1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের মাধ্যমে ঢাকাকে দূষণমুক্তের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিশ্বের শীর্ষ দূষিত সাত দেশের তালিকায় বারবার উঠে আসছে ঢাকার নাম। একাধিক সংস্থার প্রতিবেদন বলছে ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও অপরিকল্পিত নির্মাণকার্যক্রম। এর বাইরে সবুজায়ন ধ্বংস, জলাশয় ভরাট, অনিয়ন্ত্রিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ একাধিক কারণ ঢাকা এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনিক প্রায় ১৭ হাজার ৫৪ টন কঠিন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে শুধু রাজধানী ঢাকাতেই ৩০ শতাংশের বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৬৮১ টন। যার নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে দিন দিন দূষণ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান অবস্থায় বাতাস, মাটি পানি থেকে শুরু করে বহুমাত্রিক দূষণে মানুষের দেহে ক্যান্সারসহ মারাত্মক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। শিল্পে রাসায়নিকের বাড়তি ব্যবহার শিল্প কারখানা, খনি, কৃষিকাজের দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মাটিকে বিষিয়ে তুলছে। সব মিলিয়ে দূষণ মানুষের পরিবেশগত মৃত্যু ডেকে আনছে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের মাধ্যমে ঢাকাকে দূষণমুক্ত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করার লক্ষ্য থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছি ডিএনসিসি। রাজধানীর আমিনবাজারে প্রায় ৮০ একর জমির ওপর গড়ে উঠছে এই প্রকল্প। এতে প্রথমে ৩০ একর ভূমিতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইনসেনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপন হবে। জানা গেছে, আসছে বছরে এর কাজ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় শুরু হবে। কয়েকটি ভাগে এর কাজ শেষ হবে। পুরো প্ল্যান্টে থাকবে মোট তিনটি টার্বাইন। এই টার্বাইনের মাধ্যমে প্ল্যান্টে প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য পুড়িয়ে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। আর বর্জ্য পোড়ানোর ছাই সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

প্রথম প্ল্যান্ট সমাপ্তির পর আলো ৫০ একর ভূমিতে মেডিক্যাল বর্জ্য, ই-বর্জ্য ও ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনার জন্য পরিবেশবান্ধব ল্যান্ডফিল স্থাপন করা হবে। দ্ইু বছরে কাজ শেষ করে ২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। তাতে প্রতি ঘণ্টায় ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, যা যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: খালিদ হাসান বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণেই এমনটা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। তারপরও এ শহর রক্ষায় এমনা উদ্যোগ কিছুটা হলেও স্বস্তি আনবে ।

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে পরিবেশবান্ধব এবং আধুনিক হওয়ায় এটি পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না। তাছাড়া পানি দূষণ, মাটি দূষণের মতো সংবেদনশীল ক্ষতি থেকে দেশকে রক্ষা করবে। এ বিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ঢাকাকে রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাতে করে দূষণ থেকে রাজধানী ও তার নাগরিকরা রক্ষা পাবে। তার মতে, ‘অপচনশীল বর্জ্য, ক্ষতিকারক মেডিক্যাল এবং ই-বর্জ্যও এখানে ব্যবহৃত হবে যার ফলে প্রকৃতি এবং জলবায়ু রক্ষায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বর্জ্য পোড়ানোর পর আবার যে ছাই উৎপন্ন হবে তা সিমেন্ট কারখানাগুলোতে কাজে লাগানো হবে, যা বাড়তি অর্থনৈতিক সুবিধা দিবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ