1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা: বিচলিত হওয়ার কিছু নেই

নিরঞ্জন রায় : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‍্যাব) সাবেক এবং বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে । তবে সংবাদটি পশ্চিমা বিশ্বে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডাতে সেভাবে প্রকাশিত না হলেও, আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যমে বেশ ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। দেশে প্রকাশিত এই সংবাদটি দেখে মনে হলো যে, এক শ্রেণির মানুষ যারপরনাই খুশি হয়েছে এবং সেই সঙ্গে সরকারের কেউ কেউ বেশ বিচলিত হয়েছে বলেই মনে হয়।

এই নিষেধাজ্ঞার কারণে কী হতে পারে! র‍্যাবের সেই সাত কর্মকর্তা এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে পারবে না। এমনিতেই আমাদের দেশের র‍্যাব বা পুলিশ কর্মকর্তারা খুব বেশি বিদেশ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করে না। হাজার হাজার ডলার খরচ করে এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন আছে কি না তা অবশ্য এখন ভাবনার বিষয়।

প্রশিক্ষণসংক্রান্ত বা উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যখন কারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করার প্রয়োজন দেখা দেয় তখন তাকে আমন্ত্রণ ওই দেশ থেকেই জানানো হয়। সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কাজ করবে তা হয়ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ভালো জানে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যারা তাদের সব রকমের পলিসি নিজেদের স্বার্থে প্রণয়ন করে থাকে। তাদের নিজেদের বা অনুসারীদের স্বার্থে যখন কোনো ব্যক্তি বা দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রয়োজন মনে করবে তখন তারা সেটি দিবে।

আবার নিজেদের স্বার্থে বা তাদের অনুসারীদের স্বার্থে তা তুলে নেয়ার প্রয়োজন মনে করবে তখন তারা নিজেরাই তুলে দেবে। এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নরেন্দ্র মোদীর উপর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অভিযোগ এনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। আবার মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজ থেকেই সেই নিষেধাজ্ঞা শুধু প্রত্যাহার করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা মোদীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিল।

নিজেদের সুবিধার্থে সকালে একনীতি এবং বিকেলে আরেক নীতি অবলম্বনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর কোনো জুড়ি নেই। এক্ষেত্রে তাদের কোনো চক্ষুলজ্জা বা বুকপিঠও নেই। ঐতিহাসিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মধ্যে সুপ্রতিবেশীর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এটা সর্বজনবিদিত যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট দলের সঙ্গে কানাডার লিবারেল পার্টির সখ্য রয়েছে, আর রিপাবলিকানদের সঙ্গে আছে কনজারভেটিভদের সখ্য।

অথচ গত নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাট দল ক্ষমতায় এসে তাদের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ গ্রহণের একঘণ্টার মধ্যে যে কটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তার মধ্যে একটি ছিল কানাডার মাল্টি বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পাইপ লাইন প্রজেক্ট বাতিল করা। অথচ কানাডায় জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি ক্ষমতায়। কানাডার বিরুদ্ধে এমন ক্ষতিকর একটি সিদ্ধান্ত নেবার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং সমমনা দলের ক্ষমতায় থাকার কথা মোটেই বিবেচনায় নেয়নি। এই হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর চরিত্র।

এই নিষেধাজ্ঞার কারণে র‍্যাবের যে খুব ক্ষতি হবে তেমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। বেশ কয়েক বছর আগে ইউরোপের একটি দেশ ব্যাবের জন্য অস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। কিন্তু তাতে কি র‌্যাবের দায়িত্ব পালনে সক্ষমতার কোনো অভাব হয়েছে। মোটেই নয়, বরং র‍্যাবের সক্ষমতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা বাদ দিলে র‍্যাবের সফলতা আসলেই প্রশংসনীয়। আজ দেশে জঙ্গিবাদ দমনে যে সফলতা তা সম্ভব হয়েছে ব্যাবের ভূমিকার কারণেই।

অনেক দুর্ধর্ষ অপরাধীকে আটক করা এবং বহু সফল অভিযানের ক্ষেত্রে র‍্যাবের রয়েছে অনেক কৃতিত্ব। দেশে জঙ্গিবাদ দমন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে র‍্যাবের ভালো অবদান আছে। তাদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ সেই শুরু থেকেই। এই ধরনের হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অপরাধীদের দমন করতে গেলে যে কিছু অঘটন ঘটবে না তা কখনই হলফ করে বলা যায় না। আর এরকম বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এখন বিশ্বের সর্বত্রই অর্থাৎ উন্নত অনুন্নত সকল দেশেই সংঘটিত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসী বা বন্দুকধারীদের আটক করতে না পেরে গুলি করে যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এসব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটিয়েছে তার একটা পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করা যেতে পারে। তবে যারা একটু নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন তারা স্পষ্টই দেখতে পাবেন যে, এসব দেশে বন্দুকধারীদের গুলিতে প্রায়ই কোথাও না কোথাও হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

আর সেসব সন্ত্রাসী বা বন্দুকধারী অধিকাংশদেরই পুলিশ আটক করতে না পেরে গুলি করে হত্যা করছে। এ নিয়ে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য কোথাও নেই। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও কেউ উত্থাপন করছে না। এখন সবাই বুঝতে পেরেছে যে, মানবিধকার তাদের জন্য যারা মানবিক। কিন্তু যারা অমানবিক বা পশুর থেকেও অধম তাদের উপর মানবাধিকার দেখালে তো হিতে বিপরীত হতে বাধ্য।

আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছে। অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় এখন আর সেসব অস্ত্র খবু একটা কাজ করছে না। তাই তারা মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং দুর্নীতি বিষয়গুলোকে বেছে নিয়েছে। এগুলোও এখন আর সেভাবে কাজ করে না। কারণ এখন তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে মানুষের কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারের নমুনা আমরা কাছে থেকে যা দেখলাম তাতে মানবাধিকারের নতুন সংজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর জন্য নির্ধারণ করা ছাড়া উপায় নেই।

যেখানে শপিং মলে খেলনার মতো আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি হয় এবং সেই অস্ত্র ক্রয় করে দেদারচে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ অফিসার একজন কৃষ্ণাঙ্গকে গলা চেপে ধরে রেখে হত্যা করে এবং এরকম হত্যাকাণ্ড বা নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটাচ্ছে তারাই আবার অন্যদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে! আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের নমুনাও বিগত নির্বাচনের সময় বিশ্ববাসী ভালোভাবেই প্রত্যক্ষ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতির কথা না বলাই ভালো।

গ্রাসরুট লেভেলে ব্যাপকহারে দুর্নীতি এসব উন্নত দেশে হয় না ঠিকই। কিন্তু কর্পোরেট দুর্নীতির যে মাত্রা বা ভয়াবহতা তা কল্পনা করাও কঠিন। আবার গ্রাসরুট লেভেলে যে ব্যাপকহারে দুর্নীতি হয় না তাইবা বিশ্বাস করি কীভাবে। এই যে আয় উপার্জনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও সবাই মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়ি ক্রয় করছে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সেটি হচ্ছে কীভাবে? পাগলেও বিশ্বাস করবে না যে ব্যাংকের কর্মকর্তারা এমনি এমনি এসব ঋণ মঞ্জুর করে দিচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর স্বার্থের পরিপন্থি হলেই তারা যেকোনো দেশের উপর বা ব্যক্তিবর্গের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বসে, তাতে কোনো কাজ হোক বা না হোক। তারা দীর্ঘদিন ধরে কিউবা, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া এবং ইরানসহ অনেক দেশের ওপর কঠোর বাণিজ্য এবং লেনদেন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এতে সেসব দেশের সাময়িক অসুবিধা হলেও তাদের একবিন্দুও কাবু করতে পারেনি। আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্ব রাজনীতিতে কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে।

তাদের গৃহীত সিদ্ধান্তও এখন কাগুজে বার্তায় পরিণত। বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের অবস্থান এখন মোটেই তেমন শক্ত নয়। বিশেষ করে রাশিয়া ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে এবং চীন শক্ত অবস্থানে চলে আসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে এশিয়াতে তাদের তেমন কোনো অবস্থান নেই বললেই চলে। এজন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশি বিচলিত হয়ে পড়েছে এবং তারা একটি অবস্থান নেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাই এই ধরনের কিছু পদক্ষেপ আগামীতেও হয়ত আসবে।

কখনও দুর্নীতির অভিযোগ, আবার কখনও গণতন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে এরকম বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আসা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। এসব নিষেধাজ্ঞা বা অভিযোগ মোকাবিলা করা যায় দুভাবে। এক, এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে, যেমনটা চীন করে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা উন্নত বিশ্বের কোনো দেশ চীনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনার সঙ্গে সঙ্গে চীনও সেই দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফলে পশ্চিমা বিশ্ব পিছু হঠতে বাধ্য হয়।

কিছু দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর অনুরোধে কানাডা এক চীনা কোম্পানির ঊর্ধ্বতন নির্বাহীকে কানাডায় আটক করার সঙ্গে সঙ্গে চীন কানাডার দুই নাগরিককে শুধু আটক করেই ক্ষান্ত হয়নি; তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিচার করে সেই বিচারের রায় ঘোষণা করে কানাডা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্যায় কানাডা সরকার বিচারিক প্রক্রিয়ায়ই সেই চীনা নাগরিককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় এবং বিনিময়ে চীনও তখন কানাডার সেই দুই নাগরিককে মুক্তি দেয়। চীন যেভাবে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা খুব কম দেশের পক্ষেই সম্ভব। এর বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে দেশের মধ্যে দলমতনির্বিশেষে সবাই একজোট হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা।

কয়েক বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় দূতাবাসের একজন মহিলা ডিপ্লোম্যাটকে বাসার গৃহকর্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে আটক করে এবং তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী বিচার করারও হুমকি দিয়েছিল। এর প্রতিবাদে ভারতে যখন দলমতনির্বিশেষে একত্রিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর এমন আচরণের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত কিছু বর্জনের ঘোষণা দিল, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই মহিলা ডিপ্লোম্যাটের বিচার তো দূরের কথা, তাকে সসম্মানে ভারতে পৌঁছে দিতে বাধ্য হয়েছিল।

এরকম সম্মিলিতভাবে কোনোকিছু মোকাবিলা করার মতো সৌভাগ্য আমাদের দেশের নেই। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে মোটেই বিচলিত না হয়ে কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধান করা প্রয়োজন। আর আমাদের দূতাবাসগুলোর এসব ব্যাপারে আরও বেশি তৎপর হওয়ার প্রয়োজন আছে। বিষয়গুলো তাদের আগে থেকেই আঁচ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যদি তারা নিজেদের চেষ্টায় তেমন কিছু না করতে পারে তাহলে বিষয়টি আগে থেকেই সরকারকে অবহিত করা প্রয়োজন।

লেখক: নিরঞ্জন রায়, টরেনটো কানাডাপ্রবাসী ব্যাংকার, কলাম লেখক। nironjankumar_roy@yahoo.com


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ