শেষবার ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। অল্পের জন্য হাত ছাড়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ শিরোপা। আর সর্বশেষ বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে তোলে সেই ম্যারাডোন যুগে অর্থ্যাৎ ১৯৮৬ সালে। দীর্ঘদিনের শিরোপা খরা ঘোচানোর সুযোগ আবারও পেয়েছে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা।
চলতি কাতার বিশ্বকাপে শিরোপার লড়াইয়ে আগামীকাল রবিবার মাঠে নামছেন লিওনেল মেসি, ডি মারিয়ারা। ফরাসি দুর্গ তছনছ করে শিরোপা জয়ের সেই ম্যাচ মাঠে থেকে দেখতে তাই তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে আর্জেন্টিনা ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু চাইলেই তো আর ইতিহাসের সাক্ষী হওয়া সম্ভব হয় না। কারণ মাঠে বসে খেলা দেখার জন্য প্রয়োজন টিকিট। সেই টিকিটের আকাল পড়েছে। টিকিট পেতে দ্বিগুণ দামও দিতে রাজি আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। তবু মিলছে না কাঙ্ক্ষিত টিকিট।
তৃতীয় বিশ্বকাপ জিততে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। প্রথমবারের মতো লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ ট্রপি উঁচিয়ে ধরার দৃশ্য কে না দেখতে চাইবে? লুসাইলের আইকনিক স্টেডিয়ামে মেসি-আলভারেজদের সঙ্গে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকতে চায় আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।
তবে সমর্থকদের ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকিটের আকাশচুম্বী মূল্য। প্রায় একমাস ধরেই কাতারে অবস্থান করছে আলবেসিলেস্তার সমর্থকরা। এতেই আর্থিক সমস্যার মধ্যে আছেন অনেকেই। স্বপ্নের ফাইনাল দেখতে টিকিট কেনার অর্থ নেই অনেক সমর্থকের কাছে।
আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তাদের হোটেলের সামনে জড়ো হয়েছে শ’খানেক সমর্থক। মেসি-ডি মারিয়াদের ম্যাচ দেখতে আরও অফিসিয়াল টিকিট দেওয়ার দাবি জানায় তারা।
আর্জেন্টাইন এক সমর্থক বলেন, আমরা এখানে অনেক আশা নিয়ে এসেছি। আমরা ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, তারা যেন আমাদের কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্য করে। অবশ্যই কেউই বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হতে চাইবে না।
দলের হোটেলের সামনে বিক্ষোভ করে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের (এএফএ) কাছে সহায়তা চেয়েছেন সমর্থকেরা। যেন ফাইনাল ম্যাচের টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন এএফএ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হোটেলের সামনে বিক্ষোভ করে আসছিলেন সমর্থকেরা। টিকিটের বিষয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাকাটি হয় তাঁদের। এ সময় কিছু সমর্থকের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘এএফএ আমাদের টিকিট দাও।
অফিশিয়ালি সবচেয়ে কমদামি টিকিটের দাম হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৯ হাজার টাকা। সেই টিকিটের দাম এখন ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর সবচেয়ে ব্যয়বহুল টিকিটের দাম ছিল ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। এখন সেই টিকিটের দাম চাওয়া হচ্ছে ১৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা। অর্থাৎ, ফাইনাল ম্যাচের একটি টিকিটের জন্য দ্বিগুণেরও বেশি দাম দিতে হচ্ছে সমর্থকদের। এর পরেও পাওয়া যাচ্ছে না টিকিট।