক্তি দেন নিহত জাহিদুল।
রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর পরই প্রচুর রক্তক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে।’
জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ে নিহত জাহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কারা হামলা চালায়। জবাবে তিনি বলেন, মুসেদ, সামুল, পিয়াস, খাদিমুলসহ আরও সাত-আটজন হামলা চালায়। কী নিয়ে মারামারি হয় প্রশ্নের উত্তরে নিহত জাহিদুল বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি, ওরা জামায়াত বিএনপি করে, এজন্যই।’ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রংপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল ইসলাম ও কবির মিয়া মোটরসাইকেলযোগে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জন হঠাৎ রশি টেনে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় জাহিদুল ও কবিরকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ভর্তির পর প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান লিটু বলেন, ‘সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জামাত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত হামলায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন।’
