1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে দেশের তৈরি ক্রাফটসম্যানের জুতা

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

বৈচিত্র্যময় চামড়া পণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আবদার এলাকায় মাত্র ১৭ জন শ্রমিক নিয়ে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে রপ্তানিমুখী চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাকসেসরিস লিমিটেড। শুরুর দিকে প্রচারণা কম থাকায় তখন তাদের ক্রেতার সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। এই কারখানায় তারা শুধু স্যাম্পল তৈরি করত। এরপর তা পাঠাত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

এরপর পাশের যুগীরসিট এলাকায় প্রায় এক লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে গড়ে তোলে বিশাল কারখানা। পরিচিতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যাও বাড়তে থাকে। জাপানে জুতা রপ্তানির মাধ্যমে তাদের কার্যক্রমে গতি ফিরে আসে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত জাপান ছাড়াও ইতালি, জার্মানি, সুইডেন, স্পেন, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসসহ বিশ্বের ১৩টি দেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ জোড়া জুতা রপ্তানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে রপ্তানির পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ডলারে নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এ জন্য আলাদা ওয়্যারহাউস ও নতুন কারখানা ভবন তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।’

প্রতিষ্ঠানটি এখন ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে দেশের শেয়ারবাজার থেকে পাঁচ কোটি টাকা তুলতে চায়। এরই মধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদনও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কম্পানির অপারেশন বিভাগের পরিচালক মাহে আলম জানান, বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে উন্নত যন্ত্রপাতি এনে কারখানায় স্থাপন করা হয়েছে। ইতালি, জার্মানি ও চীন থেকে তাঁরা প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়েছেন। তবে পণ্য উৎপাদনে ইতালির উৎপাদনব্যবস্থাই অনুসরণ করেন।

তিনি আরো জানান, চামড়া খাতের বৈশ্বিক সংস্থা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডাব্লিউজি) সনদ পাওয়া চট্টগ্রামের ট্যানারি রিফ লেদারসহ এশিয়ার সেরা কয়েকটি ট্যানারি থেকে চামড়া আনা হয়। ন্যূনতম ছয়টি ধাপে জুতা তৈরির প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।

কারখানার বন্ডেড ওয়্যারহাউসে রাখা হয় চামড়া। ক্রেতার চাহিদা ও জুতার নকশা অনুসারে চামড়া কাটেন ও পুরুত্ব কমান দক্ষ কর্মীরা। তা দিয়ে জুতার ওপরের অংশ সেলাই করা হয়। এরপর জুতার সোল বা তলা বানানো হয় আলাদা যন্ত্রে। লাস্টিং বিভাগে উভয় অংশ জোড়া দেওয়া হয়। সবশেষে রপ্তানির জন্য মোড়কজাত করা হয়।

মাহে আলম জানান, তাঁদের কারখানায় দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ নকশাকাররা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভিন্ন নকশা করে দেন। তিনি জানান, কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তাঁদের উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে এই কারখানায় প্রায় ৮০০ দক্ষ শ্রমিক কাজ করছেন। তাঁরা দৈনিক এক পালায় দুই হাজার জোড়ার বেশি জুতা তৈরি করেন।

তিনি জানান, ফরমাল, ক্যাজুয়াল, অক্সফোর্ড, মোকাসিন, ডার্বি, হাইহিল, পামিসহ বিভিন্ন ধরনের জুতা বানায় প্রতিষ্ঠানটি। আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ের দিকে কারখানায় দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান মাহে আলম। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি পণ্যের মান ও কারখানায় পরিবেশ বিষয়ে দুটি আইএসও সনদও পেয়েছে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ