1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকি মেটাতে ছাড়া হবে ২৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

নগদ অর্থের সংকট দূর করতে ভর্তুকি বাবদ চলতি বছর কাগুজে বন্ড ছাড়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড চারটি ব্যাংকে দেওয়া হয়েছে। এই বন্ড দেওয়া হয়েছে সার ও বিদ্যুতের ভর্তুকি মেটাতে। বাকি ২০ হাজার কোটি টাকার বন্ড বছরের বাকি সময় ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। তবে এই বন্ডের বিপরীতে সরকারকে ৮ শতাংশ হারে সুদ গুণতে হচ্ছে। ফলে এ খাতে সরকারের অর্থিক ব্যয় বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সার ও বিদ্যুৎ খাতে ইতিমধ্যে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির কাগজপত্র জমা রয়েছে অর্থ বিভাগে। এই অর্থের মধ্যে সার খাতের ভর্তুকির পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি চাহিদা জমা রয়েছে আরও ১৪ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তুকি অর্থ নগদে পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু এখন অর্থ সংকটের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এখন বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। তবে বন্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি দেওয়ার কারণে সরকারের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। যেমন-নগদ অর্থে ভর্তুকি দেওয়া হলে সেখানে সুদের বিষয় থাকে না। কিন্তু বন্ডে দেওয়ার ফলে সরকারকে ৮ শতাংশ হারে সুদ গুণতে হচ্ছে।

জানা গেছে, সারের বকেয়া পরিশোধে ইতিমধ্যে ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংককে ২৫৫ কোটি টাকা ও আইএফআইসি ব্যাংককে ৪৫৯ কোটি টাকার বন্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, গত সপ্তাহে বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে সিটি ব্যাংককে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ও পূবালী ব্যাংককে ৭৭ কোটি টাকার বন্ড দেওয়া হয়েছে। এই বন্ডের সুদ হার নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি বা রেপো রেট অনুযায়ী (যে সুদ বিভিন্ন ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ঋণ নিয়ে থাকে)। বর্তমান এই হার হচ্ছে ৮ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যেসব ব্যাংক ইতিমধ্যে ভর্তুকির বন্ড পেয়েছে, তারা এই অর্থ নগদায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বন্ড রেখে ব্যাংক নগদ অর্থ দিয়ে দিচ্ছে। এই অর্থের পুরোটায় ছাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের পুরোটা সময় জুড়েই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

সূত্র জানায়, সরকারের কাছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) বকেয়া ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাকি বিল বকেয়া রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিডিসির।

অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে আবার দুটি ব্যাংকের কাছে বন্ড দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করার কথা রয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি পুরো বছর জুড়েই অব্যাহত রাখা হবে। রাজস্ব আদায় বাড়লে বন্ডের পরিবর্তে আবারও নগদ অর্থে ভর্তুকির দায়দেনা মেটানো হবে। তবে তার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ