1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন

তাপস হালদার : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১

বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর ডিসেম্বর মাস এলেই বাঙালি আবেগে আত্মহারা হয়ে যায়। চলতি বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, সংগতকারণেই বিজয় দিবসকে ঘিরে আবেগ উচ্ছ্বাসের এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই, এখনও একটি অংশ যারা সেদিন পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিল তারা আজও বাংলাদেশকে মন থেকে মেনে নিতে পারে না। ডিসেম্বর মাস এলেই তাদের অন্তর্জালা বেড়ে যায়।

এজন্য তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করতেই মাঝে মাঝেই আজগুবি তথ্য হাজির করে। কখনও স্বাধীনতার ঘোষক, কখনও মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ, আবার কখনও যুদ্ধাপরাধীদেরকে দেশপ্রেমিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ম্লান করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে?

অতি সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে তিনি তার দুই শিশুর হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।’ তারেক রহমানকে বলা হয়েছে শিশু মুক্তিযোদ্ধা। বিএনপির পক্ষ থেকে আরও বলা হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিলেন। এতদিন বলা হতো খালেদা জিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। আর স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর বিএনপির বোধোদয় হলো খালেদা জিয়া নিজেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন!

সরকারি গেজেটে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে একাত্তরের ২৬ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।’

এ ছাড়া আরও বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার বয়স ২৬ মার্চ ১৯৭১ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তিনি মুক্তিযুদ্ধের কোনো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত তো হননিই বরং শত্রুপক্ষের অতিথি ছিলেন। আর সাড়ে তিন বছর বয়সের তারেক রহমানকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা বলাটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছু নয়।

বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আতিথেয়তায় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে ভারতে চলে যান আর খালেদা জিয়া দুই শিশু পুত্রকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। পাকিস্তানি হানাদারদের অত্যাচারে মানুষ যখন ঢাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছিল তখন খালেদা কেন ঢাকাকে নিরাপদ মনে করল?

বিএনপি বলার চেষ্টা করে খালেদা জিয়া পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। কিন্তু বেগম জিয়া মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাসই মুক্ত অবস্থায় ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করেন। জিয়াউর রহমান বার বার চেষ্টা করেও তাকে নিতে পারেননি। একবার তো জিয়াউর রহমান বেগম জিয়াকে নিয়ে যেতে সাত মুক্তিযোদ্ধাকে পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি তাদের সঙ্গে যেতে অস্বীকৃতি জানান। যে সাত মুক্তিযোদ্ধা এসেছিলেন তাদের মধ্যে ছয়জনই পাকিস্তানি হানাদারের হাতে প্রাণ দেন।

বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমানও মনেপ্রাণে বাংলাদেশকে ভালোবেসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। অনেকটা বাধ্য হয়েই তাকে মুক্তিযুদ্ধ করতে হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানের সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করতে যাওয়ার সময় তিনি বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আটক হন এবং তাদের অনুরোধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করতে বাধ্য হন।

মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টাতেও জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে চিঠি আদান-প্রদান করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর কর্নেল আসলামকে তিনি চিঠিতে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে রক্ষিত তার স্ত্রী এবং পুত্রদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে কর্নেল আসলাম জানান, তোমার স্ত্রী এবং সন্তান সুরক্ষিত আছে। কর্নেল আসলাম চিঠিতে আরও বলেন, তোমার কাজ ভালো হচ্ছে, তুমি কাজ চালিয়ে যাও। ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাবে। পাকিস্তানি বাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে জিয়াউর রহমানের এই ধরনের চিঠি আদান-প্রদান প্রমাণ করে যে, তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি যে পাকিস্তানিদের চর ছিলেন সেটিরও অনেক দালিলিক প্রমাণ রয়েছে।

রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্য পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিন শতাধিক বাঙালিকে রাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে চিহ্নত করে। তালিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামরুজ্জামান, কর্নেল ওসমানীর নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও নাম ছিল না জিয়াউর রহমানের। বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে, অথচ পাকিস্তান তাকে তাদের বন্ধুই মনে করত।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরই জিয়ার আসল চেহারা উন্মোচিত হয়। জিয়া যে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ চায়নি তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেই ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র ঘোষণা করে, কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান, মসিউর রহমান যাদু মিয়া, আবদুল আলীমসহ কুখ্যাত রাজাকারদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়। শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি সাত্তার ও আবদুর রহমান বিশ্বাসকেও মন্ত্রী করা হয়। বিএনপি পরবর্তীকালে এ দুজনকে রাষ্ট্রপতিও করে।

ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ দিয়ে গোলাম আযমসহ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসন করে। পরবর্তীকালে একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখে জিয়াপত্নী বেগম খালেদা জিয়া। তিনিও একাত্তরের নরঘাতক নিজামী ও মুজাহিদকে মন্ত্রী করে লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত লাল-সবুজের পতাকাকে কলঙ্কিত করেছে।

বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৯৩ সালের ৮ জানুয়ারি একাত্তরের নরঘাতক পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ নওয়াজ জানজুয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়ে রাষ্ট্রীয় আচারকে ভঙ্গ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় এই জানজুয়ার আতিথেতয়ায় তিনি ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন। অথচ ১৬ ডিসেম্বর যে মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে সেই চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে মিত্রবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে যিনি সই করেন সেই লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ২০০৫ সালের ৩ মে মৃত্যুবরণ করলে তিনি কোনো শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেননি।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের প্রক্রিয়া শুরু করলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করতে নানামুখী তৎপরতা চালায়। নিজামী, মুজাহিদ, কামরুজ্জামান, কাদের মোল্লা, সাকা চৌধুরীদের বাঁচাতে সারা দেশে ধংসাত্মক কার্যক্রম চালানো হয়। তারা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা, ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে।

বেগম জিয়া মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়েও কটাক্ষ করতে দ্বিধাবোধ করেননি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, এই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। একেক বইয়ে একেক কথা লেখা আছে। একটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়কে শুধু বিতর্ক তৈরি করার জন্য পাকিস্তানিদের সুরে তিনি এই কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাকে পাকিস্তান কখনও স্বীকার করতে চায় না। সেটিকেই সমর্থন করে পাকিস্তানকে তুষ্ট করতে বেগম জিয়ার এই পরিকল্পিত বক্তব্য।

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বহুমাত্রিকভাবে নারীরা সেই যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। মুসলমান-হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, আদিবাসীসহ সব ধর্ম বর্ণের নারীই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও সম্মুখযুদ্ধে অনেক বীরত্বগাথা আছে। বহু নারী যুদ্ধে নির্যাতিত, নিগৃহীত হয়েছে। জীবন দিয়েছে তবুও পিছপা হননি। আবার যারা সম্মুখযুদ্ধ করেননি তারাও নানাভাবে পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। অনেকে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার সরবরাহ, যুদ্ধাহতদের সেবা-শুশ্রূষা, অস্ত্র লুকিয়ে রাখা ও প্রয়োজনে এগিয়ে দেয়া, এমনিও অনেক সময় গুপ্তচরের কাজ করেছেন। একাত্তরে সক্রিয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই নারীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম, তারামন বিবি ও কাঁকন বিবিকে বীরত্বপূর্ণ ‘বীরপ্রতীক’ খেতাবে সম্মানিত করেছে রাষ্ট্র। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রণাঙ্গনের বীর নারীদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বীরাঙ্গনা খেতাবে ভূষিত করেন। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বীরাঙ্গনা নারীদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মানিত করার সিন্ধান্ত নেন। সে মোতাবেক ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব পাস করে জাতীয় সংসদ। তারপর থেকে ধাপে ধাপে বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার। চলতি বছর ২৪ আগস্ট ২১ জনকে স্বীকৃতি দেয়ার মধ্য দিয়ে নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩৮ জন। নারী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা ছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করা অসম্ভব ছিল।

বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কোনো অবদান নেই, সেটি বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতারা ভালো করেই জানেন। প্রশ্ন হলো তারপরও কেন এ বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসা হলো। বিএনপির হাতে রাজনীতির করার তো কোনো ইস্যু নেই। বাংলাদেশ যেদিকে যাচ্ছে ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বাইরে রাজনীতি করার সুযোগ কমে আসছে। বিএনপিকে কেউ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির দল মনে করে না।

তাই খালেদা জিয়াকে নারী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর বৃথা অপচেষ্টা করা হচ্ছে। দিন বদল হয়েছে, এখন আর মিথ্যাকে দিয়ে সত্যকে আড়াল করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়ে ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশ উপভোগ করা খালেদা জিয়াকে নারী মুক্তিযোদ্ধা বলা জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল। এদেশের লাখো বীর নারীদের আত্মত্যাগকে অবমাননা করা। তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন, রাজাকারদের দোসর।

লেখক: তাপস হালদার, সদস্য,সম্প্রীতি বাংলাদেশ ও সাবেক ছাত্রনেতা। haldertapas80@gmail.com


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ