1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মোশাররফ-মান্না বৈঠক : জোট গঠনের নামে অরাজকতা সৃষ্টির আশঙ্কা!

বিশেষ প্রতিবেদন - ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদন – ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম: সম্প্রতি বিকল্প সংলাপ ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে বৃহত্তর জোট গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি। এ প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। নারায়নগঞ্জের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানের মতো গা ঢাকা দেয়া অনেকের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। খুন, চাঁদাবাজি ও নাশকতায় জড়িত অপরাধীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার মত ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া বহিষ্কৃত নেতাদের ফিরিয়ে আনার নামে খুন-ধর্ষণ ও নাশকতায় অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে যা দলের ভেতরেই বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সার্বিক পরিস্থিতি ২০১৩-১৪ সালের মতো নারকীয় তাণ্ডব সৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে যা নিয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

গত জানুয়ারি মাসে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বৃহত্তর জোট গড়ে তুলতে বিএনপির পক্ষ থেকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনেকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার একটি বৈঠিক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মান্না এই বৈঠককে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ও চায়ের আমন্ত্রণ বললেও জামায়াতকে জোটে রাখার সুপারিশ নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া রেজা কিবরিয়ার উচ্চাভিলাষের কারণে গণ অধিকার পরিষদকে বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঐক্যের বাইরে রাখাকে যৌক্তিক মনে করেন বলে জানা গেছে ।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে আন্দোলন গড়ে তুলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার পরামর্শ দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন মান্না। মান্না ছাড়াও বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে উস্কানি ও সহিংসতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত এক মাসে পুলিশের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ সৃষ্টির কয়েকটি ঘটনাও ঘটেছে।

‘পলিটিকস এন্ড টেররিজম রিসার্চ’ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রবাহ বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সন্ত্রাসী তৎপরতার পরিসংখ্যান তুলে ধরে তারা একটি গবেষণাপত্র সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না গেলেও গবেষণাপত্রে উল্লেখিত গত দুই মাসে নাশকতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনার তথ্য জানা গেছে। যেমন: ফেনীর সোনাগাজীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক, রাজশাহীর হেতেমখাঁ থেকে শিহাব সুমন, ইউসুফ আলী ও আল মামুন আটক, বাঁশখালীর হালিয়াপাড়া থেকে ৩টি ওয়ান শ্যুটারগান, ৮ রাউন্ড কার্তুজ ও অস্ত্রসহ বিএনপির সাহাব উদ্দিন গ্রেপ্তার, মেহেরপুর ও বগুড়ার শেরপুরে নাশকতা পরিকল্পনার সময় জামায়াত-শিবিরের ৩০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, বগুড়ার শেরপুরে নাশকতার মামলায় যুবদল নেতা আবদুল হামিদ গ্রেপ্তার, ফেণীর চরখোয়াজ এলাকা থেকে দুটি এলজি ও বন্দুক সহ যুবদল কর্মী নুর ইসলাম রাসেল আটক, রাজশাহীর সোনাদীঘি থেকে নাশকতা সৃষ্টির সময় জামায়াত-শিবিরের ১৫ নেতাকর্মী আটক, জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) ও আল্লাহর দলের চারজনকে গ্রেফতার সহ সাম্প্রতিককালের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতার বিবরণ দেয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকদের মতে সম্প্রতি গঠন করা বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নতুন কমিটিগুলোতে ত্যাগীদের পদবঞ্চিত করে নাশকতা সৃষ্টিতে সক্ষম এমন বিতর্কিত ও সন্ত্রাসীদের স্থান দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের ক্ষোভও প্রকাশ্যেই দেখা যাচ্ছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩ জানুয়ারি থেকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যে বৃহৎ জোট গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। এতে গণতান্ত্রিক ধারা শক্তিশালী হওয়ার কথা। কিন্তু বিদেশে লবিংয়ের নামে তারা যা করেছেন তা সুস্পষ্টভাবে দেশ ও জনগণের স্বার্থের পরিপন্থি। সর্বোপরি সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বিএনপি ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পথে এগুচ্ছেন বলে যেসব তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তা মোটেই কাম্য নয়। অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে জনজীবনকে নিরাপত্তাহীন করে তোলার আশঙ্কা সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ