1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

চট্টগ্রাম বন্দর: মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত, বাস্তবায়নের পথে বে-টার্মিনাল

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৫ সালে বে-টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। শিগগির বে-টার্মিনালের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

দ্বিতীয় দফায় সংশোধনের পর প্রকল্পটির মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত ১৪ নভেম্বর প্রকল্পটির চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে প্রকল্পটি।

বন্দর কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন ডিটেল ড্রইং ডিজাইনের কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে শিগগির প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।

এ সম্পর্কে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল বলেন, বে-টার্মিনালের মাস্টারপ্ল্যান হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী এর মোড়ক উন্মোচন করেছেন। এখন শুধু কাজ শুরুর অপেক্ষা। আশা করছি, ২০২৬ সালের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে। ২০২৭ সাল থেকে বে-টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হবে।’

২০১৫ সালে নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনিঘাট পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর তীরে ৮৭০ একর জমিতে বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির অধীনে প্রাথমিকভাবে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে একটি ১ হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার টার্মিনাল (কন্টেইনার টার্মিনাল-১), একটি ৮৩০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার টার্মিনাল (কন্টেইনার টার্মিনাল-২) এবং একটি ১ হাজার ৫০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তিনটির মধ্যে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে করবে। বাকি দুটি নির্মাণে অর্থায়ন করবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় পার হয়ে গেছে আট বছর। এর মধ্যে দুই দফায় মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। তারপরও কাজ শুরু করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হওয়ার ফলে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে আশা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই ধরনের প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, মাস্টারপ্ল্যান যেহেতু চূড়ান্ত হয়ে গেছে, তাহলে এখন শিগগির বাস্তবায়নকাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘বে-টার্মিনালটি নির্মাণের দাবি অনেকদিনের। হচ্ছে হবে বলেও দীর্ঘদিনে নির্মাণ শুরু হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। আমরা আশা করছি, বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের আওতায় যে মাল্টিপারপাস শেডটি নির্মাণ করার কথা রয়েছে, সেটির কাজ দ্রুত শুরু হয়ে যাবে। এই কাজ শেষ হলে ওই টার্মিনাল থেকে বাল্ক এবং কার্গো দুই ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে।’

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বে-টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পর ২০১৭ সালে প্রকল্পটির প্রথম মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। ওই সময় মাস্টারপ্ল্যানের লে-আউটে তিনটি শেডের মধ্যে বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল শেড মাস্টারপ্ল্যানে উত্তর প্রান্তে রাখা হয়। সেটিতে আবার পরিবর্তন আনা হয়। ২০২২ সালে আরেকটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড এবং ডাইয়াং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্ল্যান তৈরি করে। এই মাস্টারপ্ল্যানে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল শেড মাঝখানে রাখা হয়। মাস্টারপ্ল্যানটি বন্দরের বোর্ড মিটিংয়ে পাস হওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মাস্টারপ্ল্যান নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী জুন মাসে ডিটেল ড্রইং ডিজাইনিংয়ের কাজ শেষ করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। ডিটেল ড্রইং ডিজাইন চূড়ান্ত করার পূর্বে আগের মাস্টারপ্ল্যান রিভিউর নির্দেশনা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আগের মাস্টারপ্ল্যান রিভিউ করে পুনরায় মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়। নতুন মাস্টারপ্ল্যানে মাল্টিপারপাস শেডটি পুনরায় উত্তর পান্তে রাখা হয়। মাস্টারপ্ল্যানটি চূড়ান্ত করার পর ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী এটির মোড়ক উন্মোচন করেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ