1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মঞ্জুর পর তারেকের নেক্সট টার্গেট কি রিজভী?

ইবার্তা সম্পাদনা পর্ষদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১

অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব। বিএনপিতে স্পষ্টবাদী, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং আদর্শের প্রতি অবিচল নেতাদের একজন হিসেবে পরিচিত। দলের দুঃসময়ে নির্ভীক এবং শক্তিমান নেতা হিসেবে নিঃসন্দেহে রিজভী অন্যতম।

খালেদা জিয়ার অন্ধ অনুসারী বিএনপির এই নেতা বিভিন্ন দুঃসময়ে দলের প্রতি যথেষ্ট আনুগত্যের পরিচয় দিয়েছেন এবং দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদেরকে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছেন।

বিশেষ করে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি নিজের পরিবার এবং ঘর ছেড়ে টানা দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করে আলোচিত হয়েছেন। রুহুল কবির রিজভীকে অনেকে বিএনপির একগুঁয়ে নেতা মনে করেন।

যদিও বিএনপি দুই দফা ক্ষমতায় ছিল, সেই দুই দফা ক্ষমতায় রিজভীকে নিয়ে তেমন আলোচনা দেখা যায়নি। মন্ত্রীত্বের স্বাদ তো দূরের কথা, এমপি পর্যন্ত হতে পারেননি এই সাবেক ছাত্রনেতা। তবুও উদয়াস্ত তিনি দলের জন্য খেটে মরছেন। কী শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বা ভোর, দুপুর কিংবা রাত, দলের প্রয়োজনে তাকে রাজপথে বা দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, রিজভীকে ‘বকবকানি’ কমানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। না হলে তার বিরুদ্ধেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। খুলনার জনপ্রিয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুর যে পরিণতি হয়েছে, রিজভীরও তেমন পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

রিজভীর সঙ্গে তারেকের বৈরিতা নতুন কিছু নয়। শুধুমাত্র দলের কর্মীদের কাছে নিরঙ্কুশ জনপ্রিয়তার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু তারেক রহমান এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার অন্ধ অনুসরণ না করলে বা তার আনুগত্য স্বীকার না করলে বিএনপিতে থাকতে পারবে না, এরকম বার্তা তিনি সুস্পষ্টভাবে দিচ্ছেন।

যার প্রমাণ হিসেবে তারেক সম্প্রতি দলের শৃঙ্খলা রক্ষার নামে নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ একাধিক জনপ্রিয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। সেই ধারায় পরবর্তী টার্গেট রুহুল কবির রিজভী বলেই অনেকে মনে করছেন।

বেশ কিছুদিন ধরে রিজভীর সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈরিতার খবর পাওয়া যায়। বিশেষ করে ফখরুল যে কোনো ইস্যুতে দলের যে অবস্থান থেকে কথা বলেন, রিজভী তার চেয়ে ভিন্ন অবস্থানে গিয়ে দাঁড়ান। এটি নিয়ে বিএনপিতে প্রবল অস্বস্তি ছিলো। কিন্তু এখন সবাই মেনে নিয়েছেন।

রিজভী স্পষ্টবাদী এবং উসকানিমূলক ভাষায় কথা বলেন। আর অন্যদিকে মির্জা ফখরুল সমঝোতামূলক কথাবার্তা বলেন। বিএনপি যতই আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে, ততই রিজভীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অন্যদিকে ফখরুলকে দেখা হচ্ছে সন্দেহের দৃষ্টিতে।

এরকম অবস্থায় তারেক-ফখরুল জুটি রিজভীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে বলে কারো কারো ধারণা।

মির্জা ফখরুল ইতিমধ্যে তারেক রহমানের বরাত দিয়ে রিজভীকে জানিয়েছেন, কোনো বিষয়ে বক্তব্য দিতে গেলে আগে মহাসচিবকে অবহিত করতে হবে। কিন্তু মহাসচিবকে অবহিত না করেই রিজভী গত পরশু আবার বক্তব্য দিয়েছেন। এর পরই তারেক রহমান তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ভবিষ্যতের জন্য সতর্কও করে দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পলাতক বিএনপি নেতা তারেক জিয়ার অনুগত নন, তিনি খালেদা জিয়ার অনুসারী। এজন্যই খালেদার অপর অনুসারীদের মত রিজভীর ভাগ্যেও করুণ পরিণতি আসতে পারে। যর পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে এভাবে রিজভীকে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ