1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে সমাবেশ থেকে ১৭ কংগ্রেস সদস্য গ্রেফতার : আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২

বিএনপির সমাবেশে পুলিশের নির্ধারিত কার্যক্রমের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র ও কতিপয় মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অথচ অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকারের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ১৭ জন কংগ্রেসম্যানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাংলাদেশের ব্যাপারে সোচ্চার ব্যক্তিদের কাউকে এবিষয়ে আমরা এতটুকু উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখলাম না। আমরা কি জানতে পারি কেন?

যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ জন কংগ্রেসম্যান সহ ৩৫ জন মানবাধিকার কর্মী গ্রেফতারের সংবাদটি উল্লেখ করছি।

[গর্ভপাতের অধিকার দাবিতে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র – ১৭ কংগ্রেস সদস্য গ্রেফতার

যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের সম্ভাব্য রায়ের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে মার্কিন মানবাধিকার কর্মিরা।
পুলিশের ভাষ্য মতে, সতর্কবার্তা দেয়ার সত্ত্বেও ওয়াশিংটন ডিসিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে ফার্স স্ট্রিট এনএ’র সামনে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ১৭ জন কংগ্রেসম্যান সহ গর্ভপাত অধিকার আন্দোলনের ৩৫ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক্যান পার্টির মুখপাত্র ম্যাসেচুসেট্স’র আইয়ানা প্রেসলী গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করে গ্রেফতারকৃত সকলে তাদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত বলে জানান।
প্রেসলীর গণসংযোগ কর্মকর্তা রিকার্ডো স্যানচেজ বলেন, একচোখা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অহিংস আন্দোলনের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান পার্টির এসিস্ট্যান্ট স্পিকার রেপ ক্যাথরিন ক্লার্ককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়া উইমেন ককাসের সদস্য রেপ ক্যারোলিন ম্যালোনির দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে তাকে সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ম্যালোনি বলেন, ‘নারীর শরীরের ওপর যদি তাদের নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে গণতন্ত্র মূল্যহীন। আমরা চাই নারীর শরীর হবে সব ধরনের নিয়ন্ত্রণের উর্ধ্বে।’

তিনি আরও বলেন, ন্যায়বিচারের প্রশ্নে আপসকামিতার অবকাশ থাকতে পারে না। আমরা নারীর ন্যায্য অধিকার সুসংহত রাখতে চাই। দমন-পীড়নে আমরা থামব না।]

এবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা যাক।

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত প্রায় ১ মাস যাবত অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলেছে। বিভিন্ন সমাবেশে এবং অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা চরম উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সরকার পতনের হুমকি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কাই স্বাভাবিক ছিল। এছাড়াও যানজট ও জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে বিএনপিকে কোনো মাঠে সমাবেশ করার অনুরোধ জানানো হয়, কিন্তু তারা অস্বীকৃতি জানায়। সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয় কারণ তাদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অতীত ইতিহাস রয়েছে।

৮ ডিসেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় উস্কানি পেয়ে পুলিশের উপর মারমুখী হয়ে উঠলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এক পর্যায়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও মীর্জা আব্বাস সহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তন্মধ্যে আমান উল্লাহ আমান সহ অনেককে ছেড়েও দেয়া হয়। কিন্তু আমরা দেখলাম যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত অনধিকার চর্চা করে একটি বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল। এর ধারাবাহিকতায় আরও কয়েকটি তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে এই উদ্বেগ, উৎকন্ঠা কি শুধু বাংলাদেশ কেন্দ্রিক? যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে তা কি উদ্বেগের বিষয় নয়? এমন দ্বৈতনীতি পরিহার না করলেই কি নয়!


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ