সবসময় মনে করেছি, বড়ো হয়ে সমাজ বদলে, রাষ্ট্র বদলে, ন্যায়ে ভূমিকা রাখবো। এখন যতো বড়ো হচ্ছি ততো বুঝতে পারছি, যা করার তরুণ বয়সে করতে হয়। বড়োরা মরচেপড়া সিস্টেমের অংশ হয়ে ওঠেন। বড়োরা সমাজ, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেন। ফলে তরুণদের যা কিছু ভালো আন্দোলন, সবসময় সবকিছুতেই বড়োরা তার প্রতিপক্ষ।
ঐতিহাসিকভাবেই সমাজ বদলের যে আন্দোলন পক্ষান্তরে তা বড়োদের পরিবর্তনের আন্দোলন। অল্প বয়সে আমাদের যে শেখানো হয় ঢালাওভাবে বড়োদের সম্মান/মান্য করবে, এখন বুঝি, এর মধ্যে সূক্ষ্ম রাজনীতি আছে।
বুড়োরা তরুণদের সরল অঙ্ককে ভয় পায়। তাই যা করার ২০-৪০ বছরের মধ্যে করতে হবে।
ছাত্রজীবন শুধু পড়াশোনা করে ভালো চাকরির নিশ্চয়তা তৈরির জীবন না।
এই যে বলা হয়, ছাত্রদের কাজ খালি মনলাগিয়ে পড়াশোনা করা, এটাও বড়োদের রাজনৈতিক কথা।
নিজের যতোই বয়স হচ্ছে, ততোই মনে হচ্ছে, অল্প বয়সে বড়ো হয়ে যে সিস্টেম আমি পরিবর্তন করতে চেযেছি, বড়ো হওয়ার পথে ওই সিস্টেমের অংশ হয়ে উঠছি না-তো? আমার চেয়ে যাদের বয়স কম আমি তাদের প্রতিপক্ষ, না সহযোদ্ধা? এই প্রশ্নগুলো এখন মাথায় আসছে।
লেখক : মোজাফফর হোসেন, কথাসাহিত্যিক