1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মিয়ানমারের ৭ এলাকায় পিএসএলএফ’র ‘জনগণের সরকার’ 

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মিয়ানমারের উত্তর শান প্রদেশের দখলকৃত ৭টি এলাকায় একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির বিপ্লবী সংগঠন পালাউং স্টেট লিবারেশন ফ্রন্ট (পিএসএলএফ)। আগামী বছরে তারা এই সরকার গঠন করবে। খবর দ্য ইরাবতি।

পিএসএলএফ হলো দেশটির সশস্ত্র সংগঠন তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) রাজনৈতিক শাখা। দলটি ১৯৯২ সালে থাই সীমান্তে গঠিত হয়েছিল। শান প্রদেশের নামহসান, মান্টং, নামহকাম, কুটকাই, নামতু, মংলোন এবং মংগাও দখল করেছে টিএনএলএ’র যোদ্ধারা।

যেকোনো সশস্ত্র সংস্থার দ্বারা জোরপূর্বক নিয়োগ করা প্রতিরোধ এবং কর আদায়ে হস্তক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পিএসএলএফ।

মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং আরাকান আর্মির (এএ) মতো ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জোটভুক্ত টিএনএলএ। জোট গত বছরের ২৭ অক্টোবর উত্তর শান রাজ্য জুড়ে অপারেশন ১০২৭ শুরু করে। তারা প্রায় ২০টি শহর এবং চীনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ দখল করেছে।

পিএসএলএফ সভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল টার আইক বং গত জানুয়ারিতে তায়াং জাতীয় বিপ্লব দিবসের বক্তৃতায় তায়াং প্রবাসীদের মুক্ত এলাকা পুনর্গঠনে নিজ নিজ এলাকায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘মুক্ত করা এলাকাগুলোকে পুনরুদ্ধার করার পদক্ষেপ হিসেবে আমরা জনগণকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাই।’

একইসঙ্গে মুক্ত এলাকায় ন্যায্য ও নিরপেক্ষ আইন এবং একটি নতুন নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল টার আইক বং।

ইতোমধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কুটকাই এবং নামতুতে নিজেদের প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করছে পিএসএলএফ। তায়াং কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা, আইনের শাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক উন্নয়নের নিশ্চয়তা দিয়েছে।

কিউকমের এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘সামরিক স্বৈরশাসনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়াই আমাদের স্বপ্ন। আমরা টিএনএলএ’র উপর নির্ভর করি এবং আশা করি তারা মুক্ত এলাকাগুলোর উন্নয়ন করতে পারবে।’

পিএসএলএফ’র বার্ষিক সভা এই মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এতে ১৮৫ জন সদস্য অংশ নিয়েছিলেন। এক বিবৃতিতে পিএসএলএফ জানায়, মিয়ানমারের জনগণকে বর্তমান শাসন ব্যবস্থা ভাঙতে এবং একটি ফেডারেল, গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। যেখানে সব জাতিগোষ্ঠী শান্তিপূর্ণভাবে সহযোগিতা করতে পারে। তায়াং সম্প্রদায় বিরোধ ও সামরিক শাসনে জর্জরিত।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ