1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শুরুর আগেই ‘চুরমার’ জাফরুল্লাহ-সাকি-নূরের জোট!

সুভাষ হিকমত : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে উত্তাপ বাড়ছে রাজনৈতিক অঙ্গে। নিজেদের মত করে নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনা আঁটছে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। পিছিয়ে নেই ছোট দলগুলো। বরাবরের মতোই বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দল ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনী পরিকল্পনা করছে।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এক বছর আগে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের কথা জানিয়েছিলেন গণ-সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। জোটের অভিভাবক হিসাবে থাকার কথা ছিল ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এদের সঙ্গে রাষ্ট্রচিন্তা নামের একটি সংগঠনসহ মোট চারটি সংগঠন নতুন একটি জোট গঠনের আশা ব্যক্ত করেন।

এক বছর পার হলেও আলোর মুখ দেখেনি নতুন জোট। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু আগেই ভেস্তে গেছে জোট গঠনের প্রক্রিয়া। আদর্শিক জায়গায় মিল না-হওয়ায় এই প্রক্রিয়া ভেস্তে গেছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর একাধিক নেতা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নূর, রাশেদ খানদের নতুন রাজনৈতিক দলের গণ অধিকার পরিষদের কমিটি কেন্দ্র করে আদর্শিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া সঙ্গে রাজনৈতিক জোট করতে রাজি না গণ-সংহতি ও রাষ্ট্রচিন্তা।

সংগঠন দুটির একাধিক নেতা জানিয়েছে, খাতা-কলমে গণ অধিকার পরিষদের প্রধান রেজা কিবরিয়া। জোট হলে তার (রেজা কিবরিয়া) সঙ্গে আমাদের আদর্শিক জায়গা মিল থাকা উচিত কিন্তু রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে আমাদের আদর্শের মিল নেই। আমরা চেয়েছিলাম ডা. জাফরুল্লাহ মত বয়োজেষ্ঠ্য কেউ গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হোক। নুরুল হক নূর হলেও আমাদের আপত্তি ছিল না। নূর রাজনীতি করে আসছে, ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে। তার সঙ্গে জোট করতে আমাদের আপত্তি ছিল না। কিন্তু রেজা কিবরিয়া রাজনৈতিক ব্যক্তি না। দেশের বাইরে থেকে এসে হঠাৎ গণফোরামে যোগ দেন। কিছু দিন পর গণফোরাম থেকে বের হয়ে আসে। গণফোরাম থেকে বের হয়ে এবি পার্টি পার্টিতে যোগ দেয়ার চেষ্টা করে। তারপর নূরের গণ অধিকার পরিষদে এসে শীর্ষ পদে বসেন। এমন ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের আদর্শের মিল নেই। যার জন্য জোট গঠন নিয়ে আলোচনা থেমে গেছে।

রেজা কিবরিয়া নিয়ে গণ-সংহতি আন্দোলন ও রাষ্ট্রচিন্তার আপত্তির কথা জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্র। নাম না প্রকাশের শর্তে তিনি বলেন, কমিটির শীর্ষে রেজা কিবরিয়াকে দেখতে চাননি তারা। তাদের যুক্তি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।

তিনি আরো বলেন, রেজা কিবরিয়া ক্লিন ইমেজের মানুষ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আমরা সবাইকে নিয়ে গণ মানুষের রাজনীতি করতে চাই। নতুন দল নিয়ে আমাদের নিজেদের পরিকল্পনা রয়েছে, আদর্শ রয়েছে, আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। অন্যদের পছন্দ অপছন্দ নিয়ে আমরা চলতে পারি না। এসব ব্যাপারে মিল না হওয়ায় জোট গঠনের আলোচনা ভেস্তে গেছে।

গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, চারটি সংগঠন ভাসানীর আদর্শকে সামনে নিয়ে কিছু প্রোগ্রাম করেছিলাম। ভাসানীর চেতনা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কাজ করেছিলাম। সেটা এখনো আছে। জোটের প্রক্রিয়াটা ভেস্তে গেছে ব্যাপারটা এমন না। কিছুদিন চার সংগঠনের যৌথ প্রোগ্রাম হচ্ছে না। নিজেদের সংগঠন গোছানোর জন্য আমরা সময় নিচ্ছি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, কী ধরনের ঐক্য হবে এবং কারা কার ঐক্যে যুক্ত হবে এটা নিয়ে তো মূলত আলোচনা। ফলে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা জায়গায় মতপার্থক্য তো থাকতেই পারে। মতপার্থক্য নিরসন করে একটা জায়গায় আসার চেষ্টা চলছে। ঐক্যের আলোচনা চলমান রয়েছে।

ঐক্যের প্রক্রিয়া চলমান রাখার চেষ্টা করছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী৷ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ একজন জানান, আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর পুনরায় আলোচনা চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তিনি। একটা ফল হয়ত আসতে পারে।

এ প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নূরকে নিয়ে একটু ঝামেলা আছে। নূরের বয়স কম। মাঝেমধ্যে এমন দুই-চারটা কথা বলে যা সবার সমস্যা। আমি রেজা কিবরিয়াকে বলেছি আপনাকে দেশেই থাকতে হবে। পলিটিক্স করতে হলে আপনাকে গ্রাম-গঞ্জে যেতে হবে।

নতুন জোট গঠনের লক্ষ্যে গত বছরের শেষের দিকে ও চলতি বছরের শুরুতে বেশ কিছু বৈঠক করে সংগঠন চারটি। ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যৌথভাবে নানা কর্মসূচিও পালন করে। চলতি বছরের ১৬ ফ্রেবরুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একসঙ্গে পালনের ঘোষণাও দেয় ওই চারটি সংগঠন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীও যৌথভাবে পালন করে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ