1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

‘সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের শ্মশান করেছে কে’

জাফর ওয়াজেদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১

একাত্তরের আগেই বাংলার মানুষ যুদ্ধের বীভৎসতা ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের খোঁজখবর পেত। দখলদার মার্কিন সেনাবাহিনী ভিয়েতনামে বোমা-গুলি আর নৃশংস হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছিল। ১৯৭০-এ ভিয়েতনামের মাই লাই গ্রামে গণহত্যা চালানো হয়।

বি-৫২ বোমারু বিমান থেকে বোমাহামলা করা হয়। মার্কিনসেনারা গ্রামটিতে ঢুকে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি নির্বিচারে মানুষ নিধন চালায়। এতে সহস্রাধিক ভিয়েতনামি প্রাণ হারায়। সারা বিশ্ব হতবাক হয়ে যায় এই হত্যাকাণ্ডে। সবাই ধিক্কার জানাতে থাকে মার্কিনিদের। ঘটনাটি মাই লাই হত্যাকাণ্ড হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিতি পায়।

বাংলার মানুষও এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-মিছিল করেছে ঢাকার রাজপথে। তবে মার্কিনিরা বিমান থেকে বোমা ফেলেও ভিয়েতনামিদের পর্যুদস্ত করতে পারেনি। বরং ভিয়েতনাম থেকে পরাজিত হয়ে ফিরে যেতে হয়েছিল। দীর্ঘ সময়ের এই যুদ্ধে লাখ লাখ ভিয়েতনামি নিহত হওয়ার পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে প্রায় পাঁচ শতাধিক আমেরিকানকে জীবন দিতে হয় ভিয়েতনামে। জানা যায়, সেখানে পাঁচ লাখ মার্কিন সেনা মারা গিয়েছিল।

মাই লাই গণহত্যার বিচার নিয়ে বিশ্ববাসী সোচ্চার হয়েছিল সেসময়। বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো। মাই লাই হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছে অজস্র মাই লাই, তথা গণহত্যার বিভীষিকা। প্রায় নয় মাস ধরে সারা বাংলায় দখলদার পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে।

একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকাসহ আরও কয়েকটি শহরে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। এক রাতেই লাখের অধিক মানুষ হত্যা করা হয়।

এই হত্যাপ্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরিকল্পিতভাবে পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে গণহত্যাটি চালানো হয়। যার স্বরূপ ছিল ভয়াবহ! ঘরবাড়ি ও বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। দগ্ধ মানুষকেও নির্বিচারে গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছিল সে রাতে। তাদের সেই পৈশাচিক বর্বরতা গণহত্যার ইতিহাসে এক উদাহরণ হয়ে থাকবে।

অনুতাপের কথা এই যে, আজও হানাদার বাহিনী ও এদের প্রতিভূরা ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে দেয় না। বিশ শতকের নৃশংসতম গণহত্যাটির বিচারের দাবিতে আজও বাংলার মানুষ সোচ্চার।

বিশ শতকে অনেক দেশেই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধের তদন্ত ও বিচার হয়েছে। বাংলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বিচারের অপেক্ষায় আজও প্রতীক্ষিত। ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি হানাদারের বিচার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সে দেশটি, কিন্তু ৫০ বছরেও তারা সে পথে যায়নি বরং প্রচার করছে যে, তারা গণহত্যা চালায়নি। অথচ ইতিহাসের এক ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডের ট্র্যাজেডি ধারণ করে ২৫ মার্চ ‘কালরাত্রি’ হিসেবে বাঙালি তথা বিশ্বইতিহাসে ঠাঁই নিয়েছে।

বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত এক ভয়াল নিষ্ঠুরতার স্মৃতি হিসেবে চিহ্নিত। এর পর পরই ঘোষিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। পাকিস্তানি হানাদাররা সে রাতে পরিকল্পিত পন্থায় নেমেছিল রক্তের স্রোতে বাঙালির সব স্বপ্নকে ভাসিয়ে দিতে। ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালি-হত্যার ‘উৎসব’ শুরু হয়েছিল সে রাতে।

ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাঙালির জীবন উৎসর্গ করার ঐতিহাসিক ঘটনার পথ ধরে এ দেশের মানুষকে পাড়ি দিতে হয় অনেক চড়াই-উতরাই ও বন্ধুর পথ। এই পথের ধারাবাহিকতায় আসে ছেষট্টির ৬ দফা এবং ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান। আর এসবেরই ধারাবাহিকতায় আসে ৭০-এর নির্বাচন।

ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ‘পূর্ব পাকিস্তান’ তথা বাংলায় নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে এবং পুরো পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু নির্বাচনের এই রায় দেখে চমকে যায় পাকিস্তানের কায়েমি-স্বার্থবাদী ও স্বৈর-সামরিক চক্র। কিছুতেই তারা জনগণের রায় মেনে নিতে রাজি নয়। শুরু হয় নানা অজুহাত। চলতে থাকে চক্রান্ত। দেশের মানুষ ভোট দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফার পক্ষে। সেই ছয় দফা পরিণত হয় এক দফায়। শুরু হয় এক অভূতপূর্ব আন্দোলন।

শেখ মুজিবের আহ্বান ও নির্দেশে অহিংস-অসহযোগ আন্দোলনে শামিল হয় বাংলার মানুষ। রাজপথ ও জনপদ মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। শহর-নগর, গ্রাম-গঞ্জ সব জায়গা শুধু ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ স্লোগানে ধ্বনিত হতে থাকে। হাজার বছর ধরে নিষ্পেষিত বাঙালি উত্তাল জাগরণের পথে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। সংগঠিত হতে থাকে সর্বস্তরের মানুষ।

গণজোয়ারে ভাসা দেশ তখন শেখ মুজিবের দিকে তাকিয়ে। কারণ, তিনিই তখন বাংলা ও বাঙালির কণ্ঠস্বর, নেতা ও পথপ্রদর্শক থেকে ভাগ্যবিধাতায় পরিণত হয়েছেন। সাত মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে তার ওই ভাষণে ঘোষণা করলেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার নির্দেশ দেন তিনি।

শত্রুদের মোকাবিলা করার জন্য যার যা আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানালেন। সেই ডাকে সারা বাংলায় স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পাকিস্তানিরা চক্রান্ত অব্যাহত রাখে। পাকিস্তানের জান্তা শাসক ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আলোচনার জন্য ঢাকায় আসে এবং সুকৌশলে আলোচনার নামে সেনা ও সমরাস্ত্র আনা শুরু করে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে। এভাবে শুরু হয় কালক্ষেপণ।

তারপর একপর্যায়ে আসে ২৫ মার্চ। এই ২৫ মার্চের রাতে সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী হায়েনার মতো নেমে পড়ে গণহত্যায়। একেবারে প্রথমপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বাসভবন-ছাত্রদের হল, রাজারবাগ পুলিশের সদর দপ্তর, ইপিআর সদর দপ্তর ও বিভিন্ন স্টেশন-টার্মিনালে সশস্ত্র আক্রমণ চালানো হয়। নির্বিচারে এই হত্যাকাণ্ড চলতে থাকে। সে রাতে যে গণহত্যা শুরু করে, তা অব্যাহত থাকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশজুড়ে।

জাতিসংঘের ১৯৪৯-এর জেনোসাইড কনভেনশন গণহত্যার সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে যে-

‘বিশেষ কোনো জনগোষ্ঠী বা ধর্ম-বর্ণ ও বিশ্বাসের মানুষের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত-পন্থায় পরিচালিত ব্যাপক হত্যাকাণ্ড-আক্রমণ ও পীড়ন এবং যা সেই জনগোষ্ঠীকে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়’।

সংজ্ঞা অনুযায়ী একাত্তরে এই বাংলায় হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসর শান্তি কমিটি-রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীকে নিয়ে যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল তা সর্বার্থেই গণহত্যা। প্রশিক্ষিত দখলদার-হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর সামরিক অভিযান চালায়। পুরো নয় মাসে ৩০ লাখ বাঙালির জীবন কেড়ে নেয়া হয়। হরণ করা হয় ৩ লাখের বেশি মা-বোনের সম্ভ্রম।

গণহত্যাবিষয়ক গবেষক লিও কুপার তার ‘জেনোসাইড’ নামক গ্রন্থে বিশ শতকের গণহত্যার বিবরণ দিয়েছেন। বিবরণে দেখা যায়- ১৯১৫ সালে ৮ লাখ আর্মেনিয়ান, ১৯৩৩ থেকে ৪৫ সালে ৬০ লাখ ইহুদি, ১৯৭১ সালে ত্রিশ লাখ বাঙালি ও ১৯৭২ থেকে ৭৫ সালে এক লাখ হুতু গণহত্যার শিকার হয়েছে। এই সংখ্যাগুলো গণহত্যার প্রতীক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ১৯৮১-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- মানব সভ্যতার ইতিহাসে যতগুলো গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তাতে অল্প সময়ের মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে।

প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ১২ হাজার মানুষ তখন খুন হয়। গণহত্যার ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ গড়। তবে এখানে উল্লেখ্য, অপারেশন সার্চলাইটের প্রথম রাতের প্রাণহানির সংখ্যা ছিল কমপক্ষে ৩৫ হাজার।

৭১-এর সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকায় বলা হয়, মার্চের ২৫ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত পাঁচদিনে প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এতে দেখা যায়, দিনপ্রতি প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।

মুক্তিযুদ্ধ চলেছে ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬৭ দিন। অতএব, জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী দৈনিক ১২ হাজার নিহতের সংখ্যাকে ২৬৭ দিন দিয়ে গুণ করলে মোট নিহতের সংখ্যা পাওয়া যায় ৩২ লাখ ৪ হাজার। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাত্রির নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রত্যক্ষদর্শী ইউএআইডির ডাক্তার জন রড লিখেছেন-

“আমি ও আমার স্ত্রী ছাদ থেকে ২৫ মার্চ রাতের ঘটনা প্রত্যক্ষ করি। ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্যাঙ্কগুলো গুলি ছুড়তে ছুড়তে শহরে আসতে থাকে। জনবহুল বস্তি ও বাজার-ঘাটে প্রচণ্ড গোলা নিক্ষেপ করে।

গোলার আগুনে আকাশ লাল রঙে ছেয়ে যায়। ২ দিন প্রচণ্ড বিস্ফোরণের পর শিথিল করা হয় কারফিউ। এই সুযোগে আমরা শহরের অবস্থা দেখতে বের হই। গুলশান থেকে মহাখালী ক্রসিং পর্যন্ত আসতে রেললাইনের পাশে বসবাসকারী বহু পরিবারের পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি দেখি এবং আরও দেখি হাজার হাজার উদ্বাস্তুর সারি।”

পাকিস্তানি গণহত্যার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাসোসিয়েট প্রেসের প্রতিনিধি মর্ট রোজেন ব্রুশ বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে একাত্তরের মে মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন-

“মাত্র ৫ সপ্তাহে হানাদার বাহিনীর হাতে ৫ লাখ বাঙালি নিহত হয়। তাদের লাশ যেন শকুনেরা মেজবানির জন্য পেয়েছে।”

১৯৭১-এর ত্রিশ মার্চ মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাডের ওয়াশিংটনে পাঠানো একটি তারবার্তার শিরোনামই ছিল ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড’। ২৫ মার্চ রোকেয়া হল গুঁড়িয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ করে তাতে বলা হয়-

“ফ্যাকাল্টি মেম্বার (শিক্ষক) ও ছাত্রসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের মতো লোককে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন বেছে বেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসভবনে হামলা ও হত্যা করা হয়।”

২৫ মার্চের আগেই হানাদার বাহিনী শিক্ষকদের নামধামসহ তালিকা করেছিল। আর এই কাজে তারা সহায়তা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের।

এরাই বাঙালির স্বাধীনতায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে দিয়েছিল। তবে সেমসাইডও হয়েছিল। বাংলার শিক্ষক ডক্টর মনিরুজ্জামান ছিলেন তালিকায়। কিন্তু হানাদাররা তাদের দোসর-শিক্ষক ডক্টর হাসান জামান খানের ভাই, যিনি পাকিস্তানমনা; সেই পরিসংখ্যানের শিক্ষক মনিরুজ্জামান খানকে হত্যা করেছিল। ২৫ মার্চের হত্যাকাণ্ডের বিবরণ মেলে ঢাকায় গোপনে অবস্থানরত বিদেশি সাংবাদিকদের প্রতিবেদনেও।

এ দেশের জনগণ কয়েক দশক ধরেই ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদ এই দাবি পূরণ করেছে যা অভিনন্দনযোগ্য।

এখন থেকে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হবে কিন্তু জনগণ চায় দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। জাতিসংঘ-ঘোষিত আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ৯ ডিসেম্বর পালন করা হয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই দিবসটি ২৫ মার্চ করার দাবি জানানো জরুরি।

একাত্তর সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মোকসেদ আলী সাঁই রচিত ও সুরারোপিত আব্দুল জব্বার এবং সহশিল্পীদের গাওয়া চিরায়ত সেই গানটি এই মার্চে মনে পড়ে- ‘সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের শ্মশান করেছে কে, ইয়াহিয়া তোমায় আসামির মতো জবাব দিতেই হবে’।

আজকের বিশ্বসমাজ ও বিশ্বমানবতার অগ্রযাত্রার স্বার্থেও গণহত্যার মতো পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান সংগত। বিশ্ববাসী নিশ্চয়ই বাঙালির এই দাবির প্রতি একাত্ম হবে এবং জাতিসংঘও পদক্ষেপ নেবে এমন প্রত্যাশা বিজয় দিবসের এই দিনে।

লেখক: জাফর ওয়াজেদ – কবি, কলাম লেখক। মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ