দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইলেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফরাজী মো. ইউনুচ। নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার লাউপাড়া সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নৌকা প্রতীকের পথসভায় নৌকায় ভোট চান ফরাজী মো. ইউনুচ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
ফরাজী মো. ইউনুচ উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি। গত ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে ফরাজী মো. ইউনুচ ওই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপি নেতা ফরাজী মো. ইউনুচ বলেন, তার সোনাকাটা ইউনিয়নটি উপজেলার ভাঙন ও দুর্গম এলাকা। বিগত দিনে এ ইউনিয়নে যে উন্নয়ন হয়েছে ও আমি দুইবার চেয়ারম্যান থাকাকালীন যে কাজ করতে পেরেছি তাতে বর্তমান সংসদ সদস্যের ওপরে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা যাতে এই এলাকায় আরও উন্নয়ন পেতে পারি সেজন্য সবাইকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নৌকা মার্কার প্রার্থী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি (নৌকার প্রার্থী) এ পথসভায় বললে আপনার আচরণবিধি লঙ্ঘন হতে পারে বলে এখন প্রতিশ্রুতি দিতে হবে না। তবে খেয়াল রাখবেন আমাদের সোনাকাটার দিকে। তবে আমি আমার সোনাকাটা ইউনিয়নবাসীকে বলতে চাই- আমি নৌকায় ভোট চাই। আপনারা (এ সভায় মানুষদের বলেন) কারা কারা নৌকায় ভোট দেবেন দুই হাত উঁচু করে দেখান, নৌকায় ভোট দিবেন কিনা। আমি নিজে আমার এলাকার স্বার্থে যেটুকু প্রয়োজন নৌকা জয়যুক্ত করার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ, জয় বঙ্গবন্ধু বলে তার এ বক্তব্য শেষ করেন। তার পথসভার এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বিএনপি নেতা বলেন, তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন ও প্রভাবশালী নেতা হয়ে এভাবে নৌকায় ভোট চাইতে পারেন না। এটা লজ্জাজনক বিষয়। তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।
কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপি নেতারা নৌকায় ভোট চাইছেন। যার প্রমাণ এই ইউপি চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফরাজী মোহাম্মদ ইউনুচ বলেন, আমার এলাকার উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট চাইছি। এতে দোষের কিছু নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল হক ও সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
