1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাংলাদেশের অর্থনীতির অপার সম্ভাবনা

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

আমরা এখন আছি অর্থনৈতিক অনিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দুইটা একসঙ্গে নিয়ে। এইটা সমস্যা। আর সমস্যা থাকলে সমাধান বের করতে হয়। এটাই রাজনীতিবিদদের মূল কাজ, যাতে অর্থনীতিবিদরা সঙ্গে থাকবে। এই কাজটা ঠিকমতো হচ্ছে না। প্রশ্ন হলো এর সমাধান কি করা যায়? কীভাবে করা যায়। উত্তর হলো, যায় যদি আপনি যেই রাজনীতি বিশ্বাস করেন না কেন আপনার সেই দেশপ্রেমটা থাকে। স্থান, সময়, অবস্থান, ধর্ম, সবকিছু সরিয়ে রেখে নিজের কাজটা সৎভাবে করা, অন্য মানুষের ক্ষতি না করা। সমস্যা থাকলে সমাধান আছে। এই ব্যাপারে কোনো কুযুক্তি টানবেন না। যতো স্টার্টআপ দেখবেন, সেইগুলো ইউনিকর্ন হিসেবে উঠে আসে, যারা সমস্যা খুঁজতে জানে। আপনি সমাধান খুঁজতে গিয়ে বড় হতে পারবেন না। সমাধান তখনই আসবে যখন সমস্যা খুঁজে পাবেন। আমি উদাহরণ ছাড়া কথা বলতে পারি না।

গুলশান এক থেকে দুই নম্বর পর্যন্ত গিয়ে কাকলি পর্যন্ত পৌঁছান। পুরো রাস্তা হাঁটবেন, সময় লাগবে চল্লিশ মিনিটের মতন। চারদিকে খেয়াল করলে বুঝবেন এখানে মূল সমস্যা পার্কিং। অনেক দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানুষের তেমন যাতায়ত নেই, শুধু পার্কিং সমস্যায় রাস্তায় যানজট এবং সুন্দর করে গোছানো রেস্টুরেন্টে ভিড় নেই। আমি ২০১৮ সালে কলকাতার এক আইটি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করি, উনার কোম্পানি একটা মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছেন। কোন এলাকায় কয়টা পার্কিং আছে, কতোগুলো খালি আছে, আপনি কতোক্ষণে পৌঁছাবেন, কতোক্ষণ থাকবেন এবং কীভাবে পার্কিং স্পট এডভান্স বুকিং দেবেন। চমৎকার উদ্যোগ। এ বছর ঢাকা উত্তর কিছুটা শুরু করেছে, প্রচারের অভাবে অনেকেই জানে না স্পটগুলো কোথায়।

মালোয়েশিয়ায় ১৯৯৮ সালে এক স্টার্টআপ একটা চমৎকার কাজ করেছিলো। সেইসময় ক্রেডিট কার্ড কোনো পিওএস মেশিনে চলতো না, একটা ডিভাইসে বসিয়ে উপরে একটা কাগজ রেখে টান দিতে হতো। তার আগে ব্যাংকে কথা বলে কতোটাকা খরচ করছে তার এপ্রুভাল নেওয়া লাগতো। আমি সেই সময়ের কথা বলছি। এই কোম্পানি যেটা চিন্তা করেছিলো মানুষের টাকা তোলার দরকার, কীভাবে কোন কার্ড বা চেকবই ছাড়া তোলা যায়। সমাধান ছিলো ফিংগার প্রিন্ট ব্যবহার করে। আপনি ব্যাংকে গিয়ে বললেন টাকা দরকার, তারা ফিংগারপ্রিন্ট ডিভাইসে আঙ্গুল দিতে বলেন, ডেটাবেইসের সঙ্গে মিলিয়ে নগদ টাকা দিয়ে দিতেন। এটা মনে রাখবেন, ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রতি মানুষের আলাদা, সেটা যেই এ্যালগোরিদম দিয়ে করা, তার মূল আবিষ্কর্তা দুই বাঙালি, খুলনার খান বাহাদুর কাজী আজিজুল হক এবং চুয়াডাঙ্গার রায় বাহাদুর হেম চন্দ্র বোস। যা বলছিলাম, আগে সমস্যা খুঁজে বের করেন, সমাধান নিজ থেকে আসবে। কিন্তু মাঝে চারটা ধাপ আছে সমস্যা আছে সেটা স্বীকার করা এবং উপযুক্ত মেধাবীদের খুঁজে নেওয়া, একটা সর্বসম্মত গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা তৈরি করা এবং সেটা বাস্তবায়ন করা। শুধু অর্থনীতির সমস্যা যদি সমাধান করা যায়, আমার বিশ্বাস অন্যান্য সমস্যার সমাধান নিজ থেকেই আসবে। ভেনেজুয়েলার অবস্থা দেখেন, মাটির নীচে তেল কিন্তু তুলবার বা বেচবার অবস্থায় নেই। বছর দশেক ধরে একই জায়গায় আটকে গেছে, তার আগে অর্থনীতি ভালোই ছিলো। রাশিয়ার অবস্থা দেখেন, সবচেয়ে বড় তেলের খনির মালিক, বাজার দেখে তারা তেল তুলছে, ভবিষ্যৎ প্রয়োজনে তারাই এগিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশ ফসিল ফুয়েল বাদ দিতে চাইছে যেন রাশিয়ার এই তেলের উপর নির্ভর করতে না হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি বিচার করা হয় মাথাপিছু আয়, জিডিপি গ্রোথ, মুদ্রাস্ফীতি এইসব সংখ্যা দিয়ে। এইগুলো থেকে বের হতে হবে। মূল অর্থনীতিতে প্রবেশ করার সময় এখন। বায়ান্ন বছর করতে পারি নেই, এর মানে এই না সামনে পারবো না। অর্থনীতির ধরন নিয়ে কথা বলি।

আমাদের দেশীয় অর্থনীতিবিদরা এখনো সেই মাইক্রো বা ব্যস্টিক ও ম্যাক্রো বা সামস্টিক অর্থনীতি থেকে বের হতে পারেন না। আপাত অর্থনীতি না বোঝা জনগণকে যদি এই দুই ধারা দিয়ে বোঝানো যায়, উনারা কষ্ট কেন করবেন। মাইক্রো ও ম্যাক্রো ইকোনমিক্স অনেক পুরানো ধারণা, আমরা কি ডেভেলপমেন্ট ইকোনোমিক্স নিয়ে কাজ করে? ফরেক্স ইকোনোমিক্স নিয়ে? এ্যাপ্লাইড ইকনোমিক্স নিয়ে? সোশ্যাল সেইফটি ইকনোমিক্স নিয়ে? আমরা কোনোটাই করি না। বিশ্বের বিভিন্ন মানদণ্ড এখন পার ক্যাপিটা ইনকাম নিয়ে কাজ করে না, তারা জিডিপির গ্রোথ নিয়েও তেমন কাজ করে না। যেসব বিষয় খুব খেয়াল করে করা হয়, তার জন্য ক্যালকুলেশন ফ্যাক্টর অনেক দরকার। যার জন্য অনেক মানদণ্ড আছে। সবচেয়ে বেশি খেয়াল করা হয় এইচডিআই ইনডেক্স, জিডিপির মধ্যে নমিনাল জিডিপি এবং পিপিপি বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি নিয়ে। এর সঙ্গে করাপশন ইনডেক্স, ফ্র্যাজাইল ইনডেক্স, গিনি রেটিং অন্যতম।

সবগুলো ব্যাখ্যা করবো না, সবচেয়ে দরকারী এইচডিআই নিয়ে শুধু বলছি। এইচডি আই তিনটা বিষয় খেয়াল করে, লাইফ এক্সপেক্টেন্সি, এডুকেশন এবং স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং বা জিডিপি যা পিপিপি হিসাবে করা হয়। এই তিনসংখ্যা মিলিয়ে চারভাগে ভাগ করা হয়। বর্তমানে যেই ক্যালক্যুলেশন করা হয় সেটাকে বলে ইনইক্যুয়ালিটি এডজাস্টেড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স। আমাদের অবস্থান আছে ১০৪, পয়েন্ট। ভারত থেকে ৪ ধাপ উপরে, ভুটান থেকে ৫ ধাপ, নেপাল থেকে ১১ ধাপ, পাকিস্তান ২৫ ধাপ। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকা ৬১, মালডিভস ৮১, আমাদের উপরে আছে। তবে চার ক্যাটাগরিতে খুব উচ্চ, উচ্চ, মাঝারি এবং নিম্ন এই ক্যাটাগরিতে। শ্রীলংকা ও মালডিভস মাঝারি ক্যাটাগরিতে স্থান পেলেও বাকিরা নিম্ন ক্যাটাগরিতে আছে।

অর্থনীতি যা কিছু লিখি একটু সহজভাবে বলতে চাই যেন সহজ ভাষায় বোঝেন। এইচডিআইতে যে তিনটা জিনিস আছে তাদের মধ্যে অনেকটাই মিল করে করা। এখানে রাজনীতির কোনো অবস্থান নেই। বয়স হিসাব করলে স্বাস্থ্য, সুপেয় পানি, খাদ্য সব চলে আসে। শিক্ষা নিয়ে বললে সাক্ষরতা, হায়ার স্টাডি, ভোকেশনাল ও টেকনিকাল সঙ্গে ইন্টারনেট এক্সেস, আনএমপ্লয়মেন্ট রেট, বিভিন্ন আবিষ্কার ক্ষমতা সবই যুক্ত হয়। আর লিভিং স্ট্যান্ডার্ডের হিসাবে জিডিপি, পার ক্যাপিটা আয়, সোশাল সিকিউরিটি, বাসস্থান, দেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার সবই চলে আসে।

আমাদের অর্থনীতির মূল সমস্যা কি বোঝার আগে বুঝতে হবে কোন ব্যাপারগুলো দরকার। প্রথমত আয়ের উৎস কি? আমাদের মূল তিনটা খাত কৃষি, তৈরি পোশাক রপ্তানি ও সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজের নিশ্চয়তা, এবং প্রবাসী রেমিটেন্স। কৃষিখাতে আমাদের অনেক উন্নতি এসেছে, এরপরও বাংলাদেশ তৃতীয় প্রধান আমদানিকারক। সরকার একদিকে বলছে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, অন্যদিকে আমদানি চলছে। বছরে ৪ হাজার কোটি টাকা শুধু আপেল আমদানিতে ব্যয় হয়। একটা নিম্নমানের ফল যা আমাদের দেশে আসে, আমরা কিনছি। এটা একধরনের এডিবেল ওয়াক্স দিয়ে প্যাকেট করে পাঠানো হয়।

কাজের ক্ষেত্র মোটামুটি খারাপের দিকে যাচ্ছে। কারণ ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য উদ্যোক্তা গড়ে উঠছে না। সারা দুনিয়ায় স্মল ও মিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রি বাণিজ্য টিকিয়ে রাখে, সেখানে সরকারের নজর নেই। এসএমই ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং, এনজিও, এই ব্যবস্থা নিয়ে যে কাজটা হয়, সরকার সেইদিকে কোনো সহায়তা করতে উৎসাহ দেয় না। তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্পে আমার বিদেশে এতো কনস্যুলার অফিস আছে, সরকার কখনো কমার্শিয়াল এটাচে নিয়োগ করে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করবে না। বরং বিশাল খরচ করে সামরিক এটাচে বা সাংবাদিক নিয়োগ দেবার পাশাপাশি সরকারের পছন্দের ব্যক্তিদের রাষ্ট্রদূত করে পাঠায়।

সমস্ত দেশ রেমিটেন্সে জোর দেয় স্কিলড লেবার এবং হোয়াইট কলার জবের প্রতি। আমাদের ধরন হয়ে গেছে প্রবাসী শ্রমিক বিদেশে যায় যারা আনস্কিলড বা সেমিস্কিলড। অন্যান্য দেশ জানে কোথায় কীভাবে পাঠাতে হবে, কী দরকার আছে। তাদের একজন যা টাকা পাঠায় আমাদের ১০ জন সেই টাকা পাঠায়। এখানেও সরকারের কোনো লেবার এটাচে নেই। ব্যাংকিং ও শেয়ারবাজার ব্যবস্থা যে অবস্থায় আছে, সেটা অত্যন্ত করুণ। এতোটাই করুণ যে আর কতো টাকা ছাপাবে সেটাই প্রশ্ন। একদিকে বড় ঋণ করে এখন সুদ আসল ফেরত দিচ্ছি, সঙ্গে সরকারি চাকরীজীবী সঙ্গে প্রশাসন পালতে এতো বেশি টাকা বের হয়, টাকা ধার নিয়ে এরপর ছাপানো ছাড়া রাস্তা নেই। আর্থিক দুরবস্থার জন্য বিদেশে টাকা পাচার, অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ, যেসব প্রজেক্টে টাকা চুরির রাস্তা আছে কিন্তু আয়ের সম্ভাবনা কম, সেগুলোতে হাত দেওয়া, রেমিটেন্স সরকারি চ্যানেলে না আসা এবং পাচার টাকা ফেরত আনতে না পারার ব্যর্থতা বড় কারণ। চিকিৎসা এবং বিদেশিদের চাকরি দেওয়া বাবদ যতো টাকা বের হয়ে যায়, শিক্ষাসফরে বিদেশ ভ্রমণে, একটা আন্তর্জাতিক ইভেন্টে যতো লোক সফরে যায়, শুধু শিক্ষা আর সততা ঠিক করতে পারলেই দেশের টাকা দেশে থাকতো। কিছু লোকের হাতে অঢেল টাকা, বাকিরা কোনোমতে খেয়ে বেঁচে আছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অথর্বতা সামনে চলে আসে। রাজস্ব বিভাগকে যতটা চাপ দেওয়া যায় বা নিতে পারে তার উপরে চলে গেছে।

অর্থনীতি ঠিক করতে তিনটা কাজে হাত দিতে হবে। প্রথম কাজ বৈদেশিক ঋণ ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন প্রজেক্ট ইআরডি মারফত পাস করিয়ে একনেকে এ্যাপ্রুভ করা হয়। অনেক টাকা পরে বাড়তি খরচ হয়, সময় লাগে। যেকোনো বিদেশি ঋণ পুরো ভায়াবিলিটি ও সাসটেইনেবিলিটি যাচাই করে পাস করা। দ্বিতীয়, ব্যাংকের মালিক যারা, লোন নেয় তারা, রিশিডিউল করে তারা, বাইরে পাঠায় তারা, মন্দঋণ হিসাবে ব্যাংক তুলে দেয়। এই জায়গায় হাত দিতে গেলে প্রথমে বেশ কিছু ব্যাংক একটার সঙ্গে অন্যটা মার্জার বা এক্যুইজিশেন করতে হবে। তৃতীয়, বৈদেশিক রিজার্ভ বাড়াতে হবে। বাড়ানোর জন্য আমদানি বন্ধ করা কোনো সুস্থ রাস্তা নয়।

বৈদেশিক মুদ্রা আয় পাঁচ রকমের- রপ্তানি, রেমিটেন্স, ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট, ট্যুরিজম এবং সার্ভিস। প্রথম চারটা সূচক নীচের দিকে, এর জন্য আলাদা টাস্ক ফোর্স করা দরকার। আর পঞ্চমটা হলো বিভিন্ন শিপ বা বিমানের জ্বালানি নেওয়া, বীমা সার্ভিস, মাতারবাড়ী ব্যবহার করে ট্রান্স শিপমেন্ট ফ্যাসিলিটি, মাল লোড আনলোডে সার্ভিস দেওয়া। সবগুলোর উদাহরণ দিতে পারবো। বিশেষ ভাবে বলবো ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা এফডিআই ঠিক করতে বেজার কর্ম পরিধি পুরো ঢেলে সাজাতে। শুধু ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস না, ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করলে আসলেই কোন লাভ আছে কিনা এবং তা সাপোর্ট করার হিউম্যান রিসোর্স আছে কিনা চিন্তা করতে। যা বললাম সবই আমাদের সামনে দেখা ব্যাপারগুলো। আরো অনেককিছু লিখতে পারবো, কিন্তু তার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া সম্ভব না। সরকার মেধাবী ব্যাক্তিদের পছন্দ করে না, মেরুদণ্ডহীনদের পছন্দ। যতদিন মেরিটোক্রেসির সম্মান না আসবে, সামনে দিন আরো খারাপ আসতে বাধ্য। একটাসময় যাঁদের মেধা আছে তারা দেশ ছেড়ে চলে যাবে।

সমাধান, অবশ্যই আছে। কিন্তু একটা মেধাবীদের গড়া টিম করে তাদের কর্মপন্থা ঠিক করতে দেন, বাকীটা ঠিক হয়ে যাবে। অনেকদিন আমলা, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, প্রশাসন দিয়ে চললো- আর চলছে না। আইনরক্ষা বাহিনী থেকে বিচারবিভাগ প্রতিটা ঘুন ধরছে, অনেক কিছু ঠিক করতে হবে। অন্তত অর্থনীতি দিয়ে শুরু করার সময় চলে আসছে। এজন্য একটা অর্থনীতি বোঝা প্রাইভেট সেক্টরের সম্মিলিত একটা পুল করা। এরা বিভিন্ন ফাংশন অনুযায়ী টাস্ক ফোর্স গঠন করে কার্য পরিধি নির্নয় করা। এটা করা কঠিন কাজ না, তবে যা কঠিন সেখান থেকে বের হতে হবে। সরকার টাস্ক ফোর্সের কাছে উপদেশ চায়, তারা সেই উপদেশ দেয় যা সরকার শুনতে চায়। এরপরের টাস্ক ফোর্স যেনো সরকারকে খুশী করার কোন উপদেশ না দিয়ে মেইড ইন বাংলাদেশ উপদেশ দেয় যা সরকার বাস্তবায়ন করে।

লেখক: কাজী এম. মুর্শেদ – অর্থনৈতিক বিশ্লেষক।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ