রাজধানীর কলাবাগান, বংশাল ও কোতোয়ালি থানার নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নসহ ৭৩ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ কারাদণ্ড দেন। এছাড়া এসব মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এর মধ্যে কলাবাগান থানার নাশকতার মামলায় রবিউল ইসলাম নয়নসহ ৪০ জনকে পৃথক তিন ধারায় দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার চৌধুরী। পাশাপাশি দুই হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১৭ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। মামলার তিন ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে তাদের এক বছর কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলা থেকে ২৬ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলাটি করে পুলিশ।
এছাড়া ২০১৮ সালে ঢাকার বংশাল থানায় দায়ের করা নাশকতার আরেক মামলায় বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে দুই ধারায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোহেল, রাজু, বল্লম বাজু, সিরাজ, মামুন, রনি, মঈন, আজিম, ওমর ফারুক, ইমরানুল হক ওয়াহিদ, মামুনুর রশিদ মামুন, মাসুদ রানা, তাইজুদ্দিন, নাজিবুল্লাহ, শাহজাহান খান, বিল্লাল হোসেন, আমির হোসেন বিপু, স্বপন, সৈয়দ মঞ্জুরুল হক, আরিফুর রহমান, রাজিয়া আলম, জুবায়ের আলম, তাইজু, সাঈদ ও হাজী মাছুম।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বংশাল থানা এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিল চলাকালে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে ২০১৫ সালে অবরোধে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার আরেক মামলায় বিএনপির আট নেতাকর্মীকে দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আনোয়ারুল আজিম, হায়দার আলী বাবলা, সুমন হোসেন, শাহিন, আলাউদ্দিন, হীরা, রজ্জব আলী পিন্টু ও সেন্টু। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার চার্জশিটভুক্ত ১২ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকার বাবুবাজারে গাড়ি ভাঙচুর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা দায়ের করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
