1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সাজাপ্রাপ্ত শিবির ক্যাডার গ্রেফতার ১৮ বছর পর

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২২

রায় ঘোষণার পর সাজা থেকে বাঁচতে ১৮ বছর দুবাই পালিয়েছিলেন দেশজুড়ে আলোচিত অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলার আসামি মহিউদ্দিন প্রকাশ মহিনউদ্দিন। গত বছরের ২৯ অক্টোবর গোপনে দেশেও ফিরে আসেন। ফের দুবাই ফিরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে র‌্যাবের জালে ধরা পড়েছে এই আসামি।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে মহিউদ্দিন প্রকাশ মহিনউদ্দিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের একটি টিম। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের কাছে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়। দুর্ধষ শিবির ক্যাডার হিসাবে পরিচিত মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলার মন্দাকিনি গ্রামের এলাহী বক্সের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে মহিউদ্দিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এরপর দুবাই পালিয়ে যায়। গত বছরের ২৯ অক্টোবর দেশে ফিরে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে সুগন্ধার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর হাটহাজারি ক্যাম্প কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মহিউদ্দিন দেশে অবস্থান করার খবর পাওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে তার অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়। শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।’

তিনি বলেন, ২০০৩ সালে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা মামলার রায়ে মহিউদ্দিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতের ফ্লাইটে মহিউদ্দিনের আবারও দুবাই চলে যাওয়ার কথা ছিল। দুবাই যাওয়ার আগে শনিবার করোনার সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য নমুনাও জমা দিয়েছিল নগরীর একটি আরটিপিসিআর ল্যাবে। কিন্তু তার আগেই সে ধরা পড়ে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই বছরের ১৬ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান এলাকার বাসায় ঢুকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে গুলি করে নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে হত্যা করে। গুলিতে তার মাথার খুলির অর্ধেক অংশ ঝুলে পড়ে। বিভৎস ছবিটি তখনকার সময়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন হত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে মিছিলও বের হয়।

গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তৎকালীন অডিট কর্মকর্তা উমা মুহুরী বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে চার আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। একই রায়ে মহিউদ্দিনসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। চার জন খালাস পান।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ