বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পাকিস্তানের কারাগারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই ইতিহাস জানতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাতি সজীব ওয়াজেদ জয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধের লিংক শেয়ার করে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ফেইসবুকে এক পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা।
জয় লিখেছেন, “একদিকে ত্রিশ লক্ষ শহীদের লাশের স্তূপ, চার লক্ষাধিক নির্যাতিত মা-বোনের আহাজারি; অন্যদিকে পাকিস্তানি দানবদের হাত থেকে বাংলার মাটি ও সাত কোটি মানুষের চির মুক্তি; হাজার বছরের শৃঙ্খলভাঙার উল্লাসে যখন ঢাকা পড়ে যাচ্ছিল স্বজন হারানোর বেদনা; ঠিক তখনই পাকিস্তানের কারাগারে হত্যার চেষ্টা করা হয় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।”
“অবশ্য এটাই প্রথম অপচেষ্টা নয়, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ফলাও করে প্রচারিত হতে থাকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। এর মধ্যেই বিশেষ কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়ে চারপাশ থেকে গুলি চালানো হয় বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে, গ্রেফতার করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এরপর সংসদ ভবন এলাকা, আদমজী ক্যান্টমেন্ট স্কুল, ঢাকা সেনিনাবাসের বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখা হয় বাঙালি জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। অবশেষে ১ এপ্রিল তাকে কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমে পাঠানো হয় পশ্চিম পাকিস্তানের অন্ধকার কারাগারে। করাচি, লাহোর হয়ে তাকে পাঠানো হয় উষ্ণতম অঞ্চল লায়ালপুর শহরের এক নির্জন কারাগারে।”
আর এ ঘটনাগুলো বিস্তারিত জানতে আওয়ামী লীগের ওয়েসাইটে গিয়ে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের জেলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাচেষ্টা’ শীর্ষক নিবন্ধটি পড়ার আহ্বান জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, “নিজে জানুন আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে জানাতে উদ্বুদ্ধ করুন সঠিক ইতিহাস। অনেক অজানা ইতিহাস নিয়ে মাঝে মাঝেই আমার ফেইসবুকে কিছু আর্টিকেল শেয়ার করতে থাকব।”