1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শিবিরকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার, গুজব ও উসকানি!

নাজিম আজাদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে উসকানি ও রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের অভিযোগ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। তারা দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে অপপ্রচার চালাতো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এসব অপপ্রচার অব্যাহত রাখতো তারা।

এছাড়া উসকানি ও অপপ্রচারের জন্য তাদের টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন ক্লোজ গ্রুপ রয়েছে। নাশকতা ও জ্বালাও-পোড়াও সংগঠিত করতে উসকানি দিতো তারা। এ চক্রের একজন ছাত্র শিবিরের সঙ্গে জড়িত।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্বামীবাগের মিতালী স্কুল গলি রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (২৯), মো. ওয়ায়েজ কুরুনী (২৭), মো. তাওহীদুল ইসলাম (২৬), মো. গাজী সাখাওয়াত (২৯) ও মো. হাবিবুর রহমানকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে জব্দ করা হয়- নগদ দুই লাখ টাকা, ল্যাপটপ, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক ও বিভিন্ন দেশবিরোধী, নাশকতা ও উসকানিমূলক লিফলেট।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে র‍্যাব সাইবার মনিটরিং সেলের নিয়মিত সাইবার পেট্রোলিংয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয় যে, অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন সংবেদনশীল বিষয়ে মিথ্যা এবং অতিরঞ্জিত তথ্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব সাইবার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বামীবাগে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা আলামত বিশ্লেষণ ও জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব মুখপাত্র জানান, বর্তমান রাষ্ট্রের উন্নয়নের গতিধারাকে বানচাল ও নস্যাৎ করার জন্য রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন করতে ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র, সরকারের সম্পদ ও জনসাধাণের জানমালের ক্ষতি, শান্তিপ্রিয় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করার পরিকল্পনা করে তারা। এছাড়া তারা অনলাইনে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত ছিল। বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের বাইরে মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করে তারা। বিগত সময়ের বিভিন্ন ইস্যুসহ সাম্প্রতিক সময়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনকে পুঁজি করে তারা নাশকতার অপচেষ্টা করে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে ক্লোজড গ্রুপের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ পরিচালনা করে আসছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতো। বিভিন্ন নামে ক্লোজড গ্রুপ তৈরি করে যেখানে রাষ্ট্রবিরোধী গুজব সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাষ্ট্রের কার্যক্রম নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করে ভার্চুয়াল জগতে প্রচারের ব্যবস্থা করে। এ জাতীয় বিভিন্ন কন্টেন্ট তাদের ল্যাপটপে পাওয়া যায়। বিভিন্ন অডিও-ভিডিও কন্টেন্ট এডিট করে তৈরি ও সেগুলো প্রচার করে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে চক্রটি।

গ্রেফতার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও তাওহীদুল ইসলামের নামে বিভিন্ন থানায় রাষ্ট্রবিরোধী, নাশকতা, সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার, নাশকতা ও উসকানিমূলক প্রচারণার কর্মকাণ্ডে জড়িত।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতাররা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন। তারা নিয়মিত জায়গা পরিবর্তন করতেন। তাদের এ কর্মকাণ্ডের জন্য দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেকেই অর্থের জোগান দিতো। গ্রেফতার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ স্বীকার করেছেন, তিনি আগে ছাত্র শিবির করতেন। বাকিরা রাজনৈতিক মতাদর্শের কথা শিকার করেননি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ